মঙ্গলবার

৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমীর এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা

Paris
Update : শনিবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার : প্রশিক্ষণ নিতে আসা এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক করার পর অস্বীকার করার অভিযোগে নগরীর রাজপাড়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান সরকার রাঙার বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে, রাজশাহী জেলা শিল্পকলা একাডেমীর কালচারাল অফিসার আসাদুজ্জামান সরকার রাঙা তার অফিস কক্ষ ছাড়াও বাসায় অনৈতিক কর্মকান্ডের মধুকুঞ্জ বানিয়েছিল। তিনি শিল্পকলা একাডেমিতে নৃত্য, সংগীত ও নাটকসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিতে আসা একাধিক ছাত্রীর সাথে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের মাধ্যমে ব্যক্তি স্বার্থ চরিতার্থ করে আসছিল। ঘটনার শিকার অনেক শিল্পী নানা মহলে প্রতিবাদ করেও কোন সুফল পাননি। শেষ পর্যন্ত ঘটনার শিকার এক নৃত্য শিল্পী ও কলেজছাত্রী লম্পট আসাদুজ্জামানের নিকট সম্ভ্রম হারিয়ে রাজপাড়া থানায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেছেন। ওই এজাহারে আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে তার অফিস কক্ষেই সম্ভ্রম হানির অভিযোগ এনেছেন ভিকটিম ছাত্রী। এছাড়াও ওই ছাত্রীকে নগরীর ভদ্রা এলাকায় আসাদুজ্জামানের ভাড়া বাসাতেও জন্মদিনের অনুষ্ঠান করার নামেও বিয়ের প্রলোভন দিয়ে যৌন হয়রানি করা হয় বলেও অভিযোগ করেছেন। আর রাজপাড়া থানায় মামলা দায়েরের আগে ভিকটিম ছাত্রী রাজশাহী জেলা প্রশাসকের (ডিসি) নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতে কোন সুফল না পাওয়ায় রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার ও পুলিশ কমিশনারের নিকট লিখিত অভিযোগ দেন। কিন্তু তারপরেও কাজ না হওয়ায় গত ২২ ফেব্রুয়ারি রাজপাড়া থানায় মামলা করেন। রাজশাহী শিল্পকলা একাডেমির এই কালচারাল অফিসার আসাদুজ্জামানের বিরুদ্ধে কেবল যৌন হয়রানির অভিযোগই নয়, শিল্পীদের অর্থ আত্মসাতেরও অনেক অভিযোগ রয়েছে। তিনি তার অনুগত স্থানীয় শিল্পীদের দিয়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করান। এছাড়াও রাজশাহী জেলার বাহির থেকে শিল্পী এনে বিভিন্ন অনুষ্ঠান করে থাকেন এমন অভিযোগ রয়েছে। আর তিনি একটানা ছয় বছর ধরে রাজশাহী জেলা কালচারাল অফিসারের দায়িত্ব পালন করলেও তার সময় একবারও অডিট করা হয়নি। আর সে কারণেই তার বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ আত্মসাতের গুরুতর অভিযোগ দৃঢ় হয়েছে বলেও জানা গেছে। নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলার বিষয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা রাজপাড়া থানার সাব-ইন্সপেক্টর (এসআই) কাজল নন্দী বলেন, মামলাটি গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে। আসামি পলাতক থাকায় এখনো তাকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris