বুধবার

১লা মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৮ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ

নদ-নদীর পানি বাড়ায় তীব্র হচ্ছে বন্যার শঙ্কা

Paris
Update : বুধবার, ২১ জুন, ২০২৩

 

এফএনএস

দেশের নদ-নদীগুলোতে বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে কোনো কোনো নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করেছে। কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে ভারতে বিভিন্ন এলাকা তলিয়ে যাওয়ায় হুট করেই গজলডোবা ব্যারাজের গেট খুলে দেয়া হয়েছে। তাতে অস্বাভাবিক হারে বাড়তে থাকে তিস্তার পানি। একই সঙ্গে তিস্তা অববাহিকা অঞ্চলে মৌসুমঅ বৃষ্টিপাতে হু হু করে পানি বেড়েছে। ঢল সামলাতে লালমনিরহাটের দোয়ানীতে ব্যারাজের ৪৪টি গেটের সবগুলো খুলে দেয় পানি উন্নয়ন বোর্ড। ইতোমধ্যে সিলেটের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। সুরমা, কুশিয়ারাসহ সব ক’টি নদীতে পানি বেড়েছে। ওই অঞ্চলে নদীর পানি অনেক পয়েন্টেই বিপৎসীমার কাছাকাছি অবস্থান করছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে ঈদুল আজহার আগেই বন্যা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড (বাপাউবো) সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়। সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, ব্রহ্মপুত্র-যমুনা, গঙ্গা-পদ্মাসহ নদনদীর পানি ক্রমাগত বাড়ছে। পাশাপাশি দেশের উজানে ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে এ সময়ে নদনদী সুরমা, কুশিয়ারা, সারিগোয়াইন, ঝালুখালী, ভোগাই-কংশ, সোমেশ্বরী, যাদুকাটার পানি দ্রুত বাড়তে পারে। সিলেট ও সুনামগঞ্জ জেলার কতিপয় পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। তাছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে শুরু করেছে। এরইমধ্যে লালমনিরহাটে তিস্তার পানি বেড়ে ডালিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সূত্র জানায়, ভারতে ভারী বর্ষণের কারণে এক সপ্তাহ ধরে উত্তরাঞ্চলের নদনদীর পানি বাড়ছে। ইতোমধ্যে লালমনিরহাটের হাতিবান্ধা, আদিতমারী ও সদর উপজেলার ১৫টি গ্রামে পানি প্রবেশ করেছে। তলিয়ে গেছে ঘরবাড়ি ও রাস্তাঘাট। পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজার হাজার মানুষ। সেই সঙ্গে ফসলি জমি তলিয়ে যাওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে কৃষকরা। কুড়িগ্রামের ব্রহ্মপুত্র, ধরলা, দুধকুমারসহ ১৬টি নদনদীর পানি বাড়ছে। এর মধ্যে কুড়িগ্রামের রাজীবপুরে ব্রহ্মপুত্র নদে ভাঙন দেখা দিয়েছে। টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে ধলাই নদীর পানি অস্বাভাবিক বেড়েছে। এতে ধলাই নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধের ১০টি স্থান ঝুঁকিতে আছে। মনু, ধলাই, জুড়ী ও কুশিয়ারা নদীর কিছু অংশে পানি বেড়েছে। মনু ও ধলাই নদীর বন্যা প্রতিরক্ষা বাঁধের আটটি স্থান ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে। এদিকে এ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের পানি ও বন্যা ব্যবস্থাপনা ইনস্টিটিউটের পরিচালক অধ্যাপক এ কে এম সাইফুল ইসলাম জানান, শুধু বৃষ্টিপাতের ওপর বন্যা নির্ভর করে না। নদী ও হাওরের পানি ধারণ ক্ষমতার ওপরও বন্যা নির্ভর করে। এয়াড়া দেশের নদীর চ্যানেলগুলোতে পানি প্রবাহের সুযোগ স্বাভাবিকের চেয়ে অনেক কমে গেছে। তাই পানি নেমে যেতে বেশি সময় লাগে। উত্তরাঞ্চলে ব্রহ্মপুত্র বেসিনে হঠাৎ করে পানির মাত্রা বেড়ে যাওয়া এবং বন্যার আশঙ্কা থাকেই। ভারতের নীতিই হচ্ছে বর্ষায় ব্যারাজের সব গেট খুলে রাখা।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris