শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

হিজাব খুলতে বাধ্য করায় রাবি শিক্ষককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১২ মার্চ, ২০২৪

এফএনএস
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজুর রহমানকে শ্রেণীকক্ষে নারী শিক্ষার্থীদের হিজাব-নিকাব খুলতে বাধ্য করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত ও ব্যক্তি স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছেন শিক্ষার্থীরা। গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১টায় সিনেট ভবন সংলগ্ন প্যারিস রোডে আয়োজিত এক মানববন্ধনে স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মেহেদী সজিব এ ঘোষণা দেন। এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি ধর্ম নিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে একজন নাগরিক আরেকজন নাগরিকের কোনো কাজে হস্তক্ষেপ করতে পারে না। তার সেই অধিকার নেই। বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়কে দেশ বিদেশে উজ্জ্বল করেছেন, সুনাম বৃদ্ধি করেছেন। কিন্তু হাফিজুর রহমানের মতো শিক্ষক বিশ্ববিদ্যালয়কে লাঞ্ছিত, অপমানিত করেছেন। তিনি ক্লাসে জোরপূর্বক মেয়েদের হিজাব খুলিয়েছেন। এটি যৌন নিপীড়ন, যৌন অত্যাচার। আমি বলবো, এমন শিক্ষক আরও যারা আছেন, সাবধান হয়ে যান। এমন শিক্ষক আমরা আর দেখতে চাই না। আমরা আগামী দুই দিনে এর সুষ্ঠু বিচার চাই। ওই শিক্ষককে এই ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো। নিজেকে ভুক্তভোগী দাবি করে ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ফাতেমাতুস সানিহা বলেন, আমি একজন ভুক্তভোগী। আমি ক্লাসে সবসময় হিজাব পরে আসি। আমার ভাবতে খারাপ লাগে, আমার শিক্ষক এই সম্মানিত পোষাককে হেয় করেছেন। একইসঙ্গে তিনি সংবিধানকে অবজ্ঞা করেছেন। সংবিধানে আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। কিন্তু আমাদের ব্যক্তি স্বাধীনতা লঙ্ঘন করেছেন। আমি তার শাস্তি দাবি করছি। মানববন্ধনে একাত্মতা পোষণ করে রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সদস্য সচিব আমানুল্লাহ আমান শিক্ষক হাফিজুর রহমানের পদত্যাগ দাবি করে বলেন, দেশের সংবিধান অনুযায়ী প্রতিটি ব্যক্তিই স্বাধীন। কেউ হিজাব না পরতে চাইলে এটা যেমন তার স্বাধীনতা, কেউ পরতে চাইলে সেটাও তার স্বাধীনতা ও অধিকার। আমরা প্রত্যাশা করি প্রতিটি শিক্ষক নৈতিকভাবে শিক্ষিত হবেন। শিক্ষকসুলভ আচরণ করবেন। হাফিজুর রহমানের মেয়ে সংক্রান্ত যেসব কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এসেছে তা নিন্দার দাবিদার। অভিযোগের বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত শিক্ষককে ফোন দিলে তাকে পাওয়া যায়নি। এ ব্যাপারে বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহা. আশরাফ উজ জামান বলেন, শিক্ষার্থীরা আমার কাছে অভিযোগ দিয়েছে। বিষয়টি নিয়ে আমরা একাডেমিক কমিটির মিটিংয়ে আলোচনা করবো। গতকাল সোমবার ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হাফিজুর রহমানের বিরুদ্ধে ক্লাসে হিজার-নিকাব খুলতে বাধ্য করে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দেওয়ার অভিযোগ করেন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। গতকাল সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে এই শিক্ষকের শাস্তি দাবিতে মানববন্ধন করেন তারা। এরই প্রেক্ষিতে গতকাল মঙ্গলবার স্টুডেন্ট রাইটস অ্যাসোসিয়েশন মানববন্ধনের আয়োজন করে। সেখানে তিন শতাধিক শিক্ষার্থী ও মানবাধিকার কর্মী উপস্থিত ছিলেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris