শনিবার

৪ঠা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২১শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিজ সন্তান আইসিইউতে থাকায় অন্যের সন্তান চুরি!

Paris
Update : সোমবার, ৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

এফএনএস

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড থেকে তিন দিন বয়সি নবজাতককে চুরির ঘটনায় একই পরিবারের চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। নিজের সন্তান নিবিড় পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে (আইসিইউ) জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে থাকায় নুসরাত এই শিশুকে চুরি করেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গত শনিবার রাতে অভিযান চালিয়ে সরাসরি শিশু চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহভাজন নারী নুসরাত ও তার স্বামীসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন- নুসরাত, তার স্বামী নাজমুল হোসেন তুষার, শ্বাশুড়ি নাহার বেগম ও ননদ নাদিরা ওরফে খুরশিদা। গতকাল রোববার দুপুরে রাজধানীর মিন্টু রোডে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান রমনা বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ হোসেন। তিনি বলেন, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে রাজমিস্ত্রী হিরন মিয়া ও সাহানা বেগম দম্পতির ছেলে শিশু জন্ম নেয়। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে জন্ম নেওয়া নবজাতক মায়ের দুধ পাচ্ছিল না। এই সময়ে একই ওয়ার্ডে ভর্তি থাকা নুসরাত দুধ দানে এগিয়ে আসেন। তার নবজাতক আইসিইউতে থাকায় তিনি এই সহযোগিতা করেন। শিশু চুরির বিষয়ে ডিসি আশরাফ বলেন, ‘তিন দিন ধরে নুসরাত নবজাতককে দুগ্ধ দান করে আসছিলেন। এই সময়ে তার শিশুটি আইসিইউতে থাকায় তার শিশুটির বেঁচে থাকার নিশ্চয়তা না থাকায় তিনি হাসপাতাল থেকে শিশুটিকে চুরি করে নিয়ে যান। এরপর শিশুটিকে নিয়ে আজিমপুর এলাকায় শিশুটিকে স্বামী তুষারের হাতে তুলে দেন। এরপর ফের হাসপাতালের বেডে এসে শুয়ে থাকেন। আর তুষার শিশুটিকে তাদের বাসায় নিয়ে যান।’ ডিসি বলেন, ‘এই ঘটনার তথ্য পেয়ে শাহবাগ থানা পুলিশ হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করে দেখতে পায় নুসরাত নবজাতকটিকে কোলে নিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হয়ে যাচ্ছেন। পরে তাকে জিজ্ঞাবাদে চুরির বিষয়টি স্বীকার করেন। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কামরাঙ্গীরচর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে স্বামী, শ্বাশুড়ি ও ননদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নুসরাত অস্ত্রোপচারের রোগী। তিনি অসুস্থ থাকায় থানা পুলিশের হেফাজতে হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। বাকিদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। নুসরাত সুস্থ হলে তাকেও গ্রেপ্তার দেখানো হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris