এফএনএস : মহামারির কারণে বাংলাদেশসহ বিশ্বের সাংবাদিক সমাজ ও গণমাধ্যম বিরাট অর্থনৈতিক ও অস্তিত্বের সংকটের মুখে পড়েছে। এই সংকট উত্তরণে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করাই হোক বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের অঙ্গিকার। বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবস উপলক্ষে গতকাল সোমবার ভার্চুয়ালি আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দি ডেইলি অবজারভারের সম্পাদক ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক তথ্য উপদেষ্টা ইকবাল সোবহান চৌধুরী এ কথা বলেন। দিবসটি উপলক্ষে ‘সাংবাদিকদের পেশাগত মর্যাদা ও অধিকার এবং গণমাধ্যমের সংকট’ শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ সাংবাদিক অধিকার ফোরাম (বিজেআরএফ)।
বিজেআরএফ সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আজিজুল ইসলাম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে অংশ নেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, প্রবাসী সাংবাদিক মাইনুদ্দিন আহমদ, দেশের খ্যাতিমান শিল্পী ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সদস্য গৌতম অরিন্দম বড়ুয়া, ঢাকা রিপোর্টার্স ইফনিটির সাবেক নেতা ও সিনিয়র সাংবাদিক কুদরত-ই-খোদা, ভারতীয় গণমাধ্যম ইউএনআইয়ের প্রতিনিধি মীর আফরোজ জামান, গাজীপুর সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক নূরুল ইসলাম, শ্রমিক নেতা ও প্রকৌশলী কবির হোসেন, ডেইলি গাজীপুরের সম্পাদক নাসির উদ্দিন বুলবুল, সাংবাদিক নেতা এম. এ সালাম শান্ত,
মনির হোসেন জীবন, মাফুজা আফরিন মনি, মঞ্জুরুল হক গাজী প্রমুখ। ‘তথ্য জনগণের পণ্য’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে বিশমুক্ত গণমাধ্যম দিবসের প্রেক্ষাপট ও বাংলাদেশের সাংবাদিকদের পেশাগত অধিকার ও মর্যাদা তুলে ধরে স্বাগত ও মূল বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমান। সভায় ইকবাল সোবহান চৌধুরী বলেন, ১৯৯১ সালে ইউনেস্কোর ২৬তম সাধারণ অধিবেশনের সুপারিশ মোতাবেক ১৯৯৩ সালে জাতিসংঘের সাধারণ সভায় ৩ মে তারিখটিকে বিশ্ব মুক্ত গণমাধ্যম দিবসের স্বীকৃতি দেয়া হয়। এরপর থেকে বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমকর্মীরা এ দিবসটি পালন করে আসছেন। তিনি আরও বলেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে অনেক গণমাধ্যম কর্মী বেকার হয়ে চরম অর্থ সংকটে পড়েছেন।
বাংলাদেশের সাংবাদিক ও গণমাধ্যম কর্মীদের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগ ও বিভিন্ন পদক্ষেপের জন্য দেশ-বিদেশে প্রশংসিত হচ্ছে। জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন বলেন, করোনাকালে অনেক গণমাধ্যমে কর্মীদের ছাঁটাই করা হচ্ছে। সাংবাদিকরা বেকার হয়ে অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিতে হচ্ছে। সাংবাদিকদের কল্যাণে সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবানদেরও এগিয়ে আসতে হবে। তিনি বলেন, মুক্ত গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠায় মৌলিক নীতিমালা অনুসরণ ও বিশ্বব্যাপী গণমাধ্যমের স্বাধীনতার মূল্যায়ন হোক সাংবাদিক সমাজের অঙ্গিকার।