বৃহস্পতিবার

২রা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৯শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
মোহনপুরে সড়ক দুর্ঘটনায় যুবক নিহত, ২ জন আহত ইউনিয়নের সম্পাদক মাহাতাবের বিরুদ্ধে চার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রাজশাহীর বাস শ্রমিকদের রাজশাহী নগরীতে পলাতক আসামির অস্থাবর সম্পত্তি জব্দ বাঘায় স্ত্রীর লাঠির আঘাতে আহত শিক্ষকের মৃত্যু চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ৩৫ করতে জনপ্রশাসনে চিঠি শিক্ষামন্ত্রীর জলবায়ু বিপর্যয় উপকূলীয় মানুষের মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলছে : গবেষণা গোপন নথিতে উঠে এল ইরানি কিশোরীকে যৌন নিপীড়ন-হত্যার ঘটনা ফিলিস্তিনিদের পক্ষে নির্মিত তাঁবু গুটাতে কলাম্বিয়া শিক্ষার্থীদের অস্বীকৃতি আজ মহান মে দিবস তিন দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা দেখলো দেশবাসী

করোনাকালে পোশাক খাতে সুশাসনের ঘাটতি আরো ঘনীভূত হয়েছে : টিআইবি

Paris
Update : শুক্রবার, ১৮ ডিসেম্বর, ২০২০

এফএনএস : করোনায় উদ্ভূত সংকটকালে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ও ভাতা প্রদান না করা, বিদ্যমান আইন ভঙ্গ করে মালিক কর্তৃক কারখানা লে-অফ ঘোষণা করা ও শ্রমিক ছাঁটাই এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত না করা সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ পোশাক খাতে সুশাসনের ঘাটতি আরও ঘনীভূত হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ‘তৈরি পোশাক খাতের করোনা ভাইরাস উদ্ভূত সংকট : সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও করণীয়’ শীর্ষক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, পোশাক মালিকরা প্রণোদনা পাওয়ার পরও বিভিন্ন কারখানায় ২১ হাজার শ্রমিক ছাঁটাই হয়েছে। এর বাইরে সাব কন্ট্রাক্ট কারখানাসহ অন্যান্য কারখানায় আরও অনেক শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়েছে।

পরিস্থিতি মোকাবিলা ও শ্রমিকের স্বার্থ রক্ষায় কারখানায় এক বছর কর্মরত এমন শ্রমিকদের সামাজিক সুরক্ষার আওতায় আনার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে। প্রণোদনার অর্থ মালিকরা পেলেও শ্রমিকের ক্ষেত্রে তারা মাত্র ১৬ শতাংশ পেয়েছে এটা একপ্রকার বৈষম্য বলা যায়। করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ মোকাবিলায় সরকার ও মালিক সংগঠনগুলো কর্তৃক গঠিত বিভিন্ন কমিটিকে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষাসামগ্রী ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে। এসব কমিটি শ্রমিকদের অধিকার ও কারখানায় তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে।

প্রতিবেদনের সুপারিশে উঠে এসেছে, শ্রমিক অধিকার ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতে সরকার, মালিক ও শ্রমিক প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে গঠিত কমিটির নিয়মিত ও কার্যকর পরিদর্শন নিশ্চিত করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) ও জার্মানির সহায়তা তহবিল ব্যবহারের জন্য করোনা মহামারির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত শ্রমিকদের সঠিক তালিকা অবিলম্বে প্রণয়ন করতে হবে। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়া, শ্রমিক ছাঁটাই, কার্যাদেশ বাতিল ও পুনর্বহাল, প্রণোদনার অর্থের ব্যবহার ও বণ্টন ইত্যাদি সব তথ্য সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করতে হবে এবং এসব তথ্য নিয়মিত হালনাগাদ করতে হবে।

এদিকে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, গত চার দশক ধরে দেশে রফতানির প্রধান খাত ‘তৈরি পোশাক শিল্প খাত’ আবারও প্রমাণ করেছে যে, তারা সরকারের প্রণোদনা নির্ভর। সরকারের কাছে চাপ প্রয়োগ করে প্রণোদনা আদায়ের বিষয়টি দেখে মনে হয়েছে, ভাইরাসের উদ্ভূত পরিস্থিতিতে যেন শুধু পোশাক খাতই ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এই প্রণোদনার ফলে সরকার ও জনগণের ওপর এর প্রভাব আসে। ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, সরকারের কাছ থেকে কোভিড-১৯ পরিস্থিতিতে পোশাক মালিক সমিতি প্রণোদনা আদায় করতে পারলেও শ্রমিকের অধিকার তারা নিশ্চিত করতে পারেনি।

করোনা উদ্ভূত সংকটকালে পোশাক শ্রমিকদের মজুরি ও ভাতা প্রদান না করা, বিদ্যমান আইন ভঙ্গ করে মালিক কর্তৃক কারখানা লে-অফ ঘোষণা ও শ্রমিক ছাঁটাই এবং স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত না করা সংক্রান্ত বিভিন্ন অভিযোগ পোশাক খাতে সুশাসনের ঘাটতি আরও ঘনীভূত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, মালিকের ব্যবসায়িক স্বার্থে প্রতিনিয়ত তারা কারখানা লে-অফ করছেন। এতে চাকরি হারাচ্ছেন হাজার হাজার শ্রমিক। এ করোনা মহামারি বিবেচনায় নিয়ে সকল শ্রেণির শ্রমিকের চাকরির নিরাপত্তার বিধান সংযুক্ত করে শ্রম আইন, ২০০৬-এর ধারা ১৬ এবং ধারা ২০ সংশোধন করতে হবে।

পাশাপাশি পোশাক খাতের উন্নয়নে করোনার দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ মোকাবেলায় সরকার ও মালিক সংগঠনগুলো কর্তৃক গঠিত বিভিন্ন কমিটিকে পর্যাপ্ত স্বাস্থ্য সুরক্ষা সামগ্রী ও যাতায়াতের ব্যবস্থা করতে হবে। যাতে এসব কমিটি শ্রমিকদের অধিকার ও কারখানায় তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিতকরণে কার্যকর ভূমিকা পালন করতে পারে। টিআইবি নির্বাহী পরিচালক বলেন, প্রাথমিক দুর্যোগ কাটিয়ে উঠে তৈরি পোশাক খাত ঘুরে দাঁড়ানোর অবস্থায় বাংলাদেশে করোনা সংকটের দ্বিতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে। ফলশ্রুতিতে করোনা সংকটের সময়ে এই খাতে কী ধরনের সুশাসনের চ্যালেঞ্জ বিদ্যমান এবং কীভাবে এসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা হচ্ছে তা নিরূপণ করা এই খাতে ভবিষ্যতের সংকট মোকাবিলার জন্য জরুরি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris