শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

বিদেশী ঋণের কিস্তি পরিশোধে দেশের ওপর চাপ বাড়ার আশঙ্কা

Paris
Update : শুক্রবার, ২৯ জুলাই, ২০২২

বিদেশী ঋণের কিস্তি পরিশোধে দেশের ওপর চাপ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। কারণ অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে বিদেশী ঋণের পরিমাণ। বিগত ৫ বছরের ব্যবধানে বৈদেশিক ঋণ বেড়ে দ্বিগুণেরও বেশি হয়েছে। ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৫ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ চার হাজার ৫৮১ কোটি ডলার। গত ২০২১-২২ অর্থবছরের মার্চ শেষে ওই ঋণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৩ দশমিক ২৩ বিলিয়ন বা ৯ হাজার ৩২৩ কোটি ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ৮ লাখ ৭৬ হাজার কোটি টাকারও বেশি। ওই সংখ্যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ২১ শতাংশ। ব্যাংকিং খাত সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। –

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, বিদেশী বড় ঋণের বেশিরভাগই সরকারের নেয়া। শতকরা হিসাবে যার পরিমাণ ৮৩ শতাংশ। একই সময়ে বেসরকারি খাতে ঋণ নেয়া হয়েছে ২৭ শতাংশ। আর ওই বিপুল পরিমাণ বিদেশী পরিশোধ করতে সরকারি-বেসরকারি খাতে চাপ বাড়ার শঙ্কা রয়েছে। যদিও বর্তমান সঙ্কট কাটাতে বিদেশী ঋণের প্রয়োজন রয়েছে। তবে তা সামাল দিতে না পারলে খারাপ পরিস্থিতির মুখে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সূত্র জানায়, বিগত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে বিদেশী উৎস থেকে সরকারি-বেসরকারি খাতে ঋণের পরিমাণ ছিল ৪৫ দশমিক ৮১ বিলিয়ন ডলার বা ৪ হাজার ৫৮১ কোটি ডলার। তার মধ্যে ৩৬ দশমিক ৭৮ বিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ৪ হাজার ৬৭৮ কোটি ডলার ছিল দীর্ঘমেয়াদি ঋণ। আর স্বল্পমেয়াদি ঋণ ৯ দশমিক শূন্য ৩ বিলিয়ন ডলার, যা মোট জিডিপির ১৫ দশমিক ৬ শতাংশ। আর বিদেশী ঋণের প্রবৃদ্ধি ছিল ১১ দশমিক ৩ শতাংশ। কিন্তু ২০২০-২০২১ অর্থবছরে বিদেশি ঋণের প্রবৃদ্ধি উচ্চহারে (১৯ শতাংশ) ছিল। ওই সময়ে মোট বিদেশি ঋণের পরিমাণ ছিল ৮১ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন ডলার বা ৮ হাজার ১৫৭ কোটি ডলার।

২০২১-২০২২ অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে (৯ মাসে) আরো ১১ দশমিক ৬৬ বিলিয়ন বা এক হাজার ১৬৬ কোটি ডলার বেড়েছে। দেশে এখন সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি খাতেও বিদেশী ঋণ বাড়ছে। ২০১৭ সালের শেষে দেশের বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণের পরিমাণ ছিল ১২ দশমিক ২৮ বিলিয়ন বা এক হাজার ২২৮ কোটি ডলার। সূত্র আরো জানায়, দেশের বেসরকারি খাতে গত ৫ বছরে বিদেশী ঋণের পরিমাণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৫ বিলিয়ন বা ২ হাজার ৪৯৮ কোটি ডলার। করোনাকালীন সময়ে বেসরকারি খাতে বিদেশী ঋণের পরিমাণ সবচেয়ে বেড়েছে। এসময়ে প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলার ঋণ নেয়া হয়েছে। যার ৭০ ভাগই স্বল্পমেয়াদি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris