সোমবার

২০শে মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৬ই জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
একাদশে ভর্তি ১৫-২৫ জুলাই ক্লাস শুরু হবে ৩০ জুলাই বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সিরিজ নিয়ে আশঙ্কা কেটে গেছে বাংলাদেশি টাকা পাচার করতে গিয়ে সিপিএম নেতা গ্রেফতার শিল্প গড়ে উঠুক, বর্জ্য যেন নদীতে না পড়ে : প্রধানমন্ত্রী প্রচার প্রচারণায় ব্যাস্ত পবার চেয়ারম্যান প্রার্থী ওয়াজেদ আলী খান রাজশাহীতে এক দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ ধান উৎপাদন নাবিল গ্রুপ প্রেজেন্টস ৮ম আর ইউ সি সি জব ফেয়ার অনুষ্ঠিত স্বাচিপ রাজশাহী, নবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠিত রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা

বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোনঠাসা করতে একটি মহল সক্রিয় : হাফিজ

Paris
Update : রবিবার, ২০ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেছেন, অতীতে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবসসহ মহান মুক্তিযুদ্ধের সঙ্গে জড়িত স্মরণীয় দিবসগুলোতে আমাকে আমন্ত্রণ জানানো হতো। গত দেড় বছরে এ ধরনের অনুষ্ঠানেও দলের দায়িত্বপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা আমাকে ডাকার প্রয়োজন বোধ করেননি। বোঝাই যাচ্ছে, বিএনপিতে মুক্তিযোদ্ধাদের কোণঠাসা করে রাখার জন্য একটি মহল সক্রিয় রয়েছে। দায়িত্বপালনে অপারগতা এবং শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে বিএনপির দেয়া কারণ দর্শানোর নোটিশের প্রতিক্রিয়ায় গতকাল শনিবার বনানীর নিজ বাসায় সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন হাফিজ উদ্দিন আহমেদ।

হাফিজ উদ্দিন আহমেদ বলেন, বিএনপিতে যোগদানের আগেই আমি তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলাম। ১৯৯১ সালে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হই। এরপর বিএনপিতে যোগদান করেছিলাম। গত ২২ বছর ধরে দলের অন্যতম ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছি। দলের একজন ভাইস চেয়ারম্যানকে একজন যুগ্ম মহাসচিব (আদিষ্ট না হয়েও) এমন কঠিন, আক্রমণাত্মক ভাষায় কৈফিয়ত তলব করায় অত্যন্ত অপমানিত বোধ করছি। এখানে প্রটোকল এবং সৌজন্যের ব্যত্যয় ঘটেছে। হাফিজ উদ্দীন বলেন, আমার নামের ভুলসহ নানা ভুলে ভরা আক্রমনাত্মক ভাষায় যে চিঠি রুহুল কবির রিজভী আমাকে দিয়েছেন, আমি তাতে হতবাক। জিয়াউর রহমান থাকলে এটা নিয়ে তিনি নিজেও লজ্জা পেতেন। তিনি বলেন, আমি পদত্যাগ করছি না।

আমি যে ব্যাখা দিয়েছি সেটি কিভাবে তারা নেয় তা দেখতে চাই। যদিও ভেবেছিলাম পদত্যাগ করব, আমার সাবেক কলিগ-বন্ধুরাও বলেছিলেন পদত্যাগ করতে। কিন্তু আমার নেতাকর্মীরা আমাকে অনুরোধ করেছেন যাতে পদত্যাগ না করি। তাদের অনুরোধের কারণে আমি পদত্যাগ করলাম না। তিনি বলেন, বরাবরই আমি বিএনপিকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করেছি। জেল থেকে বেগম জিয়া নির্দেশনা দিয়েছিলেন দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার। আমি সেটি করেছি। কিন্তু তারাই আমার বিরুদ্ধে বলেন, আমি সংস্কারপন্থী, আমি ভাঙার পক্ষে।

এর চাইতে দুঃখজনক, লজ্জাজনক কিছু হতে পারে না। এর আগে, গত ১৪ ডিসেম্বর রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আলোচনা সভায় অংশ নেন দলটির দুই ভাইস চেয়ারম্যান হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদ। ওই অনুষ্ঠান শেষে কিছু নেতাকর্মী পুরানা পল্টন মোড় ও জিরো পয়েন্টে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে লাঠিপেটা করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ। দলের সিদ্ধান্ত ছাড়া হঠাৎ বিক্ষোভের পেছনে হাফিজ উদ্দিন ও শওকত মাহমুদের হাত রয়েছে বলে মনে করেন দলের অনেক সিনিয়র নেতা। পরে ওইদিন সন্ধ্যায় শওকত মাহমুদ ও হাফিজ উদ্দিন আহমদকে শোকজ করা হয়।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris