রবিবার

২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাঘায় শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন

Paris
Update : রবিবার, ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪

স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা : রাজশাহীর বাঘায় শ্লীলতাহানির অভিযোগে শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করা হয়েছে। রোববার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় পদ্মার মধ্যে চকরাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সামনে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ বিষয়ে চকরাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক মিজানুর রহমান বলেন, চকরাজাপুর উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারি প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা ৮ ফেব্রুয়ারি নবম শ্রেণির ক্লাসে যান। এ সময় শিক্ষার্থীরা সুন্দরবন পিকনিকে যাওয়ার জন্য স্যারের কাছে আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সুন্দরবন এলাকায় বানরের আক্রমণ আছে বলে শিক্ষক জানান। বানর কিভাবে আক্রমণ করে চেয়ার থেকে দাঁড়িয়ে শিক্ষক হাত নেড়ে অঙ্গভঙ্গিমায় শিক্ষার্থীদের বুঝানোর সময়ে এক ছাত্রীর ওড়নায় অসাবধানতায় স্পর্শ লাগে। এতে ছাত্রী ক্ষিপ্ত হয়ে তার অভিভাবকদের জানালে তারা বিদ্যালয়ে এসে অফিস কক্ষের তালা ভেঙ্গে বাঁশের লাঠি ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়। তাদের আক্রমনে সহকারি প্রধান শিক্ষকের মাথায় ও ডান হাতের বাহু, ডান হাতের দুটি আগুল ভেঙ্গে গেছে। তবে এ ঘটনায় ছাত্রীকে আপত্তিজনক স্থানে স্পর্শ করা হয়েছে মর্মে শিক্ষকের বিরুদ্ধে থানায় একটি অভিযোগও করা হয়েছে। বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আয়োজনে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী নদী ইসলাম ও নদী খাতুন, দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী ইসরাফিল হোসেন। পরে প্রধান শিক্ষক আবদুস সাত্তার মানববন্ধনে উপস্থিত হয়ে শিক্ষকের বিচার করা হবে মর্মে বক্তব্য দেন। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক আবদুস সাত্তার বলেন, বিষয়টি শিক্ষার্থীরা আমাকে অবগত করেছে। আমি শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য আসস্থ্য করেছি। এরপরও তারা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধ করেছে। তবে আমি ওই দিন বাঘায় বিজ্ঞান মেলায় থাকায় বিদ্যালয়ে ছিলাম না। তারা ওইদিন আমার সহকারি প্রধান শিক্ষককে অফিসের তালা ভেঙ্গে বাঁশের লাঠি ও হকিস্টিক দিয়ে পিটিয়ে জখম করা হয়েছে। বর্তমানে তিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের চিকিৎসা নিচ্ছেন। আমি এ বিষয়ে থানাকে অবগত করেছি। এ বিষয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও চকরাজাপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আজিজুল আযম বলেন, ঘটনা জানার পরপর ঘটনাস্থলে গিয়েছিলাম। ঘটনাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় একটি অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেছে। তবে স্থানীয়ভাবে বসে বিষয়টি সমঝোতার চেষ্টা করা হচ্ছে। এরপরও কিছু শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা জমায়েত হয়ে মানববন্ধন করেছে। এ বিষয়ে সহকারি প্রধান শিক্ষক গোলাম মোস্তফা বলেন, আমি এ বিদ্যালয়ে যোগদানের পর থেকে বারবার রাজনৈতিক প্রহিংসার শিকার হতে হচ্ছে। আমি কিছু লোজের জন্য বারবার লাঞ্চিত হচ্ছি। বাঘা থানার এসআই কামরুজ্জামান বলেন, অভিযোগের প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঘটনাটি তদন্তধীণ রয়েছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris