মঙ্গলবার

৭ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৪শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পাওনা টাকা আদায়ের লক্ষ্যে মৃতের কবর খননের চেষ্টা!

Paris
Update : সোমবার, ১২ জুন, ২০২৩

এফএনএস
পরিবারের কাছে পাওনা টাকা আদায় করতে না পেরে কবর খুরে মৃতদেহ উঠানোর চেষ্টা করেছেন এক পাওনাদার এক নারী। কবর খোড়ার একপর্যায়ে আশেপাশের লোকজন দেখে ফেলার পর ওই নারী বাড়িতে চলে যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে উত্তপ্ত জনগণকে শান্ত করে এবং পাওনাদার ওই নারী আটক করে থানায় নিয়ে যায়। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের খিয়ারডাঙ্গা কবরস্থানে।ঘটনাস্থলে সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, গত ৭ জুন ব্রেইন স্ট্রোক জনিতে রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসাধন মারা যান হাড়িয়ারকুঠি ইউনিয়নের আদাহইন্না গ্রামের আবদুল গফুরের স্ত্রী সাহেদা বেগম। সাহেদার কাছে বিভিন্ন সময় ধার বাবদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পাওনাদার রয়েছেন একই গ্রামের জোনাব আলীর স্ত্রী আছেনা বেগম। সাহেদার মৃত্যুর পর তার পরিবারের লোকজন মৃত নারীর কাছে কেউ কোন পাওনাদার আছে কিনা খোঁজ করলেও কেউ সেদিন সাড়া দেয়নি। পরে স্থানীয় খিয়ারডাঙ্গা কবরস্থানে ইসলামি শরিয়ত মেনে কবর দেওয়া হয়। কবর দেওয়ার পরের দিন সাহেদার পরিবারের লোকজনের সাথে পাওনা টাকার বিষয়ে কথা বলেন আছেনা বেগম। পরিবারের লোকজন তাকে কিছুদিন অপেক্ষা করার অনুরোধ জানান। সোমবার আবারও আছেনা পাওনা টাকা চাইতে আছেনার পরিবারের কাছে যান। এ সময় সাহেদার পরিবারের লোকজন আবারও তাকে কিছুদিন অপেক্ষা করতে বললে তর্কবিতর্কের সৃষ্টি হয়। একপর্যায়ে আছেনা সেখান থেকে রাগ করে বের হয়ে বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী জোনাব আলীকে সাথে নিয়ে সকাল আনুমানিক ১০টার দিকে কবরস্থানে গিয়ে সাদের কবর খুড়তে থাকে। এ সময় আশেপাশের লোকজন তাকে মৃত মানুষের কবর খুরতে দেখে বাধা দেয়। এতে আছেনা পিছু হটে স্বামীকে নিয়ে বাড়িতে চলে যায়। খবর পেয়ে সাহেদার পরিবারের লোকজন কবরস্থানে গিয়ে কবর খোড়া দেখে তারাগঞ্জ থানায় খবর দেয়। খবর পেয়ে তারাগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে তদন্ত শেষে কবরটি ঢেকে দেওয়ার অনুমতি দিলে ধর্মীয় নিয়ম মেনে কবরে মাটি চাপা দেওয়া হয়। তারাগঞ্জ থানার ওসি মোস্তাফিজার রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ওই পাওনাদার নারীকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris