সোমবার

২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তানোরে আলুর গাছে পচন রোগ হতাশ চাষীরা

Paris
Update : মঙ্গলবার, ২৩ জানুয়ারি, ২০২৪

তানোর থেকে প্রতিনিধি
রাজশাহীর তানোরে আলুর গাছে পচন রোগ দেখা দিয়েছে একাধিক চাষীরা নিশ্চয়ই করেন। রোগ দূর করতে চাষীরা মাঠে পাচ্ছেনা কৃষি অফিসের কোন লোকজনকে। রোগ দূর করতে বালাইনাশকের দোকানীর পরামর্শে একের পর এক কীটনাশক ব্যবহার করেও দূর করতে পারছেন না রোগ। এতে করে চরম হতাশ হয়ে পড়েছেন আলু চাষীরা। ফলে চরমভাবে ফলন বিপর্যয়ের আশঙ্কা চাষীদের।
জানা গেছে, তানোর পৌর এলাকার আমান হিমাগারের পশ্চিমে, সরনজাই ইউপির সিধাইড় মাঠে বিস্তীর্ণ আলুখেতে দেখা দিয়েছে পচন রোগ। এছাড়াও পাচন্দর ইউপির যোগীশো মাঠেও প্রচুর পরিমানে ছড়িয়ে পড়েছে পচন রোগ। ওই মাঠে ৩০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন কৃষক রফিকুল, ৬ বিঘা জমিতে আক্কাস প্রায় ৩০ বিঘা জমিতে আলুচাষ করেছেন কৃষক শরিফুল। তারা বলেন, তাদের মাঠে প্রায় দুইশ’ বিঘা জমির আলুগাছে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। রোগে আলুগাছ মরে যাচ্ছে এতে ফলনহানির আশঙ্কায় দিশেহারা হয়ে পড়েছি। অথচ কৃষি বিভাগ নির্বিকার রয়েছে। কৃষকদের সচেতন করতে তাদের দৃশ্যমান তেমন কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না। আবার অনুমান নির্ভর হয়ে কৃষকরা বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেও গাছ রক্ষা করতে পারছে না। সরেজমিন উপজেলার কামারগা ইউপির ধানোরা মাঠে আলুখেতে দেখা গেছে, অধিকাংশ আলুর গাছে পচন রোগে আক্রান্ত হয়ে আলুগাছ পচে (মরে) যাচ্ছে। কৃষকরা অনুমান নির্ভর হয়ে উচ্চ দামে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করে আলুগাছ রক্ষা করতে পারছে না। যার কারনে চাষীদের পকেট হচ্ছে খালি, অপর দিকে পকেট ভরছে দোকানী দের। ওই মাঠের আলু চাষি গোকুল গ্রামের কৃষক সাহিন বলেন, এবার তিনি ৫০ বিঘা জমিতে আলুচাষ করেছেন। পচন রোগে ইতিমধ্যে তার আলুখেতের সিংহভাগ গাছ পচে নষ্ট হয়ে গেছে। একই মাঠের কৃষক শরিফুল ইসলাম বলেন, পচন রোগে আক্রান্ত তার আলুখেতে বিভিন্ন কোম্পানির কীটনাশক ব্যবহার করেছেন, কিন্তু তাতে কোনো কাজ হচ্ছে না। তিনি বলেন, কৃষি বিভাগের (উপসহকারী কর্মকর্তা) মাঠকর্মীদের নাগাল পাচ্ছেন না কৃষকরা, ফলে তারা বাধ্য হয়ে অনুমান নির্ভর কীটনাশক ব্যবহার করছেন। এতে কীটনাশক ব্যবসায়ীরা লাভবান হলেও কপাল পুড়ছে কৃষকের।
চলতি মৌসুমে যে সকল চাষীরা জমি ইজারা নিয়ে আলুচাষ করেছেন প্রতি বিঘায় এখন পর্যন্ত তাদের প্রায় ৫০ হাজার টাকা ও নিজস্ব জমিতে প্রতি বিঘায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়েছে। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলমি মৌসুমে প্রায় ১৩ হাজার ১১৫ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। গত বছরের তুলনায় ৬০ হেক্টর জমিতে কম চাষ হয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে চাইলে তানোর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল্লাহ আহম্মেদ বলেন, তার জানা মতে কোথাও আলুগাছে পচন রোগ ধরেনি আলুর গাছ ভালো অবস্থায় আছে, আলুগাছে পচন রোগ দেখা দিলে কৃষকরা যদি তাদের কাছে পরামর্শ নিতে না আসেন তাহলে তো তাদের করণীয় কিছু নাই। তিনি বলেন, তার জানা মতে এখনো তানোরের কোথাও আলুগাছে পচন রোগে আক্রান্ত হওয়ার কোনো খবর তার কাছে নাই।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris