শিবগঞ্জ প্রতিনিধি

ভারতের সরকার পেঁয়াজ রপ্তানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপ করেছে। গত শনিবার এ ঘোষণা আসার পরই বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে শুরু করে পেঁয়াজের দাম। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে মাত্র একদিনের ব্যবধানে এই নিত্যপণ্যটির দাম কেজিপ্রতি ১০-১২ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। সোমবার বিকেলে শিবগঞ্জের বিভিন্ন বাজারে প্রতি কেজি আমদানি করা ভারতীয় পেঁয়াজ ৫৫ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হতে দেখা গেছে। যা গত শনিবার ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। আমদানি করা পেঁয়াজের দাম বাড়ার প্রভাবে বেড়েছে দেশি পেঁয়াজের দামও। বাজারে প্রতি কেজি ভালো মানের দেশি পেঁয়াজ ৬০-৬২ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা একদিন আগেও ছিল ৪৮-৫০ টাকার মধ্যে। শুধু খুচরায় নয়, পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে। গত দুদিন আগে ওই বাজারে প্রতি কেজি আমদানির পেঁয়াজের দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। যা সোমবর বিক্রি হয়েছে ৫০ থেকে ৫০ টাকায়। তবে আগামী দুই থেকে তিনদিনের মধ্যে পেঁয়াজের দাম আরও বাড়বে। একইভাবে পাইকারিতে দেশি পেঁয়াজের দাম কেজিপ্রতি প্রায় ৮ টাকা বেড়েছে।শিবগঞ্জ বাজারের খুচরা বিক্রেতা শরিফ উদ্দিন জানান, গত দুদিন আগে ৩৫-৪০ টাকা কেজি দরে পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। বর্তমানে ৫৫-৬০ টাকা দরে পেঁয়াজ বিক্রি করছেন। এছাড়া পাইকারী কিনতে হচ্ছে ৫০-৫২ দরে। আড়তদার জিয়াউল হক জানান, নাসিক পেঁয়াজের দাম একটু বেশি। এমকে পেঁয়াজের দাম একটু কম। তুলনামূলক ভাবে কেজি প্রতি ১০-১২ টাকা বেড়েছে। আগামীতে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম বাড়বে ১৫-২০ টাকা। আমদানিকারক আজিজুল হক জানান, বেশ কয়েকদিন আগে কেজি প্রতি পেঁয়াজের দাম পড়েছে ৪৫ টাকা। সোমবার এক কেজি আমদানি করতে খরচ পড়েছে ৫৪ টাকা। যেহেতু পচনশীল পণ্য পেঁয়াজ, ফলে অল্প দাম পেলেই মোকামে পেঁয়াজ পাঠানো হচ্ছে। আমদানিকারক তাজেল আলী বলেন, পেঁয়াজ রপ্তানিতে ভারত ৪০ শতাংশ শুল্ক আরোপের ঘোষণা দিয়েছে। এ কারণে সীমান্তে স্থলবন্দর এলাকায় দাম বেড়েছে। যার প্রভাব পড়েছে শিবগঞ্জে। বর্তমানে প্রতি টন পেঁয়াজ ২০০ মার্কিন ডলারে আমদানি করা হচ্ছে।