মঙ্গলবার

৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তানোরে জিয়ারুল হত্যার ঘটনায় মামলা

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

তানোর থেকে প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোরে আওয়ামী লীগ কর্মী জিয়ারুল হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার রাত ১২ টার দিকে জিয়ারুলের বড় ভাই রবিউল ইসলাম বাদি হয়ে মেম্বার ও তালন্দ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল হাসান কে এক নম্বর আসামী করে ১৫ জনের নাম ও অজ্ঞাত নামা উল্লেখ করে মামলাটি দায়ের করেন। হত্যার পর গত বুধবার ভোরে হাসান মেম্বারের স্ত্রী সহ তিনজনকে আটক করে থানা পুলিশ ও বৃহস্পতিবার সাত্তার নামের ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে। জানা গেছে, গত বুধবার ময়না তদন্ত শেষে রাত ৮ টা ১৫ মিনিটের দিকে জিয়ারুলের জানাযার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন করা হয় বলে নিশ্চিত করেন পরিবারের লোকজন। এজহারে উল্লেখ, চলতি মাসের ১৯ ফেব্রুয়ারী তালন্দ ইউনিয়ন ইউপির নারায়নপুর মোড়ে জিয়ারুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে হাসান মেম্বারের নেতৃত্বে আক্রমণ করেন। কিন্তু স্থানীয়দের জন্য পালাতে সক্ষম হন জিয়ারুল। গত ২০ ফেব্রুয়ারী মঙ্গলবার রাত প্রায় ১১ টার দিকে নারায়নপুর মোড় থেকে যুবলীগ নেতা ময়ফুল, তোফাজ্জুল ও সেচ্ছাসেবক লীগ নেতা রবিউল সহ আরো কয়েকজন মিলে উপজেলা পরিষদের শহীদ মিনারে ফুল দিতে আসেন। উপজেলার ভিতরে জিয়ারুলকে দেখে মেম্বার হাসানসহ তার লোকজন পরিষদ চত্বর থেকে বের হলেই প্রানে মেরে ফেলার হুমকি দেয় জিয়ারুলকে। এমন হুমকিতে তোফাজ্জুল কে নিয়ে জিয়ারুল নারায়নপুর মোড়ে পালিয়ে যায়। সেখান থেকে তোফাজ্জুল, ময়ফিল ও রবিউল, জিয়ারুলকে তার গ্রামের উত্তরে কৃষি গুদাম ঘরের কাছে পৌছে দিয়ে তারা আপন আপন বাড়িতে চলে যায় তখন রাত প্রায় ১ টা ১৫ মিনিট হবে। এরপর রাত প্রায় ২ টা ৪০ মিনিটের দিকে সাজ্জাদ নামের এক ব্যক্তি রবিউলের বাড়ির দরজায় গিয়ে জোরে জোরে চিৎকার করতে থাকে।
রবিউল জানান, সাজ্জাদের ডাক চিৎকারে বাহিরে এলে সে বলে জিয়ারুল রক্তাক্ত ও অবস্থায় গ্রামের আহম্মেদর বাড়ির সামনে পড়ে আছে। তার ক্ষত বিক্ষত অবস্থা দেখি চিৎকার দেয়া শুরু করলে প্রতিবেশিসহ গ্রামের লোকজন বেরিয়ে আসে। ওই সময় পুলিশ কে খবর দেয়া হলে ঘটনাস্থলে পুলিশ রক্তাক্ত অবস্থা দেখে বলে মারা গেছে, এরপর জ্ঞান হারিয়ে ফেলি। আমি চাই সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের ফাঁসি হোক। যাতে কাউকে এভাবে মরতে না হয়। ওসির মোবাইলে ফোন দেয়া হলে এসআই আনোয়ার হোসেন রিসিভ করে বলেন, গত বুধবার যে তিনজনকে আটক করা হয়েছিল তাদেরকে বৃহস্পতিবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে এবং বৃহস্পতিবার সাত্তার নামের আরেকজনকে আটক করা হয়েছে। বাকি আসামি দের ধরতে জোরালো অভিযান চলছে।
প্রসঙ্গত, গত মঙ্গলবার শহীদ মিনারে ফুল দিতে এসে বাড়ি ফেরার সময় সন্ত্রাসীদের ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মারা যান জিয়ারুল ইসলাম। তার বাড়ি তালন্দ ইউনিয়ন ইউপির বিলশহর গ্রামে।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris