শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী চার উপজেলায় পল্লী বিদ্যুৎতের সদর দপ্তর না থাকায় গ্রাহকদের ভোগান্তি!

Paris
Update : শনিবার, ১০ এপ্রিল, ২০২১

এফএনএস : রাজশাহী জেলার পুঠিয়া বাগমারা বাঘা চারঘাট এই চার উপজেলার বিদ্যুৎতের গ্রাহকরা নাটোর জেলার দুই পল্লী বিদ্যুৎর সমিতির আওতায় রয়েছে। এতে করে চার উপজেলার ৩ লাখ ১২ হাজার পল্লী বিদ্যুৎতের গ্রাহকরা নিকটতম স্থানে সদর দপ্তর না থাকায়, গ্রাহকরা কাক্সিক্ষত সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। জানা গেছে, পল্লী বিদ্যুৎতের প্রথম পযার্য়ে নাটোর জেলায় পল্লী বিদ্যুৎতের সদর দপ্তর স্থাপিত হয়েছে। এর কয়েক বছর পর রাজশাহী জেলায় পল্লী বিদ্যুৎতের সমিতির কার্যক্রম চালু হয়। তখন হতে নাটোর জেলার আওতায় পুঠিয়া বাগমারা বাঘা চারঘাট চার উপজেলা ছিল। রাজশাহী জেলার চার উপজেলা নিয়ে নাটোর জেলায় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি ১ ও ২ এর সদর দপ্তর করা হয়েছে।

চার উপজেলায় জাতীয় গেইট হতে যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হচ্ছে,তা আবার রাজশাহী জেলা হতে নেওয়া হচ্ছে। শুধুমাত্র সদর দপ্তর নাটোরে থাকার কারণে গ্রাহকরা কাক্সিক্ষত সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে। বর্তমানে বাগমারা উপজেলার গ্রাহক ১ লাখ ২০ হাজার, পুঠিয়ায় ৭০ হাজার, চারঘাট ৬৩ হাজার ও বাঘায় রয়েছে ৫৯ হাজার বিদ্যুৎতের গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে। এদিকে পুঠিয়ায় গত ১৫ মার্চ নতুন নিজেস্ব আবাসিক ও অফিস ভবন জোনাল অফিস উদ্বোধন করার হয়েছে। দীর্ঘদিন আগে পুঠিয়ায় ৩ একর ৭৩ শতাংশ জমি তাদের ক্রয় করা ছিল। এখানে বর্তমানে আবাসিক অফিস ভবনসহ অন্যান্য অবকাঠামো নির্মাণ করতে ব্যয় হয়েছে ৯ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির পুঠিয়া বাগমারা দুই উপজেলা নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ এর আওতায়। আর বাঘা চারঘাট উপজেলা দু’টি নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ এর আওতায় পড়ছে। বাগমারা হতে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ এর দুরত্ব প্রায় ৮০ কিলোমিটার। বাঘা চারঘাটের নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ বনপাড়ার এর দুরত্ব প্রায় ৫০ কিলোমিটার। চার উপজেলার ৩ লাখ ১২ হাজার পল্লী বিদ্যুৎতের গ্রাহকরা নিকটতম স্থানে সদর দপ্তর না থাকায়, গ্রাহকরা কাক্সিক্ষত সেবা হতে বঞ্চিত হচ্ছে বলে গ্রাহক পযার্য়ে হতে অভিগোগ উঠেছে। গ্রাহকদের দাবি, পুঠিয়া জোনাল অফিসটিকে রাজশাহীর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ করলে গ্রাহক এবং জোনাল অফিস তিনটি ব্যাপক কাজের সুবিধা হতো।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা বলেন, চারটি জোনাল অফিস মিলে যে গ্রাহক সংখ্যা রয়েছে। তা দিয়ে আলাদা একটি পল্লী বিদ্যুৎতের সদর দপ্তর করা সম্ভব। বাগমারা উপজেলার সোনাডাঙ্গা ইউনিয়নের আসলাম উদ্দিন নামের বিদ্যুৎতের গ্রাহক বলেন,আমাদের এলাকাটির রাস্তাঘাট খুবই খারাপ এবং দুর্গম এলাকায় বসবাস করে থাকি। পল্লী বিদ্যুৎতের কোনো সমস্যা হলে নাটোর জেলার ফুলতলার সদর দপ্তরে গিয়ে কাজ করে আসতে হয়। বাড়ি ফিরতে সন্ধ্যা হয়ে যায়।

তারপর আমার ইউনিয়ন হতে এর দুরত্ব ৮০ কিলোমিটারের মতো হবে। বাগমারা পল্লী বিদ্যুৎতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মো. মিনারুল ইসলাম বলেন,অফিসের সঙ্গে দুরত্ব বেশি হওয়ার কারণে,প্রয়োজনীয় মালামাল এনে দ্রুত বিদ্যুৎতের লাইন নেরামত করে সংযোগ দেওয়া খুব কঠিন হয়ে দাড়ায়। তারপর বর্ষাকালে আরও বেশি সময় লেগে যায়। চারঘাট পল্লী বিদ্যুৎতের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার মুক্তার হোসেন বলেন,নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-২ বনপাড়ার দুরত্ব প্রায় ৫৫ কিলোমিটার। পুঠিয়ায় সদর দপ্তর হলে আমাদের প্রশাসনিক কার্যক্রম খুব সহজ হয়ে পড়ত।

এ ব্যাপারে নাটোর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির-১ এর সিনিয়র জেনারেল ম্যানেজার মো. সোহরাব হোসেন বলেন, এটাতো মন্ত্রণালয়ের ব্যাপার। পুঠিয়া বাগমারা বাঘা চারঘাট ও দুর্গাপুরকে নিয়ে পুঠিয়ায় পল্লী বিদ্যুৎতের সদর দপ্তর করা যাবে। কিন্তু ওই এলাকার গ্রাহকদের স্থানীয় এমপির মাধ্যমে জাতীয় সংসদে উত্থাপন করতে হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris