স্টাফ রিপোর্টার, বাঘা : রাজশাহীর বাঘা উপজেলার চকরাজাপুর ইউনিয়নে পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে নিখোঁজ হওয়া দুই শিশুর মধ্যে ২০ ঘণ্টা পর এক শিশুর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (১৫ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে জান্নাত খাতুন (৮) নামে ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়। অন্যজন এখনো নিখোঁজ। এর আগে গত রোববার দুপুর ১২টার দিকে পদ্মা নদীর মানিকচর এলাকায় পদ্মা নদীতে গোসল করতে নেমে শিশু জান্নাত (৮) ও ঝিলিক খাতুন (১২) নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে জান্নাত কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার বাংলাবাজার চর এলাকার বাসিন্দা আবুল কাশেম মণ্ডলের মেয়ে। আর ঝিলিক চুয়াডাঙ্গার জীবননগর পাটগ্রামের মনির হোসেনের মেয়ে। তারা ফুপাতো-মামাতো বোন। ওই দুই শিশুর স্বজনরা জানান, মানিকচর গ্রামের আবদুল মান্নানের মেয়ের সঙ্গে নূর মোহাম্মদের ছেলের বিয়ে হয়েছে। বিয়ের দাওয়াত খেতে সপরিবারে তারা কুষ্টিয়া থেকে ঈদের পর দিন বাঘা উপজেলায় বেড়াতে আসেন। দাওয়াত খেয়ে গত রোববার তাদের নিজ নিজ বাড়িতে চলে যাওয়ার কথা ছিল। তবে পদ্মা নদীর তীরে বাড়ি হওয়ায় ওই দুই শিশু গোসল করতে নামে। কিন্তু নদীতে নেমেই তারা নিখোঁজ হয়।
পরে স্বজনরা খুঁজে না পেলে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে নিখোঁজ শিশুদের উদ্ধারে কাজ শুরু করে। গত রোববার দিনভর রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ডুবুরি দল নিখোঁজ শিশুদের সন্ধানে কাজ করে। পরে তাদের সন্ধান না পেয়ে রাতে উদ্ধার তৎপরতা সাময়িক বন্ধ করে। পরে গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নিখোঁজের স্থান থেকে একটু দূরেই জান্নাত নামে এক শিশুর লাশ ভেসে ওঠে। পরে স্থানীয়রা ওই শিশুর লাশ উদ্ধার করে নৌ পুলিশকে খবর দেন। এ সময় নৌ পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই শিশুর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করে। এ ঘটনায় নিখোঁজ অপর শিশুর সন্ধান এখনো পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স রাজশাহী সদর দপ্তরের উপ-সহকারী পরিচালক আক্তার হামিদ খান জানান, যেখানে শিশু দুটি নিখোঁজ হয়েছিল সেটি ভারতীয় সীমান্তবর্তী দুর্গম চর এলাকা। নিখোঁজ হওয়ার পর খবর পেয়ে রাজশাহী ফায়ার সার্ভিস ইউনিটের ডুবুরি দল শিশু দুটিকে উদ্ধারে কাজ শুরু করে। গতকাল সোমবার এক শিশুর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। অপর শিশুকে উদ্ধারে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল কাজ করছে। রাজশাহীর বাঘা থানার ওসি আমিনুল ইসলাম জুয়েল বলেন, সকালে জান্নাত নামের এক শিশুর লাশ ভেসে উঠলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে নৌ পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ গিয়ে লাশটি নিজেদের হেফাজতে নেয়। আইন প্রক্রিয়া শেষে শিশুর লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।