মঙ্গলবার

৩০শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৭ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নিপাহ ভাইরাস মারাত্মক প্রাণঘাতী আক্রান্তদের মৃত্যুহার ৭০ শতাংশ

Paris
Update : বৃহস্পতিবার, ২১ ডিসেম্বর, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার
নিপাহ ভাইরাসে মৃত্যুর হার ৭০ শতাংশের বেশি। নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধে কাঁচা খেজুরের রস খাওয়া যাবে না। গতবছর রাজশাহী মেডিকেল কলেজ রামেক হাসপাতালে সন্দেহভাজন ৬৪ জন এসেছিল। তারমধ্যে আক্রান্ত পাঁচজনের মৃত্যু হয়। এরমধ্যে রাজশাহী, পাবনা, নটোরের একজন করে। এছাড়া নওগাঁ দুইজন মারা গেছেন। এই রোগ প্রতিরোধে সচেতনতার বিকল্প নেই। মঙ্গলবার (২০ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় রামেক হাসপাতালের কনফারেন্স রুমে নিপাহ ভাইরাস প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ বিষয়ক অবহিতকরণ কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়। কর্মশালার আয়োজন করে স্বাস্থ্য অধিদফতরের আইএইচআর, ইমারজিং রি-ইমারজিং রোগ ডিজিজ রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখা।
কর্মশালায় জানানো হয়, নিপাহ একটি ভাইরাসজনিত মারাত্মক প্রাণঘাতী রোগ। সাধারণত শীতকালে নিপাহ রোগের প্রাদুর্ভাব দেখা যায়। খেজুরের কাঁচা রসে বাদুরের বিষ্ঠা বা লালা মিশ্রিত হয় এবং ওই বিষ্ঠা বা লালাতে নিপাহ ভাইরাসের জীবাণু থাকে। ফলে খেজুরের কাঁচা রস পান করলে মানুষ নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। বর্তমান সময়ে বড়দের পাশাপাশি শিশু-কিশোরেরা নিপাহ ভাইরাসে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। খেজুরের কাঁচা রস সংগ্রহ, বিক্রয় ও বিতরণের সাথে সংশ্লিষ্ট গাছিদের এবং জন-সাধারণদের প্রাণীবাহিত সংক্রামক ব্যাধি রোগ নিপাহ ভাইরাস সম্পর্কে অবহিত করা হলে এ রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
এই রোগে মৃত্যুর হার প্রায় ৭০ শতাংশেরও বেশি। ২০২২-২৩ সালে দেশে এ রোগে আক্রান্ত ১৪ জনের মধ্যে ১০ জনই মৃত্যুবরণ করেন। তাই প্রতিরোধই হচ্ছে এই রোগ থেকে বাঁচার উপায়। খেজুরের রস বিক্রেতাদের কাঁচা রস বিক্রিতে নিষেধ করা হয়। তবে খেজুরের রস থেকে তৈরি গুড় খেতে কোন বাধা নেই। নিপাহ ভাইরাসের প্রধান লক্ষণসমূহ হলো: জ্বরসহ মাথা ব্যাথা, খিঁচুনি, প্রলাপ বকা, অজ্ঞান হয়া, কোনো-কোনো ক্ষেত্রে শ্বাসকষ্ট হওয়া।
রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহম্মেদ বলেন, খেজুরের রস খাওয়াতে আমাদের সচেতন হতে হবে। এই রোগ বাদুর থেকে ছাড়াও আক্রান্ত মানুষ থেকে ছড়াতে পারে। আমরা বছরে ১০ মাস খেজুরের রস খাই না। দুই মাস রস না খেলে এমন কিছুই হবে না। খেজুরের রসে মৃত্যু ঝুঁকি আছে না খাওয়াই উত্তম। অনেক গাছী বলেন খেজুর রস খুব ভালোভাবে সংগ্রহ করা হয়েছে। তাদের কথা বিশ্বাস করে খাওয়া যাবে না।
অবহিতকরণ কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন রাজশাহী বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক আনোয়ারুল কবীর, রাজশাহী সিভিল সার্জন আবু সাইদ মো. ফারুক, স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারি পরিচালক (সিডিসি) ডা.মাকসুদা খানম, স্বাস্থ্য অধিদফতরের ডিপিএস ডা. নুজহাত নাদিয়াসহ বিভিন্ন উপজেলার জনপ্রতিনিধি, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও বিভিন্ন উপজেলার খেজুর গাছ চাষিরা উপস্থিত ছিলেন।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris