বৃহস্পতিবার

২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, ২ জন আহত ইউনিয়নের সম্পাদক মাহাতাবের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রাজশাহীর বাস শ্রমিকদের রাজশাহী নগরীতে পলাতক আসামির অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ বাঘায় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে আহত শিক্ষকের মৃত্যু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে জনপ্রশাসনে চিঠি শিক্ষামন্ত্রীর জলবায়ু বিপর্যয় উপকূলীয় মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে : গবেষণা গোপন নথিতে উঠে এল ইরানি কিশোরীকে যৌন নিপীড়ন-হত্যার ঘটনা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নির্মিত তাঁবু গুটাতে কলাম্বিয়া শিক্ষার্থীদের অস্বীকৃতি আজ মহান মে দিবস তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখলো দেশবাসী

ডিজিটাল নিরাপত্তায় ৯৯৯ সংযুক্তির দাবি

Paris
Update : রবিবার, ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২১

এফএনএস : দেশের সাড়ে ১১ কোটি ইন্টারনেট ব্যবহারকারীকে দ্রুত নিরাপত্তা দিতে পুলিশের জনপ্রিয় সেবাদানকারী কল সেন্টার ৯৯৯-কে সংযুক্তির দাবি জানিয়েছে গ্রাহক অধিকার ও নিরাপত্তা নিয়ে কাজ করা সামাজিক সংগঠন বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন। গতকাল শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ এ দাবি জানান। তিনি বলেন, আমরা যেকোনো সময় নাগরিক নিরাপত্তা বা কেউ বিপদগ্রস্ত হলে ৯৯৯-এ ফোন করে দ্রুত সেবা পেয়ে থাকি। কিন্তু মুক্ত বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে ডিজিটাল বাংলাদেশের নাগরিকরা ইন্টারনেট ব্যবহার করতে গিয়ে প্রতিনিয়ত হয়রানি ও সাইবার ঝুঁকিতে পতিত হচ্ছে।

এ থেকে তাৎক্ষণিক মুক্তি পাওয়ার মতো সেবার কোনো পদ্ধতি বা কল সেন্টার এখনো গড়ে ওঠেনি। প্রতিনিয়ত সময়ের চাহিদার সঙ্গে সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। মহামান্য হাইকোর্টের আদেশে ফ্রি ফায়ার, পাবজি গেম বন্ধ ও স্কুল কলেজ খোলার পর অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রম অনেকাংশে কমে গেলেও এখনো ইন্টারনেট ব্যান্ডউইথ ব্যবহার প্রায় আগের মতোই অর্থাৎ প্রায় দুই হাজার ৬৪৬ জিবিপিএস ব্যবহার হচ্ছে। এ থেকেই অনুমেয় ইন্টারনেট ছাড়া নাগরিক জীবন অচল- বলে উল্লেখ করেন তিনি। মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি আরও বলেন, কিছু দুষ্কৃতকারী বা ইন্টারনেট অপব্যবহারকারী গ্রাহকদের ব্যক্তিগত আক্রমণ, সাইবার বুলিং, মিথ্যা অপপ্রচার, ব্যক্তিগত ভিডিও প্রচার, রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে।

যদিও আমাদের দেশে এ থেকে গ্রাহকদের নিরাপত্তা দিতে বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান কাজ করছে। তাদের মধ্যে অন্যতম ডিবির সাইবার ক্রাইম ইউনিট, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি, বিটিআরসি, টেলিযোগাযোগ অধিদপ্তর ডট, সিআইডি, পুলিশসহ সরকারি অন্যান্য নিরাপত্তায় নিয়োজিত সংস্থা। সবগুলো প্রতিষ্ঠানের একটি সুনির্দিষ্ট কমিটি না থাকায় গ্রাহকরা অভিযোগ নিয়ে বিভিন্ন জায়গায় দৌড়ঝাঁপ করে। এমনকি অনেকেই ইতোমধ্যে বিটিআরসিকে প্রধান টার্গেট করে মহামান্য হাইকোর্টে মামলা দায়ের করেছে। দ্রুত সমাধান পেতে কোথায় ফোন করবে বা যাবে সেটি স্পষ্ট নয়। এ থেকে উত্তরণের একমাত্র উপায় পুলিশের দ্রুত সেবাদানকারী কল সেন্টার ৯৯৯-কে সমন্বয় করা গেলে তারাই গ্রাহকের অভিযোগ শুনে নির্ধারণ করে দেবে। এটির সমাধান কে করবে বা গ্রাহককে নিরাপত্তা দিতে কোন এজেন্সি বা কোনো দপ্তর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে? আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাচ্ছি, ডিজিটাল নিরাপত্তা দিতে পুলিশের কল সেন্টার ৯৯৯-কে সব সংস্থার সঙ্গে সমন্বয় করা হোক।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris