সোমবার

২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিত্যপণ্যের দামের অভিযোগ ও তথ্য জানাতে চালু হচ্ছে ৩৩৩ হেল্পলাইন

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৬ জানুয়ারি, ২০২৪

এফএনএস
জাতীয় হেল্পলাইন নম্বর ৩৩৩-তে বাড়তি একটি ডিজিট যোগ করে নিত্য পণ্যের দামের তথ্য আদান প্রদান এবং অভিযোগ জানানো যাবে। চলতি মাসের মধ্যে এই কার্যক্রম শেষ করে সেবা পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রীর জুনায়েদ আহমেদ পলক। গতকাল সোমবার সচিবালয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে বাজার সংক্রান্ত অংশীজনদের অংশ গ্রহণে আয়োজিত ‘বাজার দরে অধিক স্বচ্ছতা নিশ্চিতকরণ এবং এ বিষয়ে ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে উদ্ভাবনী পরিবর্তন আনায়ন’ সংক্রান্ত পরামর্শক সভার শুরুতে তিনি একথা বলেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা কথা উল্লেখ করে পলক বলেন, দ্রব্যমূল্য যেন আমাদের ক্রয় ক্ষমতার ভিতর থাকে, যার যতটুকু অবদান রাখার সুযোগ আছে সে যেন ততটুকু করে। আমরা ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি বিভাগ থেকে আলোচনা করে দেখেছি- যেকোনো পণ্য উৎপাদন, মজুদ, বাজারজাত, বিপণন এবং আমদানি- এ পাঁচটি বিষয়ে সঠিক তথ্য ও তথ্য সংগ্রহ এবং নিজেদের মধ্যে আদান প্রদান করা যায় তাহলে সমস্যার সমাধান করা সম্ভব। আমরা প্রযুক্তির ব্যবহার করে তথ্য বিশ্লেষণ করে দ্রব্যমূল্য কতটা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি। কতটুকু ক্রয় ক্ষমতার মধ্যে রাখতে পারি। পলক বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে একটি কল সেন্টার চেয়েছে। আমরা আলাদা কল সেন্টার না করে পণ্যর উৎপাদন, মজুদ, বাজারজাত, বিপণন এবং আমদানির রিয়েল টাইম তথ্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দিতে চাই। তিনি বলেন, রমজান উপলক্ষে আমরা কল সেন্টার- ৩৩৩ এর পরে একটা ডিজিট বরাদ্দ করবো। যেখানে যেকোনো নাগরিক ফোন করে আলু, ছোলা, পেঁয়াজ, খেজুর বা সবজিসহ সবকিছু সরকারের বেঁধে দেওয়া দাম কোন দোকান বা সুপার মার্কেট কত দাম চেয়েছেন তা নিতেও পারবেন এবং দিতেও পারবেন। তাহলে ধরেন আজকে ঢাকা শহরে এক কেজি খেজুর ১০ টাকা হয়, নাটোরে যদি ৫ টাকা হয় তাহলে জানতে পারবো। ৩৩৩-তে আমরা একটা বাড়তি ডিজিট যোগ করবো যেখানে কোনো ভোক্তা পণ্যের তথ্য, অভিযোগ ও পরামর্শ দিতে পারবেন। ভোক্তা যখন দেখবে যে দাম বেশি তখন কল সেন্টার থেকে থেকে ভোক্তা অধিকারের স্থানন্তর করা হবে এবং অ্যাকশন নেওয়া হবে। সরকারি গুদামের মজুতের তথ্য জানতে পারলেও বেসরকারি গুদামের মজুত আমরা জানতে পারি না উল্লেখ করে পলক বলেন, আমরা বেসরকারির তথ্যটা চাই। আমরা ‘ফুড ফর ন্যাশন’ এর আওতায় একটি ওয়েব সাইট খুলে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেব, সেখানে পণ্যের উৎপাদন ও মজুতের তথ্য থাকবে। ধরেন, চালের উৎপাদন, মজুত, আমদানি এবং বাজারে এত পরিমাণ আছে। আর ২০ বা ৩০ জন শীর্ষ ব্যবসায়ীর গুদামে কতখানি পণ্য আছে। সেটি প্রধানমন্ত্রী এবং বাণিজ্যমন্ত্রী স্মার্টফোনে দেখতে পারবেন। কোনো কারসাজি হলে তার দুজন জানতে পারবেন। পাশাপাশি পণ্যের দাম ওয়েবসাইটে আমরা জনসাধারণের জন্য ওপেন করে দেব যাতে সবাই জানতে পারেন। এভাবে যেখানে সরবরাহ কম থাকবে সেখানে পরের ঘণ্টায় সরবরাহ বাড়িয়ে স্বাভাবিক করে দিলাম। তাহলে মার্কেট ডাউন হয়ে যাবে। যারা মজুত করবে তারা লস খাবে। তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে শহর থেকে গ্রামে দামের ফারাক কমানো, মজুমদারদের কারসাজি এড়ানো এবং পণ্য সরবরাহের মাধ্যমে বাজার নিয়ন্ত্রণ করাই উদ্দেশ্য।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris