শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

করোনার মহামারীতেও বেড়েছে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা

Paris
Update : রবিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২১

এফএনএস : করোনা মহামারী প্রাদুর্ভাবের মধ্যেও দেশে কোটিপতি হিসাবধারীর সংখ্যা বেড়েছে। বর্তমানে দেশে কোটিপতি আমানতকারীর সংখ্যা এক লাখ ছাড়িয়ে গেছে। আর এক বছরের ব্যবধানে প্রায় সাড়ে ১২ হাজার কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে। আর চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে বেড়েছে ৬ হাজারেরও বেশি। যদিও করোনার গত দেড় বছরে দেশে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার কোটিপতি বেড়েছে। করোনায় মানুষের আয় কমার পরও কোটিপতির সংখ্যা বাড়ার প্রবণতা সমাজে আয় বৈষম্য বাড়াচ্ছে।

বর্তমানে দেশে অর্থনীতির আকার ক্রমেই বড় হচ্ছে। প্রতিবছরই জিডিপি প্রবৃদ্ধি ও মাথাপিছু আয় বাড়ছে। তবে কিছু মানুষ যেমন গরিব হয়েছে, তেমনি ধনীরা আরো বেশি ধনী হয়েছে। মূলত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির গুণগত মান না বাড়ায় সমাজের একটি শ্রেণির কাছেই বেশি সম্পদ ও অর্থ কেন্দ্রীভূত হয়ে পড়ছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, চলতি বছরের সেপ্টেম্বর শেষে দেশে মোট আমানতকারী সঞ্চয় হিসাব সংখ্যা ১২ কোটি ৩৫ লাখ ৬৩ হাজার ৩৪৬টি দাঁড়িয়েছে। ওসব অ্যাকাউন্টে আমানত জমা আছে ১৪ লাখ ৬২ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। তার মধ্যে এক কোটি টাকার আমানতকারী অ্যাকাউন্ট সংখ্যা এক লাখ ২৩৯টি। ওসব অ্যাকাউন্টে আমানতের পরিমাণ ৬ লাখ ৩৯ হাজার ২৮৫ কোটি টাকা। যদিও এক বছর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত দেশে এক কোটি টাকার বেশি অ্যাকাউন্ট ছিল ৮৭ হাজার ৪৯০টি।

ফলে গত এক বছরের ব্যবধানে কোটিপতি অ্যাকাউন্ট ১২ হাজার ৭৪৯টি বেড়েছে। আর গত বছরের ডিসেম্বরে দেশে কোটিপতি আমানতকারী অ্যাকাউন্ট ৯৩ হাজার ৮৯০টি ছিল। ওই হিসেবে চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে ৬ হাজার ৩৪৯ জন। আর গত বছরের প্রথম ৯ মাসে কোটিপতি আমানতকারী অ্যাকাউন্ট মাত্র তিন হাজার ৬৫১টি বেড়েছিল।

সূত্র জানায়, গত বছরের মার্চে দেশে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরুর পর গোটা দেশের অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। ওই সময়ে অনেকে চাকরি ও কাজ হারিয়ে কর্মহীন হয়েছে। আবার অনেকের আয় কমে যায়। নতুন করে দারিদ্র্যের কাতারে যায় এমন মানুষের সংখ্যাও অনেক। কিন্তু একই সময়ে এক শ্রেণির মানুষের আয় না কমে বরং উল্টো বেড়েছে। করোনা প্রাদুর্ভাব শুরুর আগে গত বছরের মার্চ পর্যন্ত দেশে কোটিপতি আমানতকারীর হিসাব সংখ্যা ছিল ৮২ হাজার ৬২৫ জন। চলতি বছরের সেপ্টেম্বরে তা বেড়ে হয়েছে এক লাখ ২৩৯ জন। ফলে করোনায় গত দেড় বছরে দেশে কোটিপতি আমানতকারী বেড়েছে ১৭ হাজার ৬১৪ জন।

সূত্র আরো জানায়, করোনাকালে এক কোটি এক টাকা থেকে ৫ কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭৮ হাজার ৭২৫টি। আর ৫ কোটি এক টাকা থেকে ১০ কোটির মধ্যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে ১১ হাজার ৭৯টি। ১০ কোটি এক টাকা থেকে ১৫ কোটির মধ্যে অ্যাকাউন্ট রয়েছে ৩ হাজার ৬৪২টি। ১৫ কোটি এক টাকা থেকে ২০ কোটির মধ্যে অ্যাকাউন্ট এক হাজার ৭৪০টি। ২০ কোটি এক টাকা থেকে ২৫ কোটির মধ্যে অ্যাকাউন্ট এক হাজার ১৮৩টি। ২৫ কোটি এক টাকা থেকে ৩০ কোটির মধ্যে অ্যাকাউন্ট ৯১৬টি।

৩০ কোটি এক টাকা থেকে ৩৫ কোটি টাকার মধ্যে অ্যাকাউন্ট ৪৩০টি। ৩৫ কোটি এক টাকা থেকে ৪০ কোটির মধ্যে অ্যাকাউন্ট ৩২৬টি। ৪০ কোটি এক টাকা থেকে ৫০ কোটি টাকার অ্যাকাউন্ট ৬২৯টি। আর ৫০ কোটি টাকার বেশি আমানত গচ্ছিত রাখা অ্যাকাউন্ট এক হাজার ৫৫৯টি। অথচ স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে দেশে কোটিপতি আমানতকারী ছিলেন ৫ জন আর ১৯৭৫ সালে তা ৪৭ জনে উন্নীত হয়।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris