মঙ্গলবার

৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

টেলিফোন সেবা বন্ধ তবুও আসছে বিল!

Paris
Update : সোমবার, ২৩ আগস্ট, ২০২১

চারঘাট প্রতিনিধি : বাংলাদেশ টেলিকমিউনিকেশন কোম্পানি লিমিটেডের (বিটিসিএল) সেবা না পেয়েও চারঘাটের গ্রাহকদের প্রতি মাসেই গুনতে হচ্ছে টেলিফোন বিল। ১০ মাস ধরে ধরে সেবা না পাওয়ায় চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ দপ্তরসহ ব্যবহারকারীরা। বিটিসিএল চারঘাট কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ তার ও টেলিফোন বোর্ডের (বিটিটিবি) চারঘাট শাখার অফিস ১৯৮১ সালে উদ্বোধন করা হয়। ২০০৮ সালের ১ জুলাই বিটিটিবিকে পুনর্গঠন করে এর নাম দেওয়া হয় বিটিসিএল। চারঘাট উপজেলায় তিনশত টেলিফোন সংযোগের ধারণক্ষমতা থাকলেও তখন সর্বোচ্চ গ্রাহকসংখ্যা হয় ২৫০টি। বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৯৬টিতে। যার মধ্যে উপজেলা প্রশাসনের সবগুলো দপ্তর ও ব্যক্তি মালিকানা প্রায় ৫০টি টেলিফোন সংযোগ বর্তমানে বিচ্ছিন্ন রয়েছে।

তবে সংযোগ বিচ্ছিন্ন থাকলেও নিয়মিত বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। চারঘাট সদরের চিকিৎসক রফিকুল ইসলাম জানান, আমি জরুরি প্রয়োজনে টেলিফোন সংযোগ নিয়েছি। কিন্তু ১ বছর ধরে আমার বাসায় টেলিফোনের সেবা নেই। প্রতি মাসেই বিল আসছে; যা পরিশোধ করে যাচ্ছি। সেবা সচ্ছল করে দেওয়া জন্য বারবার বলা হলেও কোনো কাজ হচ্ছে না। চারঘাট উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রফিকুল ইসলাম জানান, আমার অফিস থেকে ট্রেনিং সহ বিভিন্ন কাজে সুবিধাভোগীদের বার বার ফোন করতে হয়। মোবাইলে যা অনেক ব্যয়বহুল। এদিকে ৮ মাস ধরে টেলিফোনের সেবা নেই কিন্তু বিল পরিশোধ করতে হচ্ছে। বিটিসিএল অফিসে আবেদন করেছি। কিন্তু এর সুরাহা হয়নি।

এদিকে যাদের টেলিফোনে সংযোগ রয়েছে কিন্তু সেবা পাচ্ছে না। তারা সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতে সংশ্লিষ্ট মহলকে একাধিকবার বলা সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেনি। অথচ মাসের পর মাস বিল আসছে। ফলে গ্রাহকরা সেবা না পেয়েও বাধ্য হয়ে বিল পরিশোধ করছেন। এছাড়া অধিকাংশ গ্রাহক এখন আর বিটিসিএল যোগাযোগ করেন না।

চারঘাট বিটিসিএল অফিসে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চারঘাট অফিসে একজন অফিস স্টাফ রয়েছে। তিনি লাইনম্যান পদে নিয়োজিত। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে লাইনম্যান আবু বক্কর সিদ্দীক জানান, সড়ক উন্নয়নের জন্য কয়েকটি স্থানে বিটিসিএলের তার কাটা পড়েছে। আবার অনেক জায়গায় তার চুরি হয়ে গেছে। এতে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ায় অর্ধশতাধিক গ্রাহক টেলিফোন সেবা বন্ধ রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাজশাহী বিটিসিএলের উপ-সহকারী প্রকৌশলী দেওয়ান শওকত বলেন, অচল সংযোগগুলোর ব্যাপারে কেউ আমাদের কাছে বিচ্ছিন্ন করার কোনো আবেদন করেনি। আবেদন করলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিনিয়ত তার চুরি ও রাস্তার উন্নয়ন কাজের জন্য সংযোগ আপাতত বন্ধ রয়েছে। কবে নাগাদ সচল হবে এটাও বলা যাচ্ছেনা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris