মঙ্গলবার

৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

চারঘাটে কমলা-ড্রাগন চাষে কলেজ শিক্ষকের সাফল্য

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২

চারঘাট প্রতিনিধি
একসময় ধারণা ছিল, রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা শুধুমাত্র আম চাষের জন্যই উপযোগী। কিন্তু ধীরে ধীরে কৃষির নানা প্রযুক্তি উদ্ভাবনের সঙ্গে সে ধারণা পাল্টে গেছে। প্রযুক্তিকে কাজে লাগিয়ে ভিন্ন জাতের ফসল ও ফল চাষেও সাফল্য আসছে। ইতিমধ্যে কলেজ শিক্ষক ইসমাইল হোসেন কমলা ও মাল্টা চাষ করে উপজেলা জুড়ে হইচই ফেলেছেন। ২০২০ সালে উপজেলায় প্রথমবারের মতো ড্রাগন ফল চাষ করে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন এই শিক্ষক। পরে তাঁর বাগানের ড্রাগন চারা উপজেলার অন্য এলাকাতেও ছড়িয়ে পড়ে। ড্রাগনে সফলতার পর এবার পাঁচ বিঘা জমিতে মাল্টা ও তিন বিঘা জমিতে কমলা চাষ করে সফলতা পেয়েছেন তিনি।

ইসমাইল হোসেন চারঘাট উপজেলার শলুয়া ইউনিয়নের মাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা এবং বিড়ালদহ কলেজের প্রভাষক। শিক্ষকতার পাশাপাশি গ্রামে কৃষিকাজ করেন তিনি। গতানুগতিক কৃষির ওপর নির্ভরশীল না হয়ে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে লাভজনক ফসল উৎপাদনে বিশ্বাসী তিনি। গতকাল মঙ্গলবার উপজেলার খোর্দগোবিন্দপুর এলাকায় ইসমাইল হোসেনের কৃষি খামার ঘুরতে গেলে দেখা যায়, কৃষি খামারের পূর্বপাশে মাল্টা বাগান ও পশ্চিম পাশে কমলা বাগান। মাঝখানে আতাফল, ড্রাগন ও লেবু রয়েছে। সাথী ফসল হিসাবে পুরো খামার জুড়েই বেগুন চাষ করেছে।

এসময় থোকায় থোকায় ঝুলে থাকা কমলা ও মাল্টা দেখিয়ে ইসমাইল হোসেন জানান, তিনি পাঁচ বিঘা জমিতে বারি-১ জাতের ৯শ ১০ টি মাল্টা এবং তিন বিঘা জমিতে দার্জিলিং ও চায়না জাতের ২শ ৯০টি কমলা গাছ লাগিয়েছেন। গাছের বয়স এখন দেড় বছর। কমলা ও মাল্টা সব গাছই এখন ফলে পরিপূর্ণ। এতে খরচ হয়েছে প্রায় তিন লক্ষ টাকা। তবে মাল্টা-কমলার সাথী ফসল হিসাবে বেগুন চাষ করে ইতিমধ্যে সাড়ে তিন লক্ষ টাকা আয় করে ফেলেছেন।

তিনি জানান, এই অঞ্চলে পানির সংকট একটি যেকোনো ফল চাষের জন্য বড় সমস্যা। এ সংকট মোকাবিলায় ড্রিপ ইরিগেশন পদ্ধতি ব্যবহার করেন ইসমাইল হোসেন। মূল পাইপ থেকে সরু পাইপের মাধ্যমে পানি দেওয়া হয় প্রতিটি গাছের গোড়ায়। এই পদ্ধতিতে পানির অপচয় হয় না। এ মৌসুমে প্রায় পাঁচ লক্ষ টাকার মাল্টা ও কমলা বিক্রি হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ লুৎফুন নাহার বলেন, আমরা তাঁর ফলের বাগান পরিদর্শন করেছি। ইতি মধ্যে তিনি আধুনিক ফলচাষি হিসেবে এলাকায় পরিচিতি পেয়েছেন। ফল চাষে তার গবেষণামূলক মনোভাবও আছে। বিদেশ থেকে আমদানি করা কমলা ও মাল্টার চেয়ে দেশে চাষ করা কমলার স্বাদ কোনো অংশে কম নয়। এ বিষয়ে তাকে নানা রকম পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris