মঙ্গলবার

৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আগামী নির্বাচনকে ঘিরে আ’লীগের তোড়জোড়, বিএনপি’র সিরিজ বৈঠক

Paris
Update : শনিবার, ২ অক্টোবর, ২০২১

এফএনএস : ‘আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দলের মধ্যে শৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে। ত্যাগী কর্মীদের দিয়ে দল সাজাতে হবে। যারা অপকর্মের সঙ্গে জড়িত তারা আগামীতে আওয়ামী লীগের টিকিট পাবেন না’। গত মঙ্গলবার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এসব কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৭৫তম জন্মদিন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। ওবায়দুল কাদের বলেন, আগামী নির্বাচনে আরও আধুনিক, স্মার্ট আওয়ামী লীগ গড়ে তুলতে চাই। এজন্য দলের মধ্যে কোনো বসন্তের কোকিল নয় ত্যাগিদেরই জায়গা করে দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সম্পর্কে তিনি বলেন, শেখ হাসিনা আজ একটি ব্র্যান্ডের নাম।

শেখ হাসিনা নিজেই একটি ইতিহাস। ইতিহাসের প্রয়োজনে শেখ হাসিনার জন্ম হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর কন্যা দীর্ঘ লড়াই সংগ্রামের মাধ্যমে ওঠে এসেছেন। দেশের সীমানা পেরিয়ে বিশ্ব নেতার কাতারে পৌঁছেছেন। তাই তো শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্ব বিশ্বে প্রশংসিত। তিনি আরও বলেন, শেখ হাসিনা বেঁচে আছেন বলেই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে, দেশের এত উন্নয়ন হয়েছে। দেশের মানুষ ভালো আছে। শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের কারণেই বাংলায় আজ সোনালী আকাশ। দারিদ্র্য বিমোচনে বিশ্বে রোল মডেল শেখ হাসিনা। পরবর্তী নির্বাচন সম্পর্কে তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন যথা সময়ে হবে। বিএনপি সিরিজ সভা করছে। তারা নাকি আন্দোলন করবে!

দেশের মধ্যে আন্দোলনের নামে কোনো সহিংসতা করলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সমুচিত জবাব দেওয়া হবে। এজন্য আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, আবদুর রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, শাজাহান খান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ডা. দীপু মনি, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক বিল্পব বড়ুয়া, উপ-দপ্তর সম্পাদক সায়েম খান, উপ-প্রচার সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিনসহ কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতাকর্মীরা।

বিএনপি’র পরিকল্পনা ঃ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারসহ একগুচ্ছ দাবি নিয়ে এবার এককভাবে মাঠে নামতে চায় বিএনপি। আন্দোলনের বিকল্প নেই-এমন বার্তা এসেছে দলটির দুদফা সিরিজ বৈঠক থেকে। বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের এই অভিন্ন মতামতকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে আন্দোলনের পরিকল্পনা প্রণয়নে দফায় দফায় বৈঠক করছেন নীতিনির্ধারকরা। বিরোধী সব রাজনৈতিক দল ও বিশিষ্ট নাগরিক এবং গণতন্ত্রমনা ব্যক্তিদের এক ছাতার নিচে আনতে নানা উদ্যোগ অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে বলে বিএনপির সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। এছাড়া সিরিজ বৈঠকগুলোতে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গ ছাড়তে ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন নেতারা। সবাই বর্তমান সরকার এবং বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিপক্ষে মত দেন।

তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবে কিনা, না নিলে আন্দোলনের কৌশল কী হবে বা রাজপথের দুই মিত্র জোটের (২০ দল ও ঐক্যফ্রন্ট) সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক কেমন হবে-এসব বিষয়ে এখনো কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। সিরিজ বৈঠকের আগে দলীয় কর্মপন্থা ঠিক করতে ১০ থেকে ১২ দফার একটি রূপরেখার খসড়া তৈরি করেন নীতিনির্ধারকরা। এ বিষয়ে বৈঠকগুলোতে নেতাদের মতামত নেওয়া হয়। এরই ভিত্তিতে একটি প্রাথমিক খসড়া তৈরি হয়েছে। এটি আজ স্থায়ী কমিটির বৈঠকে পর্যালোচনা করা হবে। এরপর বিশিষ্ট নাগরিক ও পেশাজীবীদেরও মতামত নিয়ে শিগগিরই তৈরি করা হবে আন্দোলনের পরিকল্পনার খসড়া। প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে এটি চূড়ান্ত করবেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

এদিকে সিরিজ বৈঠকে যৌক্তিক কারণ ছাড়া অনুপস্থিত নেতাদের শোকজ করেছে বিএনপি হাইকমান্ড। শুক্রবার থেকে তাদের শোকজের চিঠি পাঠানো শুরু করেছে। কেন্দ্রীয় এক নেতা জানান, বৈঠকে না যাওয়ার কারণ যারা ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবকে অবহিত করেছেন, অসুস্থ ও বিদেশে অবস্থান করছেন তাদের ছাড়া অনুপস্থিত সব নেতাদের শোকজ করা হয়েছে। যৌক্তিক কারণ দেখাতে না পারলে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, সাংগঠনিক অবস্থা ও গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য কী করা যেতে পারে, সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। সেই সঙ্গে গণতন্ত্রের নেত্রী দেশনেত্রী খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং বাংলাদেশের মুক্তির বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে।

নেতাদের সব বক্তব্য লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। দলের নীতিনির্ধারণী সভায় সেগুলো নিয়ে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গৃহীত হবে- আমরা কোন ধরনের কর্মসূচি গ্রহণ করব। বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব.) হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেন, শতভাগ নেতারা একটি ব্যাপারে একমত হয়েছে যে, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে আর নির্বাচনে যাবে না। এ ব্যাপারে আর কোনো ছাড় নেই। এটি আর পরিবর্তনযোগ্য নয়। সুতরাং তত্ত্বাবধায়ক সরকার আনার জন্য বিএনপি নেতাকর্মীদেরই সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করতে হবে। আমরা রাপজপথে আমাদের শক্তি প্রদর্শন করব। সূত্র জানায়, বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি, আগামী নির্বাচন এবং আন্দোলন প্রশ্নে যে পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে, সেখানে তৃণমূলের চাহিদাকে বিশেষ অগ্রাধিকার দেওয়া হচ্ছে।

এজন্যই দু দফায় ছয় দিনের বৈঠকে সবার মতামত নেওয়া হয়। আগামী মাসে বড় পরিসরে একটি সংবাদ সম্মেলন করার কথা রয়েছে বিএনপির। এতে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন গঠন, খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি এবং তার বিরুদ্ধে দায়ের করা সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, বিএনপিসহ দেশের সব বিরোধী রাজনৈতিক নেতাকর্মীর মুক্তি, সাজা বাতিল ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহার না করার বিধান নিশ্চিত করাসহ সাত দফা দাবি এবং দলের অবস্থান তুলে ধরে আন্দোলনের ডাক দেওয়া হতে পারে। এ সংবাদ সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও নাগরিকদের আমন্ত্রণ জানানো হবে।

তবে আন্দোলনে নামার আগে মেয়াদোত্তীর্ণ বিএনপির জেলা ও মহানগর এবং কেন্দ্রীয় অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি ঢেলে সাজানো হবে। ধারাবাহিক বৈঠকে দলের জাতীয় নির্বাহী কমিটির নেতাদের বক্তব্য শোনার পর নীতিনির্ধারকরা এমন চিন্তা করছেন বলে জানা গেছে। সূত্র আরও জানায়, ছয় দিনের ওই সিরিজ বৈঠকে নেতারা দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিসহ দলের সাংগঠনিক নানা বিষয়ে বক্তব্য দেন। এর মধ্যে নেতারা ১২টি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত দিয়েছেন। তা হচ্ছে-দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপির নেতৃত্বে আন্দোলন গড়ে তোলা, আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে অংশ না নেওয়া, সরকারবিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে একই প্ল্যাটফরমে আনা, পরিকল্পনা অনুযায়ী আন্দোলনের ছক কষা, দীর্ঘ নয়, স্বল্প সময়ের জন্য আন্দোলন গড়ে তোলা, বিভেদ ভুলে দলে আÍিক বন্ধন সুদৃঢ় করা,

কমিটি গঠনে অনৈতিক লেনদেন বন্ধ করা, আন্দোলনমুখী নেতৃত্ব বাছাই করা, সংগঠনকে শক্তিশালী করা, বিভিন্ন পেশাজীবী ও সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়, বিশ্ব পরিস্থিতি বুঝে কূটনৈতিক তৎপরতা বৃদ্ধি এবং দলের অবস্থান পরিষ্কার করা। এর বাইরেও দলের স্থায়ী কমিটি ও জাতীয় নির্বাহী কমিটির শূন্যপদ পূরণের পক্ষে মতামত দিয়েছেন নেতারা। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করার বিষয়ে অনেক নেতা মত দেন। বিশেষ করে সিনিয়র ও জেলা পর্যায়ের নেতারা জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার কারণে বিএনপির ক্ষতির কারণগুলো ব্যাখ্যা করেন।

এ প্রসঙ্গে বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর যুগান্তরকে বলেন, আজ মূল্যায়ন করতে হবে জামায়াতে ইসলামি আমাদের অ্যাসেট (সম্পদ) না লায়াবিলিটি (বোঝা)। যদি লায়াবিলিটি হয় তাহলে ২০ দলীয় জোটে সরাসরি না রাখাই ভালো। আর অ্যাসেট হওয়ার তো কোনো সুযোগ দেখি না। কারণ জামায়াতের অতীত ইতিহাস যা বলে তাতে তাদের নিয়ে একত্রে আন্দোলন করা সম্ভব নয়, নির্বাচনেও যাওয়া উচিত নয়। তবে আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে জামায়াতকে নিয়ে যেভাবে বিএনপির বিরুদ্ধে যুগপৎ আন্দোলন করেছিল, সেভাবে সামনে জামায়াতকে যুগপৎ আন্দোলনে বিএনপি শরিক করতে পারে।

দলীয় সূত্রগুলো জানায়, সিরিজ বৈঠকে দল পুনর্গঠনে ক্ষোভ, কূটনৈতিক ব্যর্থতায় হতাশা প্রকাশের বিষয়টি উঠে আসে। ঘুরেফিরে বেশির ভাগ নেতাই দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ছাড়া ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ ভুল ছিল বলে মত দেন। ঐক্যফ্রন্ট ভেঙে দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। দলের সাংগঠনিক অবস্থাকে গুরুত্বসহকারে তুলে ধরা হয়।

বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কমিটি দীর্ঘদিন ধরে পূর্ণাঙ্গ হচ্ছে না, কমিটিতে স্থান পেতে নানা তদবির-লবিং করতে হয়, মফস্বল থেকে ঢাকায় এসে কমিটির জন্য তদবির করা, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নাম ভাঙানো, কমিটি বাণিজ্য ইত্যাদি বিষয়ও তুলে ধরা হয়। বৈঠকে নেতারা আরও বলেন, আন্দোলন ছাড়া দলের চেয়ারপারসনের মুক্তি মিলবে না। এ সরকারের অধীন ও বিদ্যমান ব্যবস্থায় নির্বাচনে গেলে ফল ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতোই হবে। প্রায় সব নেতাই মত দিয়েছেন, এ পরিস্থিতিতে ভোটে যেতে হলে বিদ্যমান নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন আনতে হবে। আর তা করতে হলে আন্দোলন ছাড়া কোনো বিকল্প নেই।

আওয়ামী লীগের তোড়জোড় ঃ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আগাম প্রস্তুতি শুরু করেছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। এ ক্ষেত্রে ছয় বিষয়কে অগ্রাধিকার দিয়ে ইতোমধ্যে কাজে নেমে পড়েছে দলটি। বিষয়গুলো হচ্ছে-সম্মেলনের মাধ্যমে তৃণমূল পর্যন্ত সংগঠনকে ঢেলে সাজানো, অভ্যন্তরীণ বিরোধ নিরসন, ইশতেহার তৈরি, বিএনপি কর্মকাণ্ড পর্যবেক্ষণ, জোটের মেরুকরণ ও দলীয় প্রার্থী বাছাই। আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. আবদুর রাজ্জাক বলেন, নির্বাচনকে সামনে রেখে আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। যেখানে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটি আছে সম্মেলনের মাধ্যমে সেগুলো ঢেলে সাজানোর কাজ করছি। দলের অভ্যন্তরে কোনো সমস্যা থাকলে তা সমাধানের চেষ্টা চলছে। আমরা চাই-তৃণমূল পর্যন্ত অর্থাৎ একেবারে ইউনিট পর্যন্ত সংগঠনকে শক্তিশালী করে গড়ে তুলতে। এটা করতে পারলে নির্বাচনের সবচেয়ে বড় প্রস্তুতিটা হয়ে যাবে।

ইশতেহার তৈরির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটার জন্য আমাদের দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটা কমিটি করে দেবেন। তারা দেশের বিভিন্ন খাতের বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে খসড়া তৈরি করবেন। বিএনপির আন্দোলন মোকাবিলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আন্দোলন করতে হলে জনসম্পৃক্ততা দরকার হয়। কিন্তু বিএনপির তা নেই। তবে আন্দোলনের নামে বিএনপিকে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা ও অরাজকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান এই নীতিনির্ধারক।

তৃণমূলকে ঢেলে সাজানো ঃ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে ইতোমধ্যেই তৃণমূল গোছানোর কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। করোনার কারণে কিছুদিন এই কাজে গতি কমে গেলেও চলতি মাসের শুরু থেকে পুরোদমে কাজ শুরু হয়েছে। সাংগঠনিক নেতারা তৃণমূল নিয়মিত সফর করছেন। চলছে বর্ধিত সভাও। চলতি সপ্তাহেও রাজবাড়ীসহ কয়েকটি জেলা ও উপজেলায় বর্ধিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন। আগামী সপ্তাহেও কয়েকটি জেলায় বর্ধিত সভার তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে।

এছাড়া চলছে তৃণমূলের সম্মেলনের আয়োজনের কাজ। পাবনা, নাটোর, রাজবাড়ী জেলার সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত করা হয়েছে। সম্মেলনের তারিখ চূড়ান্ত না হলেও আলোচনা চলছে আরও কয়েকটি জেলা নিয়ে। পাশাপাশি চলছে উপজেলা-থানা সম্মেলনের কাজও। সলঙ্গা, এনায়েতপুরসহ কয়েকটি থানা-উপজেলার সম্মেলন এ মাসে অনুষ্ঠিত হবে। আওয়ামী লীগের বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা বলছেন, আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই সারা দেশের মেয়াদোত্তীর্ণ সব জেলা-উপজেলা সম্মেলনের কাজ শেষে করতে চান তারা। এছাড়া নির্বাচনের আগে মেয়াদোত্তীর্ণ সহযোগী ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনগুলোকে ঢেলে সাজানো হবে।

উল্লেখ্য, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত হয়েছে। আর প্রথম সভা হয়েছে ২০১৯ সালের জানুয়ারিতে। এ ক্ষেত্রে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে ২০২৩ সালের শেষ থেকে ২০২৪ সালের জানুয়ারির মধ্যে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris