শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

এপ্রিলেও রপ্তানি আয় ছিল ঊর্ধ্বমুখী

Paris
Update : মঙ্গলবার, ১০ মে, ২০২২

এফএনএস : রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাবে রপ্তানি নিয়ে শঙ্কা তৈরি হলেও শেষপর্যন্ত এপ্রিল মাসের রপ্তানি আয়ে আগের (মার্চ) মাসের ঊর্ধ্বমুখী ধারা বজায় রয়েছে। অন্যদিকে, আগের বছরের একই সময়ের চেয়ে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫১ শতাংশ। সাম্প্রতিক কয়েক মাসের ইতিবাচক ধারা বজায় রেখে সবশেষ মার্চের ৩০ দিনে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি করে ৪৭৩ কোটি ৮৬ লাখ ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ। যা গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৫১ দশমিক ১৮ শতাংশ বেশি। গত ২০২০-২০২১ অর্থবছরের এপ্রিলে ৩১৩ কোটি ৪৩ লাখ ডলারের পণ্য রপ্তানি হয়েছিল।

রপ্তানিরে এ আয় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ৪০ দশমিক ৬৬ শতাংশ বেশি। এ সময়ে লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৩৩৬ কোটি ৯০ লাখ ডলার। রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেন-রাশিয়ার সামরিক আগ্রাসন শুরু হয়। তিন মাস পার হলেও যুদ্ধ থামেনি। যুদ্ধের কারণে আন্তর্জাতিক বাজারে বেড়েছে জ¦ালানির দাম। জাহাজভাড়াসহ বিশ্ববাণিজ্যে নানা ধরনের প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়েছে।

বাংলাদেশের রপ্তানিখাতে যুদ্ধের প্রভাবে পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করা হলেও তা হয়নি। ইপিবির পরিসংখ্যান বলছে, রপ্তানিতে পোশাকের আধিপত্য বজায় রয়েছে। চলতি অর্থবছরের এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে ৩ হাজার ৫৩৬ কোটি ২৫ লাখ ডলারের পোশাক পণ্য রপ্তানি হয়েছে। লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এই আয় ২১ দশমিক ৭১ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৩৫ দশমিক ৯৮ শতাংশ বেশি।

গত অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল এ ১০ মাসের তুলনায় চলতি অর্থবছরের একই সময়ে হিমায়িত মৎস্য রপ্তানি করে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ১৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ, কৃষিপণ্যে ২৬ দশমিক ২৯ শতাংশ, ম্যানুফ্যাকচার পণ্যে ৩৫ দশমিক ৬১ শতাংশ, কেমিক্যাল ও ফার্মাসিটিক্যাল পণ্যে ৪৫ শতাংশ, প্লাস্টিক পণ্যে ৩৫ শতাংশ প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। এ ছাড়া চামড়াজাত পণ্যে ৩২ দশমিক ৯৭, কুটির শিল্পে ৩০ দশমিক ২৪ শতাংশ,

সিরামিক পণ্যে ৩৯ দশমিক ৯৬ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তবে, গত কয়েক মাসের মতো রপ্তানিতে নেতিবাচক অবস্থানে রয়েছে পাট ও পাটজাত পণ্য। এপ্রিল পর্যন্ত ১০ মাসে পাটখাতের রপ্তানি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৭ দশমিক ৬৭ শতাংশ এবং গত বছরের একই সময়ের চেয়ে ৬ দশমিক ৬৮ শতাংশ পিছিয়ে আছে। পাট ও পাটজাত পণ্যখাত থেকে রপ্তানি হয়েছে ৯৬ কোটি ৬৫ লাখ ডলার।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris