শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

এবারের লকডাউনে দুধের ভালো দাম-বিক্রি বাড়ায় খামারিরা খুশি

Paris
Update : রবিবার, ২৩ মে, ২০২১

এফএনএস : দেশের দুগ্ধ খামারিরা গত বছরের মার্চ থেকে শুরু করে টানা চার-পাঁচ মাস লোকসান গুনছে। তবে এবারের লকডাউনে দুধ বিক্রি বেড়েছে। পরিস্থিতি এমন হয়েছে যে, এবার দুধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো খামারিদের কাছে ধরনা দিয়ে ও দাম বাড়িয়েও প্রয়োজনীয় দুধ পাচ্ছে না। বরং খামারিরা দুধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর বাইরে খোলা বাজারে ও ছানা তৈরির কারখানায় ভালো দামে দুধ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখছে। অথচ করোনা মহামারির কারণে গত বছরের লকডাউনে দুধ নিয়ে খামারিরা চরম দুর্দশায় পড়েছিল। তখন দুধ সংগ্রহকারী প্রতিষ্ঠানগুলো খামারিদের কাছ থেকে দুধ কেনা কমিয়ে দেয়ায় তাদের খোলা বাজারে পানির দরে দুধ বেচতে হয়েছিল। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এবং দুগ্ধ খামারিদের সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, পাবনা জেলার বেড়া, সাঁথিয়া, ফরিদপুর, ভাঙ্গুড়া ও চাটমোহর এবং সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর ও উল্লাপাড়া উপজেলা নিয়ে দেশে গরুর দুধ উৎপাদনের একটি অন্যতম এলাকা গড়ে উঠেছে। ওসব এলাকায় ছোট-বড় প্রায় ২৫ হাজার দুধের খামার রয়েছে। তাছাড়া গ্রামের বেশির ভাগ বাড়িতে গরু পালন করে দুধ উৎপাদন করা হয়। সব মিলিয়ে ওসব এলাকায় প্রতিদিন প্রায় ১০ লাখ লিটার গরুর দুধ হয়। ওই এলাকার গরুর দুধের ওপর নির্ভর করে সরকারি মিল্ক ভিটা এবং বেসরকারি প্রাণ ডেইরি, আড়ং দুধ, ফার্ম ফ্রেশ, অ্যামোমিল্ক, পিউরা মিল্ক, ইছামতী ডেইরি, আফতাব ডেইরি, রংপুর ডেইরিসহ বেশ কিছু দুধ সংগ্রহকারী ও প্রক্রিয়াজাতকারী প্রতিষ্ঠান। উৎপাদিত দুধের বেশির ভাগই ওসব প্রতিষ্ঠান সংগ্রহ করে সারা দেশে বিপণন করে। ওসব প্রতিষ্ঠান দুধ সংগ্রহ কমিয়ে দিলে খামারিদের পানির দরে খোলা বাজারে দুধ বেচতে হয়।

সূত্র জানায়, এবারও সরকার লকডাউনের ঘোষণা দেয়ার পর খামারিদের মধ্যে দুধ বিক্রি নিয়ে দুশ্চিন্তা দেখা দিয়েছিল। তারা ভেবেছিল, গত বছরের মতো এবারও তাদের লোকসান গুনতে হবে। তবে এবার দুধের চাহিদা না কমে উল্টো বেড়েছে। খামারিদের মতে, রোজা ও ঈদ উপলক্ষে স্থানীয় ছানা তৈরির কারখানা, হোটেল এবং খোলা বাজারে দুধের চাহিদা ও দাম ব্যাপক বেড়েছে। সারা দেশে চাহিদা বাড়ায় দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলো দুধ সংগ্রহের পরিমাণ ও দাম বাড়িয়েছে। সব মিলিয়ে খামারিদের দুধ বিক্রিতে ভালো লাভ হচ্ছে। দু-তিন সপ্তাহ আগেও একটি দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানে গড়ে ৪৮ টাকা লিটার দরে দুধ কিনতো। এখন খামারিরা ওসব প্রতিষ্ঠানে দুধ না দিয়ে পুরোটাই স্থানীয় হোটেল ও খোলা বাজার ৬০ থেকে ৭০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করছে।

এদিকে দুগ্ধ খামারিদের মতে, গোখাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় অনেক খামারিই গাভিগুলোকে পরিপূর্ণ খাবার দিতে পারছে না। তাতে দুধের উৎপাদন কমে গেছে। কেউ কেউ আবার গোখাদ্যের চড়া মূল্যের কারণে গাভির সংখ্যাও কমিয়ে দিয়েছে। তাছাড়া বছরের এই সময়ে এমনিতেই গাভির দুধ দেয়ার ক্ষমতা কিছুটা কমে যায়। গতবারের লকডাউনের সময় অনেক খামারি দুধ ফেলে দিতেও বাধ্য হয়েছে। কিন্তু এবার দুধের দাম লিটারে ৮ থেকে ১০ টাকা বাড়িয়ে ও খামারিদের কাছে ধরনা দিয়েও দুগ্ধ প্রক্রিয়াজাত প্রতিষ্ঠানগুলো দুধ পাচ্ছে না।

অন্যদিকে পাবনা-সিরাজগঞ্জে শতাধিক ছানা তৈরির কারখানা রয়েছে। ওসব কারখানার ছানার চাহিদা ব্যাপক বেড়েছে। খামারিরা লকডাউনের শুরুতে ওসব কারখানায় ৪৬ থেকে ৫২ টাকা লিটার দরে দুধ বিক্রি করলেও এখন সেখানে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা দরে বিক্রি করছে। এ প্রসঙ্গে প্রাণ ডেইরির সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) ইফতিখারুল ইসলাম জানান, লকডাউনের আগে থেকেই পাবনা-সিরাজগঞ্জ অঞ্চল থেকে চাহিদা অনুযায়ী দুধ পাওয়া যাচ্ছিল না। প্রতিদিন এক থেকে দেড় লাখ লিটারের জায়গায় দুধ পাওয়া যাচ্ছিল মাত্র ৪০ থেকে ৫০ হাজার লিটার মাত্র। তার মধ্যে দুধের দামও বেশ বাড়ানো হয়েছে। তারপরও প্রয়োজন অনুযায়ী দুধ পাওয়া যাচ্ছে না।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris