শুক্রবার

৩রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২০শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বালিশকাণ্ডের সেই প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করছে রাবির হল, অনিয়মের অভিযোগে দুদকের হানা/৩

Paris
Update : রবিবার, ২১ এপ্রিল, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে অভিযান চালাচ্ছে দুদক। রাজশাহী জেলা সমন্বিত দুদকের একটি দল রোববার (২১ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে এ অভিযান শুরু করে। নির্মাণাধীন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হল নির্মাণে অনিয়মের অভিযোগে দুদক এই অভিযান চালায় বলে জানা গেছে। দুপুরে প্রশাসনিক ভবনে প্রবেশ করে দুদকের অভিযানিক দলটি। এরপর রেজিস্ট্রার রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক মো. তারিকুল হাসানের সঙ্গে মিটিং শুরু করেন তারা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কামারুজ্জামান হল নির্মাণে অনিয়মের বিষয়টি খতিয়ে দেখতে ওই দপ্তর থেকে বেশ কিছু কাগজপত্র নিয়েছে দুদক। এর আগে গত ৩০ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হলের এক অংশের ছাদ ধসে পড়ে। এতে ৯ জন নির্মাণশ্রমিক আহত হন। সেই রাতেই জরুরি সভা ডেকে ওই ঘটনার কারণ নির্ধারণে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। সেসময় তদন্ত করে ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে অনিয়ম পাওয়া গেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়। তবে আলোচিত রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে বালিশকাণ্ডে জড়িত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মজিদ কন্সট্রাকশনকে কাজ দেওয়ার ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যলয় প্রশাসন জানায়, ই-টেন্ডার প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কাজ পেয়েছে। এ ক্ষেত্রে কোনো অনিয়ম হয়নি। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পের বালিশকাণ্ডে বেশ আলোচিত ছিল তিনটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তাদেরই একটি ‘মজিদ সন্স কনস্ট্রাকশন লিমিটেড’। বালিশকাণ্ডের ঘটনার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্মাণাধীন ভবনের ছাদ ধসে পড়ার ঘটনায় আবারও আলোচনায় আসে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানটি।

২০২২ সালের ২ জানুয়ারি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রদের জন্য ১০ তলাবিশিষ্ট শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হল নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও রাজশাহী সিটি মেয়র এএইচএম খায়রুজ্জামানন লিটন। শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হল নির্মাণে ব্যয় ধরা হয় ৭০ কোটি ২০ লাখ টাকা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) নির্মাণাধীন ভবন ধসের ঘটনায় দূর্নীতি দমন কমিশন অভিযান চালায়। রোববার (২১ এপ্রিল) বেলা পৌঁনে একটার দিকে রাজশাহী জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আমীর হোসাইনের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি টিম বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার দপ্তরে আসেন। আলোচনা শেষে এক সংবাদ সম্মেলনে আমীর হোসাইন বলেন, প্রাথমিকভাবে আমরা ধারনা করছি অনিয়ম আছে। আমরা ভবন সংক্রান্ত সকল নথিপত্র নিয়েছি। এরপর সাইট পরিদর্শন করবো। সমস্ত আলামত কমিশনের কাছে সাবমিট করার পর সিদ্ধান্ত হবে। প্রসঙ্গত, গত ৩০ জানুয়ারি মাদার বখশ হলের সামনে নির্মাণাধীন ১০ তলা শহীদ এএইচএম কামারুজ্জামান হলের একাংশের শাটার ধসে ৯ শ্রমিক আহত হয়। ঘটনার দিন রাতেই জরুরি সভা ডেকে ঘটনা তদন্তে তিন সদস্যের একটি কমিটি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়। তবে ঘটনার চার দিন পর ৪ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটির সদস্যদের কাছে চিঠি পাঠানো হয়। ওই দিন থেকে পরবর্তী সাত কার্যদিবস ১২ ফেব্রুয়ারি শেষ হলেও তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দিতে পারেনি। পরে তদন্ত কমিটির সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে নতুন করে আরও সাতকার্যদিবস বাড়ানো হয়। দ্বিতীয় দফা সময় শেষ হওয়ার আগেই ২৫ ফেব্রুয়ারি তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন জমা দেয়।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris