এফএনএস : নারায়ণগঞ্জে কাজে যেতে না চাওয়ায় সহকর্মীকে খুন করার ঘটনায় মো. মনির (৩০) নামে এক রঙ মিন্ত্রিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গতকাল বুধবার সিআইডির সদর দপ্তরে পুলিশের এই তদন্ত সংস্থার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খায়রুল আমিন এ তথ্য জানান। খায়রুল আমিন বলেন, গত ৫ জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারের ব্রাহ্মন্দীর ষাড়পাড়া এলাকায় আবদুল করিম খুন হন। ঘটনার দিন সকালে আবদুল করিমের বাসায় আসেন সহকর্মী রঙমিস্ত্রি মনির। তাদের একসঙ্গে কাজে যাওয়ার কথা ছিল।
কিন্তু মনির হোসেনের সঙ্গে কাজে যেতে অনীহা প্রকাশ করেন করিম। এ নিয়ে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। তখন দুজনে মারামারিতে লিপ্ত হন। মনিরের এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষিতে করিম গুরুতর আহত হন। করিমের চিৎকারে তার পরিবারের সদস্যরা এসে তাকে উদ্ধার করে দ্রুত পাশের জোবেদ আলী মেডিক্যাল হাসপাতালে নিয়ে যান। পরে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেয়। পরীক্ষার টাকা সংগ্রহ করার জন্য ভিক্টিমকে বাড়িতে নিয়ে যান স্বজনরা। বাড়িতে নেওয়ার কিছুক্ষণ পরই করিম মারা যান। ওই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মোসা. নার্গিস (৪৮) মনিরকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন।
পরে ১৮ জানুয়ারি রাতে অভিযান চালিয়ে শরীয়তপুর জেলার গোসাইরহাট থেকে মনিরকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি হত্যার কথা স্বীকার করে জানান, প্রায় ৮ বছর ধরে করিম ঢাকা, নরসিংদী ও নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় রঙমিস্ত্রির কাজ করে আসছেন। তার সঙ্গে প্রায় ৪ বছর ধরে কাজের সুবাদে মনিরের পরিচয়। তিনি করিমের সহকারী হিসেবে কাজ করতেন।
তাদের মধ্যে কাজের মজুরিসহ বিভিন্ন বিষয়াদি নিয়ে মনোমালিন্য দেখা দেয়। পুলিশ জানায়, দৈনিক হাজিরা কম দেওয়া নিয়ে করিমের সঙ্গে মনিরের দ্বন্দ্ব হয়। এ কারণে মনিরের সঙ্গে তিনি কাজে যেতে অস্বীকৃতি জানান। তখন মনির হোসেন উত্তেজিত হয়ে করিমকে এলোপাতাড়ি কিল-ঘুষি মেরে গুরুতর আহত করে মাটিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান। এই আঘাতের কারণেই তার মৃত্যু হয়।