এফএনএস
গত জুলাই মাসে পণ্যমূল্য কমে গিয়ে দুই বছরের মধ্যে প্রথম বারের মতো মূল্য সংকোচনের কবলে পড়েছে চীনের অর্থনীতি, যা হয়ে উঠেছে দেশটির মাথাব্যথার কারণ। বিশ্বের অধিকাংশ দেশ যেখানে মূল্যস্ফীতি সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে, সেখানে চীনে চলছে তার উলটো চিত্র। মূল্যস্ফীতির হার আগের বছরের জুলাই মাসের তুলনায় শূন্য দশমিক ৩ শতাংশ কমে ঋণাত্মক পর্যায়ে চলে গেছে। অর্থনীতির পরিভাষায় একে ‘ডিফ্লেশন’ বা ‘মূল্য সংকোচন’ বলে। বিশ্লেষকরা বলছেন, কোভিডের ধকল সামলে বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটি যখন চাহিদা পুনরুজ্জীবিত করার চেষ্টা করছে, তখন এই মূল্য সংকোচন সরকারকে চাপে ফেলছে। আমদানি ও রপ্তানি সূচকে অবনমনের পর ভোগ্যপণ্যের মূল্য সূচকের এই ধাক্কা চীনের অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধারের গতি টেনে ধরবে। বাড়তে থাকা স্থানীয় সরকারের ঋণ এবং আবাসন খাতের খরার কারণেও চ্যালেঞ্জের মোকাবিলা করতে হচ্ছে চীন। এর মধ্যে রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছানো যুব বেকারত্বের সমস্যাও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে, যখন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক শেষ করে ১ কোটি ১০ লাখের বেশি তরুণ এ বছর চাকরির বাজারে প্রবেশ করবে ধারণা করা হচ্ছে। পণ্যমূল্য হ্রাসের কারণে ঋণের বোঝা কমানো চীনের জন্য কঠিন হয়ে উঠছে। মূল্য সংকোচনের কারণে প্রবৃদ্ধির গতিও ধীর হয়ে আসবে, সেটা নিয়েও সরকারকে ভাবতে হচ্ছে। বিনিয়োগ ফার্ম ইএফজি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্টের ড্যানিয়েল মুরে বলেন, মূল্যস্ফীতি বাড়িয়ে দিতে পারে এমন গোপন কোনো জাদুর কাঠি নেই।