এফএনএস
হাতে চুড়ি, কপালে টিপ, ঠোঁটে লিপস্টিক আর চুড়িদার পরে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন এক যুবক। প্রেমিকাকে পাস করাতে এভাবে নারীর সাজে পরীক্ষা দিতে যান তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শিক্ষকের কাছে ধরা পড়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে ভারতের পাঞ্জাব রাজ্যের ফরিদকোটে। গতকাল সোমবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাঞ্জাবের ফরিদকোটের একটি পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রেমিকা পরমজিৎ কৌরের ছদ্মবেশ নিয়ে পরীক্ষা দিতে গিয়েছিলেন প্রেমিক আংরেজ সিং। প্রেমিকা যেন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পারেন, তাই লাল চুড়ি, টিপ, লিপস্টিক ও মেয়েদের চুড়িদার পরে পরীক্ষা দিতে যান আংরেজ। সঙ্গে নেন আইডি কার্ডসহ প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র। কিন্তু পরীক্ষা শুরু আগে বায়োমেট্রিক যন্ত্রে প্রেমিকের আঙুলের ছাপ আসল পরীক্ষার্থীর আঙুলের ছাপের সঙ্গে মেলেনি। আর এতেই ধরা পড়েন প্রেমিক আংরেজ সিং। মিথ্যা পরিচয় দিয়ে পরীক্ষা দেয়ার অভিযোগে আংরেজকে গ্রেপ্তার করে পাঞ্জাব পুলিশ। ধরা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে পরমজিতের ফর্মও বাতিল করে দেয়া হয়। এ ছাড়া বিষয়টি আরও খতিয়ে দেখে পরবর্তী পদক্ষেপ নেয়া হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, গত ৭ জানুয়ারি ফরিদকোট জেলার কোটকাপুরার ডিএভি পাবলিক স্কুলে স্বাস্থ্যকর্মী নিয়োগের পরীক্ষা ছিল। পরীক্ষার আগে মেয়েদের বেশে ছবি তুলে পরমজিতের নামে নকল পরিচয়পত্র তৈরি করেন আংরেজ।