মোহনপুর সংবাদদাতা : রাজশাহী জেলার মোহনপুর উপজেলার কেশরহাট পৌর বাজার থেকে রায়ঘাঁটি এবং ঘাসিগ্রাম ইউনিয়নের অনেক লোকের চলাচলের একমাত্র রাস্তাটি প্রায় শত বছরের পুরনো। এই রাস্তা দিয়ে বছরের পর বছর ধরে মানুষ পায়ে হেঁটে মাটির রাস্তায় চলাচল করলেও বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ছোঁয়া লেগে রাস্তাটি (পাকা) পিস ঢালাই করা হয়েছে এবং দুই ধারে সারি সারি গাছ লাগিয়ে রাস্তাটিকে নদী ভাঙ্গনের হাত থেকে রক্ষা করা হয়েছে। কিন্তু হঠাৎ করে এই রাস্তার ধারের দুই পাশের শত শত বনজ গাছ কেটে ফেলা হচ্ছে, যা জনমনে ক্ষোভ সৃষ্টি করেছে। এ বিষয়ে জানতে মোহনপুর উপজেলার সাবেক বন কর্মকর্তা জনাব আলীর নিকট জানতে চাইলে তিনি বলেন, ঐ রাস্তায় যে সমস্ত আম গাছগুলো রয়েছে, বনজগাছ থাকাতে সে সমস্ত আম গাছে আম ধরে না। তাই বনজ গাছগুলো টেন্ডার এর মাধ্যমে বিক্রি করা হয়েছে মোট পাঁচ লটে। তার মধ্যে হায়দার আলী নামের একজন ২ লটের গাছ ক্রয় করেছেন। তারাই বর্তমানে গাছগুলো কাটছে এবং পরবর্তীতে আরও তিন লটের গাছ জাহাঙ্গীর নামের একজন নিয়েছেন এবং তিনি কাটবেন। অর্থাৎ মোট পাঁচ লটে গাছগুলো কাটা হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় জনসাধারণ বলেন সামান্য কয়েকটি আম গাছ বাঁচাতে শত শত বনজ গাছ নিধনের কোন মানেই হয় না। বন্যাকালে দুই পাশের বিলে অনেক পানি থাকে এবং বাতাসের ধাক্কায় পানি এসে রাস্তাতে ধাক্কা দেয় এবং রাস্তা ভেঙ্গে যায়। ইতিপূর্বের বছরগুলোতে অনেকবার এই রাস্তাটি সরকার মেরামত করেছে, বার বার নষ্ট হয়েছে। এই গাছগুলো থাকাতে কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি আর ভাঙেনি। কিন্তু এইভাবে নির্বিচারে গাছগুলো কাটা হলে ভবিষ্যতে এই রাস্তাটি আবারও ভাঙ্গনের কবলে পড়বে। তাই উক্ত বিষয়টি নিয়ে রাজশাহী বন বিভাগসহ মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার এবং রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন এলাকার সর্বস্তরের জনগণ।