মঙ্গলবার

৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভোজ্যতেল উদ্ধারের খবরাখবর গুদামগুলোতে এতো মজুত কেন?

Paris
Update : শুক্রবার, ১৩ মে, ২০২২

আরা ডেস্ক : রাজধানী ঢাকাসহ দেশের ৬৪ বাজারে অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগে ১১৪টি প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ টাকা জরিমানা করেছে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। একই সময়ে দেশের ৩৬ জেলায় অভিযানে দুই লাখ ছয় হাজার ৬৬৩ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়। পরে এসব তেল নির্ধারিত দামে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপী অভিযানে মজুত তেল জব্দ ও জরিমানা করা হয়। অধিদপ্তর থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

এতে বলা হয়, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোক্তা অধিদপ্তরের প্রধান কার্যালয় ও বিভাগীয় এবং জেলা কার্যালয়ের ৫৭ জন কর্মকর্তার নেতৃত্বে ঢাকা মহানগরসহ দেশের ৫৩ জেলায় বাজার তদারকি কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। এ সময় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন অনুযায়ী রাজধানীর কাপ্তানবাজারসহ সারাদেশের ৬৪ বাজারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে ভোক্তা স্বার্থবিরোধী বিভিন্ন অপরাধে ১১৪ প্রতিষ্ঠানকে ১৮ লাখ দুই হাজার ৫০০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

এছাড়া ৩৬ জেলায় দুই লাখ ছয় হাজার ৬৬৩ লিটার তেল জব্দ করা হয়। এ সময় জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ভোক্তা ও ব্যবসায়ীদের মধ্যে লিফলেট বিতরণ করা হয়। অধিদপ্তরের এসব অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, স্বাস্থ্য, কৃষি, মৎস্য বিভাগ ও কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশসহ (ক্যাব) সংশ্লিষ্টরা সহযোগিতা করেন।

রাজশাহী জেলা পুলিশের বিশেষ অভিযানে গত তিন দিনে ১ লাখ ১৮৩৪০ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়েছে। এসব তেল টিসিবির মাধ্যমে ১১০ টাকা লিটার দরে বিক্রি করা হবে। এরইমধ্যে তেলগুলো টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির অনুমতির জন্য রাজশাহীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ আবেদনও করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. ইফতে খায়ের আলম।

তিনি বলেন, গত ৯ মে বাগমারা উপজেলার তাহেরপুরে দুটি গুদামে অভিযান চালিয়ে ২৬ হাজার ৭২৪ লিটার (২০৪০০ লি. + ৬৩২৪ লি.) খোলা সয়াবিন জব্দ করা হয়। এ ঘটনায় মো. শহিদুল ইসলাম স্বপনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে বাগমারা থানার পুলিশ পরিদর্শক রিপন সরকার (মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা) গত ১০ মে রাজশাহীর সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-৩ এ একটি আবেদন করেন জব্দকৃত তেলগুলো টিসিবির মাধ্যমে বিক্রির অনুমতির জন্য। পরদিন (১১ মে) পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বরের ৪টি গুদাম থেকে আরেকটি অভিযানে মোট ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার পামওয়েল ও খোলা সয়াবিন জব্দ করা হয়।

ওই দিনই (১১ মে) দিবাগত রাতে পুঠিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আবদুল বাতেনের মাধ্যমে আদালতে আবেদন করা হয়। এখন অনুমতি পেলেই তেলগুলো টিসিবির কাছে হস্তান্তর করা হবে এবং তেলগুলো টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে ভোক্তাদের কাছে বিক্রি করা হবে। বর্তমানে জব্দকৃত তেলগুলো জেলা পুলিশের হেফাজতেই রয়েছে বলে জানান জেলা মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম। জেলা পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, বেশি মুনাফার লোভে রোজার আগে থেকে এসব ব্যবসায়ীরা তেল মজুত করে রেখেছিলেন। রাজশাহীর বাজারে কৃত্রিম ভোজ্যতেল সংকটের জন্য এরাই দায়ী। তারা তেলের ব্যবসার বৈধ কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি।

তাই সব তেল জব্দ করা হয়েছে এবং অবৈধভাবে ভোজ্যতেল মজুত রেখে বাজারে কৃত্রিম সংকট তৈরির দায়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে বানেশ্বর বাজারের পাঁচ ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তাররা হলেন, বানেশ্বর বাজারের সরকার অ্যান্ড সন্সের সত্ত্বাধিকারী শ্রী বিকাশ সরকার ওরফে গোলাপ (৫৮), এন্তাজ স্টোরের মালিক মো. এমদাদুল হক (৪০), মেসার্স পাল অ্যান্ড ব্রাদার্সের মালিক শৈলেন কুমার পাল (৬৫), রিমা স্টোরের মালিক রাজিব সাহা (৩৭) ও ট্রাক (ঢাকা মেট্রো-ট-২০-১১১৭) ড্রাইভার মো. লিটন (২৫)। এই মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ৫ জনকে গত বুধবার (১১ মে) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। দেশের স্থিতিশীলতা ভঙ্গ ও জনবিরোধী এমন অপকর্মের বিরুদ্ধে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানিয়েছেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ইফতে খায়ের আলম।

রাজশাহীতে তিন দিনের অভিযানে মজুত করা ভোজ্যতেলের মধ্যে জেলায় এক লাখ ৪০ হাজার এবং নগরীতে ২৩ হাজার লিটার। দুর্বল বাজার তদারকির সুযোগেই ব্যবসায়ীরা এই বিপুল পরিমাণ তেল মজুত করার সুযোগ পেয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, জ্যেষ্ঠ কৃষি বিপণন কর্মকর্তার কার্যালয় বাজার তদারকির কাজটি করে থাকে। রাজশাহীর এই কার্যালয়ে একজন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (মার্কেটিং অফিসার), একজন পরিদর্শক, একজন মাঠ কর্মকর্তা, একজন সহকারী মাঠ কর্মকর্তা ও একজন অফিস সহকারী রয়েছেন। তবে অফিস সহকারীর পদটি এখন শূন্য। জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা (মার্কেটিং অফিসার) মনোয়ার হোসেন জানান, তাঁরা উপজেলাগুলোতে সব সময় অভিযানে যেতে পারেন না। একটি কার্যালয় থেকে নয়টি উপজেলায় অভিযানে যাওয়া সম্ভব হয় না। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) কোনো অভিযানে ডাকলে তিনি যান। তবে তাঁদের পরিদর্শক সপ্তাহে এক দিন করে একটি বাজারের ব্যবসায়ীদের কাগজপত্র যাচাই-বাছাইয়ের জন্য যান।

পুঠিয়া উপজেলার বানেশ্বর বাজার দেশের উত্তরাঞ্চলের সবচেয়ে বড় ব্যবসাকেন্দ্র। এখান থেকে পাশের জেলা ও রাজশাহীর বিভিন্ন উপজেলায় পাইকারি বিক্রেতাদের কাছে তেল সরবরাহ করা হয়। গত মঙ্গলবার বিকেলে বানেশ্বর বাজারের চারটি গুদাম ও একটি ট্রাক থেকে ৯২ হাজার ৬১৬ লিটার ভোজ্যতেল জব্দ করা হয়। এর মধ্যে ২৪ হাজার ৬৮৪ লিটার সয়াবিন ও ৬৭ হাজার ৯৩২ লিটার পাম তেল রয়েছে। এই দিনে গোদাগাড়ী বিদিরপুর থেকে ২০ হাজার লিটার এবং আগের দিন বাগমারার তাহেরপুর বাজার থেকে ২৭ হাজার লিটার তেল জব্দ করা হয়। এছাড়াও বুধবার নগরের একটি গুদামে পাওয়া যায় ২৩ হাজার লিটার ভোজ্য তেল।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান আল মারুফ জানান, নিয়ম অনুযায়ী পাইকারি বিক্রেতারা সর্বোচ্চ ৩০ মেট্রিক টন তেল সর্বোচ্চ ৩০ দিন পর্যন্ত মজুত রাখতে পারবেন। তবে রাজশাহীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতে খায়ের আলম জানান, মজুত রাখতে হলে জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকের কার্যালয়ের একটি লাইসেন্স থাকতে হয়। বানেশ্বর, তাহেরপুর ও গোদাগাড়ীর এই ব্যবসায়ীরা তাৎক্ষণিকভাবে সেই লাইসেন্স দেখাতে পারেননি। পুঠিয়ায় কত দিন আগে অভিযানে গেছেন- জানতে চাইলে জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বলেন, গত ৯ এপ্রিল ইউএনও অভিযান চালালে তিনি সেখানে গিয়েছিলেন।

এরপর আর যাওয়া হয়নি। আর সবর্শেষ দেড় বছর আগে বাগমারা উপজেলায় অভিযানে গিয়েছিলাম। অচিরেই প্রতিটি উপজেলায় তাঁদের কার্যালয় করা হবে বলে জানান তিনি।
এদিকে রাজশাহী মহানগরীতে তেলের সাথে অন্য পণ্য কিনতে বাধ্য করায় দুটি দোকানকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় কার্যালয় গতকাল বৃহস্পতিবার এ অভিযান চালায়। অধিদপ্তরের বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক হাসান-আল-মারুফ জানান, নগরীর ভদ্রা বউ বাজার এলাকার রাব্বি স্টোর বোতলজাত সয়াবিন তেলের সাথে অন্যান্য পণ্য কিনতে বাধ্য করছিলেন। অন্য পণ্য না কিনলে তিনি সয়াবিন তেল বিক্রি করছিলেন না।

তাই দোকানটিকে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অন্যদিকে নগরীর তালাইমারি এলাকার মেসার্স আব্দুল কাইয়ুম স্টোরেও বোতলজাত সয়াবিন তেলের সাথে অন্যান্য পণ্য কিনতে বাধ্য করা হচ্ছিল। তাই এই দোকানটিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের সহায়তায় এ অভিযান চালানো হয়েছে। জনস্বার্থে এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান ভোক্তা অধিকারের এই কর্মকর্তা।

চাঁপাইনবাবগঞ্জ : চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতিনিধি জানান, চাঁপাইনবাবগঞ্জে আগের দামে কেনা সয়াবিন তেল গোডাউনে মজুত করার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এক ব্যবসায়ীকে। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার বটতলাহাট এলাকার মেসার্স কাজল স্টোরের মালিকে এই জরিমানা করা হয়। এসময় মেসার্স কাজল স্টোরের গোডাউন থেকে ৪ হাজার ৪০০ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর। অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক উসমান গণি।

মুঠোফোনে তিনি বলেন, মেসার্স কাজল স্টোরের গোডাউনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা হয়। এসময় গোডাউনটি থেকে পাঁচ ও এক লিটারের ৪ হাজার ৪০০ লিটার সয়াবিন তেল উদ্ধার করা হয়। মেসার্স কাজল স্টোরের স্বত্বাধিকারী কাজলকে তেল মজুত রাখার দায়ে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষন অধিদপ্তর চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক উসমান গণি আরও জানান, গোডাউনে থাকা ৪ হাজার ৪০০ লিটার সয়াবিন তেল তাৎক্ষনিক বাজারজাত করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। তবে সেগুলো যেহেতু আগের দামে কেনা, তাই আগের দামেই বিক্রি করতে হবে। পরে দোকানে লাইন ধরে আগের দামেই সয়াবিন তেল কিনে নেন ক্রেতারা।

নওগাঁ : নওগাঁ প্রতিনিধি জানান, নওগাঁয় তিনটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে ৭৫৩ লিটার মজুদ রাখা বিভিন্ন ব্র্যান্ডের বোতল জাত সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়েছে। এসময় ওই তিন গোডাউনের মালিককে মোট ৬৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গতকাল বৃহস্পতিবার (১২ মে) দুপুরে শহরের গোস্তহাটি ও আটা পট্টির আজাদ স্টোর, রণজিৎ পাল স্টোর ও কিরন ট্রেডার্সের গোডাউনে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর নওগাঁ কার্যালয় এই অভিযান চালায়। ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক শামীম হোসেন ঢাকা মেইলকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন-দুপুরে শহরের গোস্তহাটির মোড় ও আটাপট্রি এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এসময় আমাদের কাছে তথ্য ছিল এসব গোডাউনে তেল মজুদ রাখা হয়েছে। পরে অভিযন চালিয়ে আজাদ স্টোরের গোডাউন থেকে ৩০ লিটার, রনজিত পালের গোডাউন থেকে ২৫২ লিটার ও কিরন ট্রেডাসের গোডাউন থেকে ৪৭১ লিটার বিভিন্ন ব্রান্ডের বোতলজাত সয়াবিন তেল জব্দ করা হয়। তিনি আরও বলেন-আগের দামে কেনা এসব তেল বর্তমান বাজার দরে বিক্রির অপচেষ্টা করেছিলেন দোকানের মালিকরা।

আমরা অভিযান চালিয়ে ওই তিন গোডাউন থেকে সব তেল জব্দ করেছি। এবং তেল মজুদ রাখার অপরাধে আজাদ স্টোরের মালিক আবুল কালাম আজাদকে ১০ হাজার টাকা, রণজিৎ পাল স্টোরের মালিক রণজিৎ পালকে ২৫ হাজার টাকা ও কিরন ট্রেডার্সের মালিক সৈকত পালকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়াও জব্দকৃত তেল ভোক্তার মাঝে বোতলের গায়ের মূল্যে বিক্রয় করা হয়। অভিযানে জেলা নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক শামসুল হকসহ পুলিশের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের সলঙ্গায় গুদামে থাকা ৩৭ হাজার লিটার খোলা সয়াবিন তেল জব্দ করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। গতকাল বৃহস্পতিবার উপজেলার সলঙ্গা বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করেন জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সিরাজগঞ্জের সহকারী পরিচালক মাহমুদ হাসান রনি। তিনি জানান, সলঙ্গা বাজারের রাজলক্ষ্মী বাণিজ্য ভাণ্ডারে তেল থাকার পরও অস্বীকার করায় দোকানিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গুদাম থাকা ৩৭ হাজার লিটার খোলা সয়াবিন, পামওয়েল তেল ও ২০০ লিটার বোতলজাত তেল জব্দ করে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রয় করার নির্দেশ দেওয়া হয়।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris