শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা আরেক নিরাপত্তাকর্মীর!

Paris
Update : শুক্রবার, ২৬ জানুয়ারি, ২০২৪

এফএনএস

রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানা এলাকার এনজিও প্রতিষ্ঠান ‘সিদীপ’র নিরাপত্তাকর্মী জুয়েল মিয়াকে (২০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় আরেক নিরাপত্তাকর্মী আক্তার হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গত বুধবার রাতে ঢাকার নাজিরাবাজার এলাকার একটি কারখানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আক্তার প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ভিকটিম জুয়েল মিয়াকে হত্যার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক। ঘটনার বিবরণে তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯-এর মাধ্যমে মোহাম্মদপুর থানা পুলিশ জানতে পারে, মিরপুর রোডের ২২/৯ নম্বর বাড়িতে এনজিও ‘সিদীপ’র নীচ তলায় পাওয়ার সাব-স্টেশন রুমে নিরাপত্তাকর্মী জুয়েল মিয়ার হাত-পা বাঁধা লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে রক্তাক্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করে। এরপর এ ঘটনায় মোহাম্মদপুর থানায় একটি মামলা (নং-১০৪) করা হয়। ভবনের সিসিটিভি ক্যামেরা পর্যালোচনার ওপর ভিত্তি করে ডিসি বলেন, ২৩ জানুয়ারি ভোরে নিরাপত্তাকর্মী আক্তার হোসেন একটি লাঠি হাতে ভবনের দক্ষিণ পার্শ্বে চেয়ারের ওপরে কম্বল মুড়িয়ে শুয়ে থাকা ভিকটিম জুয়েল মিয়ার দিকে এগিয়ে যান। একপর্যায়ে লাঠি দিয়ে ভিকটিম জুয়েল মিয়াকে উপর্যুপরি আঘাত করতে থাকেন। এতে জুয়েল মাটিতে লুটিয়ে পড়ে গেলেও আক্তার তাকে নৃশংসভাবে আঘাত করতে থাকেন। পরবর্তীতে আক্তার ভিকটিমের হাত ধরে টেনেহিঁচড়ে বিল্ডিংয়ের পাওয়ার সাব-স্টেশন রুমের দিকে নিয়ে যান। তখনও আক্তার তার হাতে থাকা লাঠি দিয়ে ভিকটিমকে দফায় দফার আঘাত করতে থাকেন। লাঠির আঘাতে জুয়েলের মাথা, চোখ, মুখমণ্ডলসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুরুতর রক্তাক্ত জখম হয়। জুয়েলের মৃত্যু নিশ্চিত করে লাশটির হাত বেঁধে কম্বল মুড়িয়ে পাওয়ার সাব-স্টেশন রুমের ভেতর ঢুকিয়ে বাইরে থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তিনি বলেন, ঘটনার পর আক্তার হোসেন আত্মগোপনে চলে যান। প্রযুক্তির সহায়তায় ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে নাজিরাবাজার এলাকার একটি কারখানা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আক্তারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, আক্তার হোসেন বিগত দেড় বছর ধরে সিদীপ এনজিওতে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করে আসছেন। জুয়েল মিয়া গত ১ জানুয়ারি ওই প্রতিষ্ঠানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে যোগ দেন। ভিকটিম জুয়েল মিয়া ডিউটি চলাকালে প্রায় সময়ই অফিসের বাইরে যেতে চাইলে আক্তার হোসেন তাতে বাধা দিতেন। এতে উভয়ের মধ্যে মনোমালিন্যের সৃষ্টি হয়। আক্তার হোসেন আগে থেকে এই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করার সুবাদে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠে এবং তিনি এটির সুযোগ নিয়ে অন্যান্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করতেন। ভিকটিম জুয়েল মিয়া এটি মেনে নিতে পারেননি। আক্তারকে গ্রেপ্তারের পর তার দেখানো তথ্য মতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত পাইপটি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া হত্যাকাণ্ডের সময় ভবনের বাকি দুইজন নিরাপত্তাকর্মী চালকের রুমে ঘুমিয়ে ছিলেন বলেও জানান ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) এইচ এম আজিমুল হক।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris