মঙ্গলবার

৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তরুণীকে শিকলে বেঁধে শায়েস্তা করলেন প্রেমিক

Paris
Update : মঙ্গলবার, ২ এপ্রিল, ২০২৪

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকার একটি ভবন থেকে শিকলবন্দি অবস্থায় এক তরুণীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর ফোন কলে ওই তরুণীকে উদ্ধার করা হয়। পুলিশ বলছে, ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে মাসুদ নামে এক আইনজীবীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তার অনুপস্থিতিতে সান নামে এক ছেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ানোর কারণে আইনজীবী মাসুদ ক্ষিপ্ত হন। এর প্রতিশোধ নিতে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে সান ও তার বন্ধুদের দিয়ে ওই তরুণীকে শিকলে বেঁধে শারীরিক ও যৌন নিপীড়ন চালানো হয়। এতে সহযোগিতা করেন সালমা। তিনি নির্যাতন ও বিকৃত যৌনাচারের ভিডিও ধারণা করে বিদেশে অবস্থানরত মাসুদের কাছে পাঠাতেন। তরুণীকে বন্দি অবস্থায় ধর্ষণ, নির্যাতন ও ভিডিও ধারণের ঘটনায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ। গ্রেপ্তার চারজন হলেন ভুক্তভোগী তরুণীর বর্তমান প্রেমিক সান ও তার দুই বন্ধু হিমেল, রকি এবং সালমা ওরফে ঝুমুর। গত রোববার রাতভর টানা অভিযান চালিয়ে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল সোমবার রাজধানীর শ্যামলীতে নিজ কার্যালয়ে ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাসুদ ভুক্তভোগী তরুণীকে শায়েস্তা করতে তার বর্তমান প্রেমিক সানের সঙ্গে হাত মেলায়। সালমাকে দিয়ে টাকার প্রলোভন দেখিয়ে মাসুদ তাদের কাজ করায়। তরুণীর রুমে বসানো হয় গোপন ক্যামেরা। বিভিন্ন সময় সান ও তার বন্ধু হিমেল ভুক্তভোগী তরুণীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কের দৃশ্য গোপনে ধারণ করে পাঠানো হতো মাসুদের কাছে। দীর্ঘদিন ধরে এভাবে তাকে ভিডিও পাঠানো হতো। তিনি আরও বলেন, গোপনে ভিডিও করার বিষয়টি ভুক্তভোগী তরুণী জেনে যাওয়ায় তার ওপর নেমে আসে নির্যাতন। শুরু হয় শেকলে বেঁধে নির্যাতন। হাত-পা ও মুখ বেঁধে পৈশাচিক নির্যাতন চালাতেন সান ও তার বন্ধুরা। যার প্রতিটি মুহূর্ত ভিডিও ধারণ করে পাঠানো হতো মাসুদের কাছে। ২৫ দিন পর বন্দি দশা থেকে উদ্ধারের বিষয়টি জানিয়ে ডিসি আজিম বলেন, গত ২৯ মার্চ রাত ৯টার দিকে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর ফোন কলের মাধ্যমে ভুক্তভোগী তরুণীকে শিকলে বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। ওই দিন সন্ধ্যায় তরুণীকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ানো হয়। ভুক্তভোগী তরুণী ঘুমিয়ে গেলে বাসার বাইরে যান সালমা, সান ও অন্যরা। কিছুক্ষণ পর ভুক্তভোগীর ঘুম ভেঙে গেলে বাসায় কেউ না থাকার সুযোগে চিৎকার দিলে পথচারীরা ৯৯৯ এ ফোন কল দিয়ে পুলিশকে জানায়। পুলিশ গিয়ে নবীনগরের একটি বহুতল ভবনের চারতলা থেকে তাকে উদ্ধার করে। বর্তমানে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি বলেন, ভুক্তভোগী তরুণীকে নির্যাতনের বেশিরভাগ ভিডিও এবং ছবি সালমার মোবাইল ফোনে ধারণ করা। কিন্তু তিনি মোবাইল ফোনটি লুকিয়ে ফেলেছেন। তাই সেটি পেলে নির্যাতনের আসল তথ্য ও ভিডিওর গন্তব্য সম্পর্কে জানা যাবে।-এফএনএস


আরোও অন্যান্য খবর
Paris