স্টাফ রিপোর্টার : পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী হিসেবে অনেক আগেই পরিচিতি লাভ করেছে রাজশাহী শহরটি। কিন্তু নগরীর কোন কোন স্থানে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের অবহেলা আর নগরবাসির দায়িত্বহীনতার কারনে সেই সুনাম কখনো কখনো ম্লান হচ্ছে। রাসিকের ১৯নং ওয়ার্ড অন্তর্গত শিরোইল কলনীর প্রবেশদ্বারের মুখেই এমন অপরিচ্ছন্ন আর রাস্তা ঘেষা ময়লা-আবর্জনার স্তুপ চোখে পড়ে। রেলওয়ে স্টেশনের পশ্চিম দিকের ওভার ব্রীজটির উত্তর কোণে রাস্তা ঘেষা স্থানে অনেক আগে থেকেই রয়েছে একটি ডাস্টবিন। যেখানে এলাকার লোকজন ছাড়াও ওয়ার্ড ভিত্তিক পরিচ্ছন্নকর্মীরা বিভিন্ন বাসাবাড়ি থেকে ময়লা আবর্জনা ভ্যানের মাধ্যমে সংগ্রহ করে উক্তস্থানে এনে জমা করেন।
সেখানে থেকে রাত্রিকালিন সময়ে রাসিকের ট্রাক ও ময়লার গাড়ি গিয়ে সেগুলো অপসারণ করে নিয়ে যায় নগরীর উপকন্ঠ সিটি হাট ভাগাড়ে। রাস্তা সংলগ্ন ঐ ডাস্টবিন থেকে অসহ্যনীয় দুর্গন্ধ নির্গত হবার কারণে পথচারিদের চলাচলে সমস্যা হওয়াতে উক্ত স্থানে বড় আকৃতির দুটো নিষেধাজ্ঞামূলক ব্যানার লাগানো হয়েছে ১৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা স্থায়ী কমিটির পক্ষ থেকে। সেখানে বড় বড় অক্ষরে লিখা আছে ‘এই ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনা ফেলা নিষেধ, নতুন ডাস্টাবন ভদ্রা রেল বস্তিতে আবর্জনা ফেলুন’। কিন্তু কে শোনে কার কথা। যে যার ইচ্ছে মতো সুযোগ পেলেই নিষেধাজ্ঞা জারিকৃত স্থানেই দেদাড়ছে ফেলছেন বাসা বাড়ির ময়লা আবর্জনা।
এ বিষয়ে বক্তব্য নিতে ওয়ার্ড কাউন্সিলর তৌহিদুল হক সুমন কে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। অবশেষে ১৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর কার্যালয়ের সচিব ফয়সালকে ফোন দিলে তিনি বলেন, নিষেধ করার পরেও দায়িত্বহীন ব্যক্তিরা রাতের আধারে ঐ ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনা ফেলছে। তিনি আরো বলেন, স্টেশনে অবস্থিত খাবারের হোটেল থেকেও রাতের আধারে নিষেধাজ্ঞা জারিকৃত ডাস্টবিনে ময়লা আবর্জনা ফেলা হয়। এছাড়াও কোন কোন পরিচ্ছন্ন কর্মীরাও সুযোগ বুঝে সেখানে ময়লা আবর্জনা ফেলে। উক্ত স্থানে যেনো হোটেলের কোন ময়লা আবর্জনা ফেলা না হয় বিষয়টি আমরা স্টেশন মাস্টারকে জানিয়েছি।
উক্ত ওয়ার্ডে সর্বমোট আটটি ভ্যান সমস্ত ওয়ার্ডের বাসাবাড়ি থেকে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে বলেও জানান তিনি। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, রাস্তা সংলগ্ন ডাস্টবিনটিতে ময়লা আবর্জনা পড়ে আছে। আশেপাশে চরে বেড়ানো শুকর, কুকুর ও বেড়াল ঐ ময়লা আবর্জনার স্থান থেকে নিজেদের খাবার খুজতে গিয়ে ময়লা আবর্জনার একাংশ রাস্তা পর্যন্ত মুখ দিয়ে টেনে নিয়ে আসে। যার কারণে রাস্তাও হয়ে ওঠে ময়লা আবর্জনার স্থান। উক্ত রাস্তা দিয়ে চলাচলকারিরা ময়লা আবর্জনার দুর্গন্ধে অতিষ্ট হয়ে পড়েন। এছাড়াও রেলওয়ে ওভারব্রীজ দিয়ে চলাচলকারিরাও পড়েন বিপাকে। বিষয়টি আরো কঠোরহস্তে দমন করার পরামর্শ দেন সচেতন ব্যক্তিরা। কেউ কেউ মন্তব্য করতে গিয়ে বলেন, নিয়ম মান্যতাই অবহেলা আমাদের আবর্ত করে রেখেছে।