রবিবার

৫ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২২শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
আজ থেকে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলছে গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় রাজশাহী জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর অপসারণ চায় ঠিকাদাররা! নগদ আছে ১ কোটি টাকা, জানেন না টিভি-ফ্রিজ ও আসবাবপত্রর মূল্য! সরকার পরিচালনাকারী সবাই ফেরেশতা নয় : তথ্যপ্রতিমন্ত্রী মিথিলার মুকুটে যুক্ত হলো নতুন পালক মৃত্যুকে কাছ থেকে দেখলেন নায়ক দেব! ধান কাটতে গিয়ে ‘হিট স্ট্রোকে’ বাঘার শ্রমিকের সিংড়ায় মৃত্যু! গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয় গাজীপুরে ট্রেনের মুখোমুখি সংঘর্ষের পর পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ের শিডিউল বিপর্যয়

চারঘাটে শীতকালীন ডায়রিয়ার প্রকোপ

Paris
Update : শনিবার, ২ জানুয়ারি, ২০২১

চারঘাট প্রতিনিধি : শীতের তীব্রতার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে যেন বাড়ছে ডায়রিয়া। ইতোমধ্যেই রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে। দিন দিন রোগীর সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সেবা দিতে গিয়ে যেন হিমশিম খাচ্ছে চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা। তারা বলেছেন হঠাৎ আবহাওয়া পরিবর্তন ও শীতের তীব্রতার কারণেই ডায়রিয়া আক্রান্ত এবং শীতজনিত রোগীর সংখ্যা এখন বাড়ছে। গত এক মাসে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় দেড় শতাধিক ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগী। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার মাহমুদা বেগম জানান, গত এক মাস যাবৎ হাসপাতালে ডায়রিয়া রোগী ভর্তির সংখ্যা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আক্রান্ত রোগীর মধ্যে নারী ও শিশুর সংখ্যাই বেশি। গড়ে প্রতিদিন ৪/৫ জন করে ডায়রিয়া রোগী এখানে ভর্তি হচ্ছে।

সরেজমিনে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ওয়ার্ডে গিয়ে দেখা যায়, জান্নাত ও মহাইমেনুল নামের শিশু হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। জান্নাতের মা জানায় রাতে বমির সাথে পাতলা পায়খানা শুরু হলে সে খুবই দূর্বল হয়ে পড়ে। সকালে তাকে এখানে এনে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসা ও স্যালাইন পেয়ে এখন সে সুস্থ হওয়ার পথে। মহাইমেনুলের মা জানায়, পাতলা পায়খানা ও একাধিকবার বমি করলে আমার চিন্তিত হয়ে পড়ি। পরে এক পল্লী চিকিৎসকের পরামর্শে হাসপাতালে এনে ভর্তি করি। এখন আমার ছেলে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছে। চারঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার শহীদুল ইসলাম রবিন বলেন, আবহাওয়া পরিবর্তন ও শীতের কারণে মানুষ জ্বর , সর্দি, কাশি, নিউমোনিয়া ও ডায়রিয়া রোগে এখন বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া আক্রান্ত রোগীর সংখ্যাই বেশি। হাসপাতালে কলেরা স্যালাইন যথেষ্ট পরিমানে সরবারহ আছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আশিকুর রহমান বলেন, এই মৌসুমে শিশুরা ডায়রিয়াসহ অন্যান্য শীতজনিত রোগে আক্রান্ত হয় বেশি। রোটা ভাইরাসও বেশ সক্রিয় থাকে। এটা মুখের মধ্য দিয়েই শিশুদের পাকস্থলিতে যায়। আতঙ্ক না হয়ে রোগীকে চিকিৎসকের কাছে নিয়ে আসতে হবে। তিনি আরো বলেন, বিশুদ্ধ পানি পানের প্রতি বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। বাসা ও পরিবেশ পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। তাছাড়া শিশুরা যেন ময়লা আবর্জনা মুখে না দেয় সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখতে হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris