তানোর থেকে প্রতিনিধি : রাজশাহীর তানোর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে ভোট করতে ইচ্ছে প্রকাশ করেছেন সোনিয়া সরদার। তিনি বর্তমানে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন, পাশাপাশি উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্বে আছেন সোনিয়া সরদার। নারী নেতৃত্ব গ্রামীন পর্যায়ে গড়ে তোলার লক্ষে ও স্মার্ট নারী সমাজ গড়তে ভোট করবেন তিনি বলেও প্রত্যায় ব্যক্ত করেন। তবে স্হানীয় ভাবে দলীয় সিদ্ধান্ত কেও প্রাধান্য দিতে চান নারী নেতৃত্বের চমক সোনিয়া সরদার। একেবারেই তৃনমুল থেকে উঠে আসা পরিক্ষিত মুজিব সৈনিক তিনি।
জানা গেছে, সোনিয়া সরদারের জন্মভূমি কামারগাঁ বাজার এলাকায়। কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপির) সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার হিসেবে পরিচিতি পান। আগে থেকেই আওয়ামীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য ও ইউপির মহিলা লীগের দায়িত্ব থেকে রাজনীতিতে উঠে এসেছেন এই নেত্রী। বিগত ২০১৯ সালে উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করেন সোনিয়া সরদার। দলীয় সুত্রে জানা গেছে, বিগত ১৯৯৮-৯৯ সালের দিকে কামারগাঁ ইউনিয়ন মহিলা লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সোনিয়া সরদার। তার সাংগঠনিক প্রজ্ঞা ও গতিশীলতার কারনে পরে ইউনিয়ন সভাপতি করা হয়। বিগত ২০১১ সালে কামারগাঁ ইউনিয়ন পরিষদ ইউপি নির্বাচনে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য হন। নারী নেতৃত্বে এক অনান্য ভূমিকা রাখায় ২০১৪ সালে সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামী মহিলা লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। সভাপতির দায়িত্ব পেয়ে স্থানীয় সংসদের দিক নির্দেশনায় উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন ও দুটি পৌরসভার কমিটি এবং প্রতিটি ওয়ার্ডেও কমিটি গঠন করে নারী নেতৃত্বের বিস্তার ঘটিয়ে চমক লাগিয়ে দেন সোনিয়া সরদার। তিনি জানান, রাজনীতি করি কোন না কোন প্রত্যাশা থাকবেই। উপজেলা জুড়ে নারী নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠা করার কারনে বিগত ২০১৯ সালে প্রথমবারের মত মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে ভোট করে বিপুল ভোটে বিজয় লাভ করি। যদি ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কমিটি না থাকত তাহলে মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে বিজয় হতে পারতাম না। গত নির্বাচন ছিল দলীয় প্রতীকে। তবে দলীয় প্রতীক ছিল চেয়ারম্যান পদের জন্য। কিন্তু এবারের নির্বাচন ভিন্ন। কোন দলীয় প্রতীক ও দলীয় প্রার্থী থাকবে না। চেয়ারম্যান পদে কখনো কোন মহিলা নির্বাচন করেননি। মুলত এসব থেকেই চেয়ারম্যান পদে ভোট করার ইচ্ছে পোষণ করেছি। তারপরও দলের পদে আছি, দলের যে কোন সিদ্ধান্ত মানতে হবে। যদি স্থানীয় ভাবে এবং এমপির পক্ষ থেকে প্রার্থীর বিষয়ে কোন নির্দেশনা না থাকে তাহলে অবশ্যই নির্বাচন করব। কিন্তু দলের সিদ্ধান্তের বাহিরে না।