মঙ্গলবার

৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পুঠিয়ায় বন্ধ হচ্ছে না অবৈধ ডায়াগনষ্টিক সেন্টার

Paris
Update : মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

এফএনএস
নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী দেশের আনাচে-কানাচে গড়ে ওঠা সব ধরনের অবৈধ বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিক ডায়াগনষ্টিক সেন্টার বন্ধ করার নিদের্শ দিয়েছেন। কিন্তু রাজশাহীর পুঠিয়ায় সরকারি নিয়ম অমান্য করে ব্যাঙেরছাতার মতো অর্ধশতাধিক ডায়াগনষ্টিক সেন্টার গড়ে উঠেছে। বেশিরভাগ ডায়াগনষ্টিক সেন্টারে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে পাশকৃত অভিজ্ঞ কোনো টেকনোলজিস্ট নেই। ডায়াগনষ্টিকগুলো থেকে ভুয়া পরীক্ষা-নীরিক্ষার রির্পোট দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। জানা গেছে, পুঠিয়ায় ৫০ শয্যা সরকারি হাসপাতালটিকে কেন্দ্র করে উপজেলায় প্রায় অর্ধশতাধিক মতো ডায়াগনষ্টিক-(প্যাথলজি) গড়ে উঠেছে। হাসপাতাল এলাকা ছাড়াও বানেশ্বরহাট বাজারসহ একাধিক এলাকায় হুট করে রাতেরআধারে ডায়াগনষ্টিক গড়ে উঠতে দেখা যাচ্ছে। সদরের কয়েকটি ডায়াগনষ্টিকের পরীক্ষা-নীরিক্ষার লাইসেন্স আছে বলে তারা দাবি করছে। কিন্তু বেশিভাগ ডায়াগনষ্টিক আবার দুই/একটি পরীক্ষা-নীরিক্ষার লাইসেন্স নিয়ে সব রোগের পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে দেখা যাচ্ছে। উপজেলায় ১৩টি বেসরকারি ক্লিনিক রয়েছে। প্রতিটি ক্লিনিকের আবার আলাদা আলাদা ডায়াগনষ্টিকের শাখা খোলা রয়েছে। ডায়াগনষ্টিকগুলিতে সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে পাশকৃত কোনো টেকনোলজিস্ট দেখা যায় না। নতুন কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান হতে পাশকৃত ছেলেমেয়েদের টেকনোলজিস্ট হিসাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। পুঠিয়া সরকারি হাসপাতালে রোগী আসলে,প্রথমেই অনেকগুলি পরীক্ষা-নীরিক্ষা করার নিদের্শ দেওয়া হচ্ছে। কারণ,পরীক্ষা-নীরিক্ষা করা হলে,সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক ডায়াগনষ্টিকগুলি হতে কমিশনের টাকা পেয়ে যাবেন। ডায়াগনষ্টিকের আয়া বা পুরুষ দালালরা হাসপাতাল খোলা থাকলে,রোগীদের টানাহ্যাচরা করে ডায়াগনষ্টিকে আনতে দেখা যায়। অভিগো উঠেছে, সিভিল সার্জন অফিস থেকে অভিযানে আসার আগেই ডায়াগনষ্টিকগুলিকে জানিয়ে দেওয়া হয়। তখন ডায়াগনষ্টিকগুলি বন্ধ করে রাখেন। পুঠিয়ার কোনো পরীক্ষা-নীরিক্ষা রির্পোট, রাজশাহী জেলা সদরের কোনো চিকিৎসকের নিকট নিয়ে গেলে, সেগুলি বাতিল করে পূর্ণরায় নতুন করে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করতে বলছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বেসরকারি ক্লিনিক,ডায়াগনষ্টিক মালিক বলছেন, শুধুমাত্র জেলা সিভিল সার্জন অফিসের সঙ্গে সমঝোতা করে তারা অবৈধ ডায়াগনষ্টিকগুলি চলাচ্ছেন। উপজেলা জুড়ে যত্রতত্র ভাবে ডায়াগনষ্টিক গড়ে উঠার শাহস পাচ্ছে। ডায়াগনষ্টিকগুলি থেকে ভুয়া পরীক্ষা-নীরিক্ষার রিপোর্ট দেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে। পুঠিয়া দুর্গাপুর চারঘাট তিন উপজেলার ক্লিনিক, ডায়াগনষ্টিক মালিক সমিতির সভাপতি আ.রহমান বলেন, উপজেলায় ১৩টি ক্লিনিক, ১৮টি বৈধ ডায়াগনষ্টিক রয়েছে। বাকি ডায়াগনষ্টিগুলোর সঙ্গে আমাদের সমিতির কোনো সঙ্গে সম্পর্ক নেই। কিভাবে অবৈধভাবে এগুলো চলাচ্ছেন তা আমাদের জানা নেই। তবে এদের কারণে,আমারা যারা বৈধ ব্যবসা করছি তাদের ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এ ব্যাপারে রাজশাহী সিভিল সার্জন ডা আবু সাঈদ মোহাম্মদ ফারুক যুগান্তরকে বলেন, অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনষ্টিক আছে কি না তা বলতে পারবো না। তবে নতুন স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রীর নিদের্শের আলকে অবৈধ ক্লিনিক ডায়াগনষ্টিক সেন্টারগুলির তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। তারপর ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris