রবিবার

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
আজ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় রাজশাহী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ চায় ঠিকাদাররা! নগদ আছে ১ কোটি টাকা, জানেন না টিভি-ফ্রিজ ও আসবাবপত্রর মূল্য! সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মিথিলার মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখলেন নায়ক দেব! ধান কাটতে গিয়ে ‘হিট স্ট্রোকে’ বাঘার শ্রমিকের সিংড়ায় মৃত্যু! গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয়

প্রতারণা করে গ্রাহকদের থেকে সংগ্রহ করা অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেলছে কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২৬ আগস্ট, ২০২১

এফএনএস : দেশে কর্মরত কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান গ্রাহকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা নামে-বেনামে অন্যত্র সরিয়ে ফেলছে। ওসব প্রতিষ্ঠান বিশেষ অফার দিয়ে পণ্য দেয়ার কথা বলে গ্রাহকের কাছ থেকে অর্থ নিলেও নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে পণ্য দিচ্ছে না। পাশাপাশি গ্রাহকের কাছ থেকে সংগ্রহ করা অর্থও ওসব প্রতিষ্ঠান নামে-বেনামে অন্যত্র সরিয়ে ফেলছে। এমন পরিস্থিতিতে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানগুলোর জালিয়াতির বিষয়ে বিশেষ নজর রাখা শুরু হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সাইবার ক্রাইম বিভাগ অন্তত ১৫টি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমকে নজরদারিতে রেখেছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি কমন দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয় হলো গ্রাহককে যে পণ্য দেয়ার কথা, তার মধ্যে ১০ শতাংশ তারা সময় মতো দিয়ে থাকে। বাকি ৯০ শতাংশ গ্রাহকের অর্থ তারা অনেক দিন আটকে রাখে। ওসব গ্রাহকদের বলা হয় ৫-৬ মাস পর তাদের পণ্য দেয়া হবে। আর ওসব অর্থ ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের মালিকপক্ষ অন্য ব্যবসায় স্থানান্তর করে। দেশে ই-কমার্স বৈধ। তার একটি নীতিমালাও রয়েছে। কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানই ওই নীতিমালা অনুসরণ করছে না। সেজন্যই বেশ কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম নজরদারিতে রাখা হয়েছে। তাদের ত্রুটি-বিচ্যুতির বিষয়ের সন্দেহাতীত প্রমাণ পাওয়া গেলে জড়িতদের আইনের আওতায় আনা হবে।

সূত্র জানায়, পুলিশ সদরদপ্তর, র‌্যাব, সিআইডির সাইবার ইউনিট পৃথকভাবে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রমের ওপর নজর রাখছে। নজরদারি তালিকায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ইভ্যালি, ই-অরেঞ্জ ছাড়াও রয়েছে আলেশা মার্ট, কিউকম, বুমবুম, আদিয়ান মার্ট, নিডস, দালাল, সিরাজগঞ্জ শপ, ধামাকা শপিং ডটকম, নিরাপদ ডটকম, আলাদিনের প্রদীপ, এসকে ট্রেডার্স ও মোটরস। ধামাকা শপিংয়ের গ্রাহকদের কাছ থেকে অগ্রিম আদায় করা ৫০ কোটি টাকা অন্য ব্যাংকের হিসাব নম্বরে পাচার করা হয়। ওই জালিয়াতির ঘটনায় প্রধান সন্দেহভাজন প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে খোঁজা হচ্ছে। সে বর্তমানে দেশের বাইরে রয়েছে।

তাছাড়া আরো কিছু ই-কমার্স প্রতিষ্ঠানের অর্থ তাদের নিজস্ব বৈধ অ্যাকাউন্টে জমা না হয়ে অন্য হিসাব নম্বরে সরাসরি চলে যাচ্ছে। বিশেষ করে অর্থ পাচারকারীরা কিছু মার্চেন্ট অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান নিরাপদ ডট কমের কর্ণধারের বিরুদ্ধে ৮ কোটি টাকার মতো অর্থ জালিয়াতির অভিযোগ রয়েছে। তবে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে পুলিশের কাছে স্বীকার করা হয় ওই অর্থের পরিমাণ আড়াই কোটি টাকার মতো। গত ১২ জুলাই নিরাপদ ডটকম নামের একটি প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।

তাছাড়া গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ই-অরেঞ্জের মালিকসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা হয়েছে। মামলায় এক লাখ গ্রাহকের ১ হাজার ১০০ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠলেও এখন পর্যন্ত শুধু ৫০০ কোটি টাকা প্রতিষ্ঠানটির ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরের প্রমাণ মিলেছে। মূলত ডাবল ভাউচার অফার দিয়ে গ্রাহকের কাছ থেকে টাকা নেয় ই-অরেঞ্জ। অফারের ভাষ্য ছিল, কেউ এক লাখ টাকা জমা দিলে দুই লাখ টাকার ভাউচার পাবে। ওই ভাউচার দিয়ে তিনি প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে পণ্য কিনতে পারবে। এদিকে এ প্রসঙ্গে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন্স) কর্নেল কেএম আজাদ জানান, ই-কমার্সভিত্তিক প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারে কিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। ওসব অভিযোগ তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris