আরা ডেস্ক : রাতের আঁধারে চুরি হয় একে একে চারটি রাইস মিলের মিটার। তবে চুরি যাওয়া মিটার পেতে চোরের বিকাশে পাঠাতে হয়েছে টাকা। টাকা পাঠিয়ে নিজের মিটার ফেরতও পেলেন অটো রাইচমিল মালিক আব্দুর রাজ্জাক। চুরি যাওয়া মিটার ফিরে পাওয়ায় আব্দুর রাজ্জাকের দেখাদেখি বাকি তিনজনও চোরের বিকাশে টাকা পাঠান। শেষে তারাও ফেরত পান নিজেদের চুরি যাওয়া মিটার। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার এমন ঘটনায় এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। অনেক ব্যবসায়ী ও সেচ পাম্প মালিকদের মধ্যে দেখা দিয়েছে মিটার চুরির আতঙ্ক।
গত বৃহস্পতিবার চোরের রেখে যাওয়া নম্বরে বিকাশে টাকা পাঠান আব্দুর রাজ্জাক। টাকা পেয়ে চোরের বলে দেওয়া স্থান উপজেলার বাকশাপাড়া গ্রামের খড়ের গাদার মধ্যে মেলে মিটারটি। জানা গেছে, ৮ জানুয়ারি গভীর রাতে কাজিপুরের সোনামুখী ইউনিয়নের হরিনাথপুর গ্রামে অবস্থিত শাহাদত হোসেন রাজের একটি সেমি-অটোমিল, রুবেল হোসেনের একটি রাইসমিল এবং কাজিপুর উপজেলা চালকল মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাকের একটি সেমি অটো ও একটি রাইস মিলের মিটার চুরি যায়।
এ সময় চোরেরা চিরকুটে ফোন নম্বর লিখে মিলের কাছে রেখে যায়। রাজ্জাকের মতো অন্য তিন ব্যবসায়ীও মিটার প্রতি পাঁচ হাজার করে টাকা পাঠিয়ে মিটার ফেরত পান। আবদুর রাজ্জাক জানান, আইনের মাধ্যমে গেলে মিটার পেতে অনেক সময় ও বিড়ম্বনা হতে পারে। তাই টাকা দিয়েই রফা করলাম। কাজিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ পঞ্চনন্দ সরকার বলেন, বিষয়টি মৌখিকভাবে শুনেছি। কেউ অভিযোগ করেনি। তবে নম্বরটি শনাক্তের চেষ্টা চলছে।