সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পিবিআই’র এসপির বিরুদ্ধে নারী পুলিশ কর্মকর্তার ধর্ষণ মামলা করার আবেদন

Paris
Update : শুক্রবার, ১৩ আগস্ট, ২০২১

এফএনএস : পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার (এসপি) মোক্তার হোসেনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়েরের আবেদন করেছেন এক নারী পুলিশ পরিদর্শক। গতকাল বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক বেগম মোছা. কামরুন্নাহারের আদালতে মামলার আবেদন করেন তিনি। আদালত বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে নথি পর্যালোচনায় আদেশ দেবেন বলে জানান বাদীপক্ষের আইনজীবী সালাহ উদ্দিন খান। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পুলিশ সুপার মোক্তার হোসেন ২০১৯ সালের মে মাসে সুদানে জাতিসংঘের শান্তি মিশনে বাংলাদেশ পুলিশের কন্টিনজেন্টের কমান্ডার হিসেবে নিযুক্ত হন।

বাদী আগে থেকেই সেখানে কর্মরত থাকায় মিশন সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকায় বিভিন্ন অজুহাতে সহযোগিতার নামে তার সঙ্গে যোগাযোগ করেন এসপি। সেখানে তাদের মধ্যে সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ২০১৯ সালের ২০ ডিসেম্বর দুপুরে আসামি বাদীর বাসায় গিয়ে তার ব্যবহৃত গাড়ির চাবি চান। বাদী চাবি ইউনিফর্মের পকেট থেকে আনতে গেলে আসামি পেছন থেকে তাকে জাপ্টে ধরে ধর্ষণ করেন। এরপর এ ঘটনা কাউকে না জানাতে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি হুমকি-ধমকি দেন। ২২ ডিসেম্বর ক্ষমা চেয়ে আবারও তাকে ধর্ষণ করেন।

২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি মৌখিকভাবে বিবাহ করে বাদীকে আবারও ধর্ষণ করেন। এরপরও আরও কয়েক দফা বাদীকে ধর্ষণ করেন মোক্তার হোসেন। নিকাহ রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করে বাদীকে গ্রহণ করার তাগিদ দিলে মোক্তার হোসেন তার সাথে অশোভন আচরণ করেন। বাদীকে এড়িয়ে যেতে থাকেন। এ অবস্থায় গত ২১ এপ্রিল বাদী মোক্তার হোসেনের রাজারবাগের বাসায় গিয়ে আশ্বাস অনুযায়ী বিয়ের কাবিননামা সম্পন্ন করার তাগিদ দেন।

এতে মোক্তার হোসেন অস্বীকৃতি জানান। মোক্তার হোসেন, তার স্ত্রী ও পরিবারের অন্য সদস্যরা উত্তেজিত হয়ে বাদীকে মারধর করেন এবং হুমকি-ধামকি দেন। করোনার কারণে আদালত বন্ধ থাকায় মামলা করতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানান বাদী। গত ১০ আগস্ট বাদী উত্তরা পূর্ব থানায় মামলা করতে গেলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা না নিয়ে আদালতে মামলার করার জন্য বলে। এজন্য আদালতে এসে মামলা দায়ের করলেন বলে অভিযোগে উল্লেখ করেন বাদী।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris