মচমইল থেকে সংবাদদাতা
সোমবার (০৫ জুন) বিকেলে একাদশ জাতীয় সংসদের ২৩তম অধিবেশনের প্রশ্ন জিজ্ঞাসা এবং উত্তর টেবিলে উপস্থাপন, কমিটির রিপোর্ট ও বিল সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির রিপোর্ট উপস্থাপন, আইন প্রণয়ন কার্যাবলী এবং ২০২২-২৩ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেট সম্পর্কে সাধারণ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়। সম্পূরক বাজেটের উপর রাজশাহী-৪(বাগমারা) আসনের সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চারনেতা ও মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের স্মরণ করে তিনি বক্তব্য শুরু করেন। সেই সাথে বাগমারা আসনে বারবার ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হককে দলীয় মনোনয়ন প্রদান করায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি। এছাড়াও বাগমারাবাসীর প্রতিও কৃতজ্ঞা প্রকাশ করেন বারবার নির্বাচিত করার জন্য।
২০২২-২০২৩ অর্থ বছরের যে প্রস্তাবিত বাজেট ছিল তা নিয়ে অনেক আলোচনা হয়েছে। এ সম্পর্কে বলেন, ২০২২-২০২৩ অর্থ বছরে ৪ লাখ ৩৩ হাজার কোটি টাকা প্রস্তাবিত যে রাজস্ব আয় ছিল তা আদায় করা সম্ভব হয়েছে। একই অর্থ বছরে বৈশিক বিপর্যয় থাকা সত্ত্বেও ৬ লাখ ৭৮ হাজার ৬৪ কোটি টাকার মধ্যে যে বাজেট ছিল বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে তা ব্যয় করে বাস্তবায়ন করা কঠিন ছিল। মাত্র ১৭ হাজার কোটি টাকা কমিয়ে ৬ লাখ ৬০ হাজার ৫০৭ কোটি টাকা নির্ধারণ করা হয় এটাও একটি লক্ষনিয় বিষয়। যেটি উন্নয়ন বাজেট ছিল ২ লাখ ৮৬ হাজর ৬৬ কোটি টাকা। যা বাস্তবায়ন হচ্ছে ২ কোটি ২৭ হাজার ৫৬৬ কোটি টাকা। যেটা সম্পূরক বাজেটে দেখতে দেখা যায়। প্রস্তাবিত বাজেটে যেটা লক্ষমাত্রা ছিল তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়েছে। সেই সাথে উন্নয়ন বাজেটে একটু খরচ কমানো হয়েছে। যার ফলে ঘাটতি বাজেটে জিডিপির যে ৫.৫ ভাগ ছিল তা এখন এসেছে ৫.১ ভাগে। যেটি ঘাটতি বাজেট ছিল ২লাখ ২৭ হাজার টাকা। এটা বাজেট বাস্তবায়নের ফলাফল দেখা যাচ্ছে। বাজেট বাস্তবায়নের ফলে আর্থসামাজিক পরিবর্তন এসেছে।
ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক বলেন, এক নজরে যদি দেখা যায় ২০০৬ সালে বাংলাদেশের মানুষের আয়ুসকাল ছিল ৬৪ বছর। তা এখন ৭২-৭৩ বছর। বাজেট বাস্তবায়নের ফলে দারিদ্রসীমা ৩৮.৪ ভাগ থেকে কমে এসেছে ১৮ ভাগে। অতিদরিদ্র ছিল ১৮ ভাগের উপরে এখন তা কমে এসেছে ৫.৬ ভাগে। আওয়ামী লীগ সরকারের বাজেট বাস্তবায়নের ফলে তা সম্ভব হয়েছে। ২০১১ থেকে ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এসে আমাদের গড় জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৭.৩ ভাগ। যা সর্বশেষ গত বছরে ৬.০৩ ভাগ। আগামী ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে এটি নির্ধারণ করা হয়েছে ৭.৫ ভাগ। মাথা পিছু আয় ২০০৫-২০০৬ সালে ছিল ৬৬০ ডলার যা বর্তমানে ২ হাজার ৯৬১ ডলারে উন্নিত হয়েছে। সম্পূরক বাজেট এমন এক জিনিস প্রস্তাবিত বাজেট করা হয় সে বাজেট বাস্তবায়নের ফলে সর্বশেষ যে মন্ত্রণালয়গুলো বাজেট বাস্তবায়নের ফলে বেশি এবং কম খরচ হয় তার জন্য আবার প্রস্তাবিত করা হয় সেটাই সম্পূরক বাজেট। গত বছর যে সম্পূরক বাজেট ছিল তা বাস্তবায়ন হয়েছে ৯৮ ভাগ। সে জন্য অর্থমন্ত্রীসহ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান তিনি। দেশে অতিমারি ও মন্দার মধ্যে বাজেট বাস্তবায়ন করা অনেক কঠিন। দেশে যে ভাবে উন্নয়নের চাকা বা প্রবৃদ্ধি তা বৃদ্ধি পাচ্ছে। ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে যে বাজেট দেয়া হয়েছে তা সুষ্ঠু ভাবে বাস্তবায়ন হবে। এটি বাস্তবায়ন হলে স্মার্ট বাংলাদেশে উন্নিত হবে বলেও জানান ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক এমপি।