শনিবার

২৭শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৪ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
তীব্র তাপদাহে রাসিকের উদ্যোগে ১০ স্থানে বিশেষ স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প নওগাঁয় ১১০ মেট্রিক টন ভূট্টা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা কেন্দ্রীয় নির্দেশনা অমান্য করে বাঘা উপজেলায় আ.লীগের প্রার্থী নির্ধারণ! বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর সুযোগ রয়েছে : প্রধানমন্ত্রী গরমের জন্য সরকারকে দায়ী করলেন রিজভী আপাতত গরমেই খেলবে সাবিনা-সানজিদারা ১০ কোটি টাকা অনিয়ম পাবনায় অগ্রণী ব্যাংকের ৩ কর্মকর্তা আটক লালমনিরহাটেও যোগ দেননি কেএনএফ প্রধান নাথানের স্ত্রী বাংলাদেশের চিকিৎসা খাতে থাই বিনিয়োগ চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী তীব্র তাপদাহে নগরবাসীর পাশে থাকতে রাসিক যেসব উদ্যোগ গ্রহণ করতে যাচ্ছে

অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই সাড়ে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স

Paris
Update : শনিবার, ৩ এপ্রিল, ২০২১

এফএনএস : চলমান করোনা মহামারীর মধ্যেই প্রবাসী আয়ে আবার রেকর্ড হয়েছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসেই সাড়ে ১৮ বিলিয়ন ডলারের বেশি রেমিট্যান্স এসেছে। এটি গত অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়ে ২ শতাংশ এবং একই সময়ের চেয়ে ৩৫ শতাংশ বেশি। অর্থাৎ গত অর্থবছরের পুরো সময়ের চেয়েও বেশি রেমিট্যান্স এসেছে এই আট মাসে। এ ছাড়া চলতি অর্থবছরের মার্চ মাসে গত অর্থবছরের মার্চের তুলনায় ৫০ শতাংশের বেশি রেমিট্যান্স বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এসব তথ্য পাওয়া গেছে। ২০১৯ সালের ১ জুলাই থেকে ব্যাংকিং চ্যানেলে রেমিট্যান্স পাঠালে ২ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। চলতি অর্থবছরেও এই সুিবধা বহাল রাখা হয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলছেন, নগদ প্রণোদনায় রেমিট্যান্সের ঊর্ধ্বগতি বজায় রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্বাহী পরিচালক ও মুখপাত্র মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, করোনার মধ্যেও রেমিট্যান্স বাড়ার অন্যতম কারণ সরকারের ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা। কারণ ২ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দেওয়ার পর থেকেই রেমিট্যান্স ক্রমে বাড়ছে। এ ছাড়া টাকার বিপরীতে ডলারের দাম স্থিতিশীল রাখা ও হুন্ডি প্রতিরোধে সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপ রেমিট্যান্স বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, চলতি অর্থবছরের মার্চে মাসে রেমিট্যান্স এসেছে ১৯১ কোটি ৯৫ লাখ ডলার।

এটি আগের মাস ফেব্রুয়ারির তুলনায় প্রায় ৮ শতাংশ এবং গত অর্থবছরের একই মাসের চেয়ে ৫০.৪০ শতাংশ বেশি। গত ফেব্রুয়ারি মাসে ১৭৮ কোটি ডলার রেমিট্যান্স আসে। আর গত অর্থবছরের মার্চ মাসে মাত্র ১২৭ কোটি ৬২ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স এসেছিল। সব মিলে চলতি অর্থবছরের (জুলাই-মার্চ) প্রথম ৯ মাসে রেমিট্যান্স এসেছে এক হাজার ৮৬০ কোটি ৩৮ লাখ ডলার। এটি গত অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪৮২ কোটি ৯১ লাখ ডলার বা ৩৫.০৫ শতাংশ বেশি। গত অর্থবছরের প্রথম ৯ মাসে দেশে রেমিট্যান্স এসেছিল এক হাজার ৩৭৭ কোটি ৪৭ লাখ ডলার। আর গত অর্থবছরের পুরো সময়ে এসেছিল এক হাজার ৮২০ কোটি ৫০ লাখ ডলার।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে আরো দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জানুয়ারি মাসে ১৯৬ কোটি ২৬ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এটি আগের মাস ডিসেম্বরের চেয়ে ৫.৬৬ শতাংশ কম। গত ডিসেম্বর মাসে ২০৫ কোটি ছয় লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। এ ছাড়া গত নভেম্বরে রেমিট্যান্স আসে ২০৭ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। অক্টোবরে আসে ২১০ কোটি ২১ লাখ ডলার। এ ছাড়া সেপ্টেম্বরে একক মাস হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ২১৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের রেমিট্যান্স আসে। আর জুলাইয়ে একক মাস হিসেবে এ যাবৎকালের সর্বোচ্চ রেমিট্যান্স আসে।

ওই মাসে আসা রেমিট্যান্সের পরিমাণ ছিল ২৫৯ কোটি ৮২ লাখ ডলার। এদিকে সদ্যোবিদায়ি ২০২০ সালেও রেমিট্যান্স আহরণে অনন্য রেকর্ড গড়ে বাংলাদেশ। গত বছরে দেশে দুই হাজার ১৭৪ কোটি ১৮ লাখ (২১.৭৪ বিলিয়ন) ডলারের রেমিট্যান্স পাঠান প্রবাসীরা। এর আগে এক বছরে বাংলাদেশে এত রেমিট্যান্স আর কখনো আসেনি। এটি এর আগের বছরের চেয়ে প্রায় ৩৪০ কোটি ৯৬ লাখ ডলার বা ১৮.৬০ শতাংশ বেশি। এদিকে রেমিট্যান্সের ওপর ভর করেই বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রথথমবার ৪৪ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি নতুন এই উচ্চতায় পৌঁছে রিজার্ভ।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris