শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

সচল হয়েছে তাদের জীবিকার চাকা

Paris
Update : মঙ্গলবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২১

একে আজাদ, চারঘাট : করোনা মহামারীতে দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত ১২ সেপ্টেম্বর চারঘাটের স্কুল ও কলেজগুলো খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীরা শ্রেণি কক্ষে ফিরেছে। এ কারণে বিদ্যালয়ের আশপাশের বিভিন্ন দোকান গুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। সচল হয়েছে তাদের জীবিকার চাকা। বেশ লম্বা সময় ধরে ব্যবসা বন্ধ থাকায় পরিবার নিয়ে কঠিন সময় পার করেছিলেন তারা। এই খাতকে কেন্দ্র করে যারা জীবিকা নির্বাহ করতেন, বেঁচে থাকার তাগিদে করোনা মহামারিতে অনেকেই বেছে নিয়েছিলেন ভিন্ন পেশা। এখন আবার প্রতিষ্ঠান খোলায় আয়ের পথ তৈরি হওয়ায় তাঁদের চোখে খুশির ঝিলিক। আবার নতুন করে আশা আলো দেখছেন তারা।

সরেজমিন উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে থাকা লাইব্রেরি ও ষ্টেশনারী এবং পেপার হাউজের দোকানে দেখা গেছে শিক্ষার্থীরা খাতা, কলম, বইসহ তাদের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কিনছেন। ফলে বেচাকেনা বেড়েছে আগের তুলনায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ। এ ছাড়া বেচাকেনা বেড়েছে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের পাশে থাকা ভ্রাম্যমাণ খাবার বিক্রেতা এবং হোটেলগুলোর।

গত শনিবার চারঘাট পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় গেটের আইডিয়াল লাইব্রেরিতে গিয়ে কথা হয় দশম শ্রেণীর ছাত্র মহাইমেনুল ইসলামের সঙ্গে। সে জানায়, দীর্ঘসময় স্কুল বন্ধ থাকায় বই, খাতার তেমন প্রয়োজন হয়নি। এখন স্কুল খোলায় ১০ শ্রেণীর প্রতিদিন ক্লাস হচ্ছে। এজন্য লাইব্রেরিতে এসেছেন প্রয়োজনীয় বইসহ কাগজ কলম কিনতে। চারঘাট উপজেলা পাঠ্যপুস্তক প্রকাশনা ও বিক্রেতা সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাজদার রহমান জানান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠা বন্ধ থাকাকালীন সময়ে বেচা কেনা ছিল একদম কম। স্কুল-কলেজ খোলার পর বই খাতাসহ বিভিন্ন পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। ফলে বিক্রিও বেড়েছে বহুগুণ। সব মিলিয়ে আমরা লাইব্রেরি ব্যবসায়ীরা নতুন করে আশা দেখছি।

চারঘাট মডেল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনের ভ্রাম্যমাণ ঝালমুড়ি বিক্রেতা গীতা রানী স্কুল বন্ধ থাকায় মানুষের বাড়িতে কাজ করতেন। এখন তিনি আবার আগের মতো ঝাল-মুড়ি বিক্রি করা শুরু করেছেন। এখন দৈনিক এক থেকে দেড় হাজার টাকা বিক্রি করতে পারেন তিনি। চারঘাট মন্ত্রী রোডের দর্জি দোকানী বাবুল আক্তার বলেন, স্কুল-কলেজ বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা বাজারে কম আসতো।

এজন্য তাদের পোশাক তৈরির চাহিদাও কম ছিল। তবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় এখন কাজের চাপ বেড়েছে। ইউনিফর্ম সহ নানা রকম কাপড়ের অর্ডার পাচ্ছি। চারঘাট বাজার ব্যবসায়ী কিমিটির সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলায় লাইব্রেরি ব্যবসায়ীরা সহ ক্ষুদ্র অনেক ব্যবসায়ীরা প্রাণ ফিরে পেয়েছে। তারা গত দেড় বছর মানবেতর জীবন যাপন করছিল। তাঁদের জীবিকা সচল থাকলে তারা আবারও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris