শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

মাহে রমজানের সওগাত

Paris
Update : বুধবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২১

মুহম্মদ আলতাফ হোসেন : পবিত্র মাহে রমজানের আজ পঞ্চদশ দিবস। আমাদের এই ধারাবাহিক প্রতিবেদনের গতকালের পর্বে মাহে রমজানের মূল উদ্দেশ্য তাকওয়ার বর্ণনা পেশ করেছি। আজ তাকওয়া অর্জনের উপায় নিয়ে কিছু কথা বলবো। মহান আল্লাহ পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াতে তাকওয়া অর্জনের পথ নির্দেশ করেছেন। তাকওয়া অর্জনকে আমল কবুল হওয়ার শর্ত হিসেবে বর্ণনা করা হয়েছে। অর্থাৎ তাকওয়া হলো এমন গুণ যায় জন্য আমল কবুল হয়। সুরা আহযাবের ৭০-৭১ আয়াতে আল্লাহ বলেন, হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সঠিক কথা বলো। তিনি তোমাদের আচরণ সংশোধন এবং তোমাদের পাপ সমুহ ক্ষমা করবেন।

যে কেউ আল্লাহ ও তার রসুলের আনুগত্য করবে সে অবশ্যই মহা সাফল্য অর্জন করবে। সুরা মায়েদার ২৭ আয়াতের মূল বক্তব্য হলো, আল্লাহ তাদের কর্মই কবুল করেন যাদের তাকওয়া আছে। তাকওয়া হলো আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের মাধ্যম। আল্লাহ নিজেই বলেছেন, তারাই আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করবে যারা তাকওয়াবান, খোদাভীরু। তাকওয়ার আর একটি বৈশিষ্ট্য হলো এর মাধ্যমে ব্যক্তি ক্ষমা লাভ করে থাকেন। তাকওয়াবান বান্দাকে আল্লাহ ক্ষমা করে দেন। এ সম্পর্কে সুরা তালাকের ৫ম আয়াতে আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহ কে ভয় করে আল্লাহ তার পাপ মোচন করেন এবং তাকে মহা পুরষ্কার দেন।

অর্থাৎ তাকওয়ার কারণে আল্লাহ বান্দার পাপ ক্ষমা করে দিবেন এবং প্রতিদান দেবেন। তাছাড়া তাকওয়া অর্জনকারীদের আল্লাহ সরল পথে পরিচালিত করেন। তাদেরকে সরল পথ দেখান ও গোমরাহীর পথ থেকে রক্ষা করেন। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ বলেছেন: হে ঈমানদারগণ! তোমরা যদি আল্লাহকে ভয় করতে থাক তবে আল্লাহ তোমাদের মধ্যে ফয়সালা করে দেবেন এবং তোমাদের ক্ষমা করে দেবেন। বস্তুত আল্লাহর অনুগ্রহ অত্যন্ত মহান, অর্থাৎ আল্লাহ তোমাদের ফুরকান দান করবেন।

ফুরকান হলো ভালো মন্দ বোঝার শক্তি, হক বাতিল বা সত্য মিথ্যা বিবেচনার ক্ষমতা সুরা হাদীদের ২৮তম আয়াতে আল্লাহ বলেন: হে মুমিনগণ , তোমরা আল্লাহকে ভয় কর এবং তার রসূলের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন কর। তিনি নিজ অনুগ্রহের দ্বিগুণ তোমাদের দেবেন। তোমাদের দিবেন আলো, যার সাহায্যে তোমরা চলতে পার এবং তোমাদেরকে ক্ষমা করবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল ও দয়াবান।

মহান আল্লাহর নিদর্শনের প্রতি সম্মান প্রদান করাও তাকওয়ার পরিচায়ক। আল্লাহ বলেছেন : ইহা আল্লাহ বিধান। কেউ আল্লাহর নামযুক্ত বস্ত্র সমূহের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করলে তা তো তার হৃদয়ের আল্লাহ ভীতি প্রসূত। সুরা ইউনুসের ৬২ ও ৬৩ আয়াতে আল্লাহ আয়াতে বলেছেন, মনে রেখো, যারা আল্লাহর বন্ধু, যারা ঈমান এনেছে ও তাকওয়া অবলম্বন করেছে, তাদের না কোন ভয় ভীতি আছে, আর না তারা চিন্তিত হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris