এফএনএস : সাড়ে তিন বছর পর ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান সূচক ৬ হাজার পয়েন্ট ছাড়াল। গতকাল রোববার ডিএসইএক্স ইনডেক্স আগের দিনের চেয়ে ২২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৮ পয়েন্টে উন্নীত হয়। এটি ২০১৮ সালের ১৫ মার্চের পর একদিনে সূচকের সর্বোচ্চ অবস্থান। এর আগে, ২০১৮ সালের ১৫ মার্চ ডিএসইএক্স ইনডেক্স ছিলো ৬ হাজার ৫০ পয়েন্টে। ওইদিনের পর গতকাল রোববার ডিএসইর সূচক সর্বোচ্চ পয়েন্টে উন্নীত হয়েছে। তবে রোবাবর পুঁজিবাজারে সূচক বাড়লেও কমেছে লেনদেন হওয়া বেশিরভাগ কোম্পানির শেয়ারের দাম। সে সঙ্গে কমেছে আর্থিক ও শেয়ার লেনদেনও।

দিনশেষে ব্যাংক ও আর্থিক খাতের বেশির ভাগ শেয়ারে দাম কমলেও বেড়েছে বিমা ও প্রকৌশল খাতের শেয়ারের দাম। দিনশেষে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ৩৬৪টি কোম্পানির ৭৯ কোটি ৮৬ লাখ ৫৭ হাজার ৮৭৪টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১৪৪টির, কমেছে ১৭৪টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৪৬টি কোম্পানির শেয়ারের দাম। এদিন ডিএসইতে আর্থিক লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়ায় দুই হাজার ১৪৯ কোটি ২১ লাখ টাকা।

আগের দিন বৃহস্পতিবার ডিএসইতে লেনদেন হয়েছিলো ২ হাজার ৩৬৮ কোটি ৮৮ লাখ টাকা। ডিএসই ব্রড ইনডেক্স আগের কার্যদিবসের চেয়ে ২২ পয়েন্ট বেড়ে ৬ হাজার ৮ পয়েন্টে উন্নীত হয়। এছাড়াও এদিন ডিএসই-৩০ মূল্যসূচক ১৮ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ২০৮ পয়েন্ট এবং ডিএসইএস শরীয়াহ সূচক ১ পয়েন্ট বেড়ে ১ হাজার ২৮৫ পয়েন্টে উঠে আসে। দিনশেষে ডিএসইর বাজার মূলধন ৫ লাখ ৩ হাজার ৪৫৯ কোটি ৪৭ লাখ টাকায় উন্নীত হয়।

অন্যদিকে, অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) এদিন ৩০৩ কোম্পানির ৩ কোটি ৬০ লাখ ৬৫ হাজার ৮০২টি শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। লেনদেন হওয়া এসব শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে দাম বেড়েছে ১২১টির, কমেছে ১৪৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ৩৯টির কোম্পানির শেয়ারের দাম। দিনশেষে সিএসইর প্রধান সূচক আগের দিনের চেয়ে ৩৯ পয়েন্ট বেড়ে ১৭ হাজার ৩৭৯ পয়েন্টে উন্নীত হয়। এদিন সিএসইতে ১০৯ কোটি ২ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়। আগের দিন সিএসইতে ১০৪ কোটি ৩৭ লাখ টাকার শেয়ার কেনাবেচা হয়েছিল।