সোমবার

২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

একমাস পর মুক্তিপণের বিনিময়ে মুক্ত হলো ২৩ নাবিকসহ এমভি আবদুল্লাহ

Paris
Update : রবিবার, ১৪ এপ্রিল, ২০২৪

আরা ডেস্ক : একমাস পর মুক্তিপণের বিনিময়ে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবল থেকে ২৩ নাবিকসহ জাহাজ ‘এমভি আবদুল্লাহ’ মুক্ত হয়েছে। জাহাজটি কেএসআরএম গ্রুপের মালিকানাধীন এসআর শিপিংয়ের। সরকার ও জাহাজের মালিকপক্ষের চেষ্টায় দস্যুদের কবল থেকে জাহাজসহ জিম্মি নাবিকদের সুস্থভাবে মুক্ত করা সম্ভব হয়েছে বলে জানিয়েছেন কেএসআরএমের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক শাহরিয়ার জাহান রাহাত। রবিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে কেএসআরএমের করপোরেট কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। কেএসআরএমের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক রাহাত সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘সোমালিয়ার সময় রাত ১২টায় এবং বাংলাদেশ সময় ভোর ৩টায় মুক্তির পর এমভি আবদুল্লাহ জাহাজ থেকে দস্যুরা নেমে যায়। এ সময় ৬৫ জন দস্যু জাহাজ থেকে বোটে করে নেমে গেছে। এরপর জাহাজটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের আল হারমিয়া বন্দরের উদ্দেশে রওনা হয়। এ সময় এমভি আবদুল্লাহর দুই পাশে দুটি ইউরোপীয় যুদ্ধজাহাজ পাহারা দিয়ে সোমালিয়া উপকূল ত্যাগ করে।’ তিনি আরও বলেন, ‘১৪ বছর আগে আমাদের জাহাজ এমভি জাহান মণি সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল। ওই জাহাজটি দস্যুদের কবল থেকে ছাড়িয়ে নিতে ১০০ দিন সময় লেগে যায়। অতীত অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার অল্প সময়ের মধ্যে ২৩ নাবিককে ছাড়িয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। সব নাবিক সুস্থ ও ভালো আছেন। জাহাজটি আগামী ২০ এপ্রিল নাগাদ দুবাইয়ে পৌঁছাবে।

এরপর তাদের মতামত নেওয়া হবে। তারা দেশে ফিরতে চাইলে নিয়ে আসা হবে। তা না হলে জাহাজটি যখন চট্টগ্রামে আসবে তখন তারা বাড়িতে ফিরতে পারবেন।’ কেএসআরএম গ্রুপের প্রধান নির্বাহী মেহেরুল করিম বলেন, ‘সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার দস্যুদের সঙ্গে আমাদের সমঝোতা বা চুক্তি হয়। চুক্তিতে তৃতীয় কোনও পক্ষ ছিল না। আমাদের সঙ্গে সরাসরি সমঝোতা হয়েছে। দস্যুদের মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে। তবে কী পরিমাণ এবং কীভাবে মুক্তিপণ দেওয়া হয়েছে তা জানানো সম্ভব নয়। কেননা, জাহাজসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে বিভিন্ন দেশের আইন মানা হয়েছে। যা হয়েছে সবই আইন মেনে করা হয়েছে।’
১৪ বছর আগে ২০১০ সালের ৫ ডিসেম্বর আরব সাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়েছিল একই প্রতিষ্ঠানের জাহাজ ‘এমভি জাহান মণি’। ওই জাহাজে ২৫ বাংলাদেশি নাবিকের পাশাপাশি এক ক্যাপ্টেনের স্ত্রীসহ মোট ২৬ জনকে ১০০ দিন জিম্মি করে রেখেছিল দস্যুরা। এবার একমাস পর দস্যুদের কবল থেকে জাহাজসহ নাবিকদের মুক্ত করা হলো।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris