শুক্রবার

২৬শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৩ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

মোহনপুরে শিক্ষার্থীকে পেটানোর ঘটনায় থানায় অভিযোগ, তদন্ত কমিটি গঠন/২

Paris
Update : শুক্রবার, ২৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২৩

স্টাফ রিপোর্টার
রাজশাহীর মোহনপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক নুরুল হকের কাছে প্রাইভেট না পড়ায় ইয়াবা সেবনের অপবাদ দিয়ে এক শিক্ষার্থী ও তার বাবাকে পেটানোর ঘটনায় কমিটি গঠন করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহনপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাবিহা ফাতেমাতুজ জোহরা। তিনি বলেন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও একাডেমি অফিসারকে তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এদিকে আহত শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক নুরুল হকসহ চারজনের নাম উল্লেখ করে গত বুধবার মোহনপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও শিক্ষার্থীরা গালিব জানান, গত বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার সময় হৃদ রোগে আক্রান্ত মোহনপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের এসএসসি পরিক্ষার্থী বখতিয়ার গালিব ইয়াসির চিকিৎসা শেষে স্কুলে আসে। ওই শিক্ষার্থী স্কুলে আসার পর শিক্ষক নুরুল হক প্রথমে চড় চাপ্পর মারার পর ইয়াবা সেবনের অপবাদ দিয়ে কৌশলে কিছু শিক্ষার্থীদের দিয়ে মারপিট করায়। শিক্ষার্থীদের সাথে আবারও শিক্ষক স্কুলের ভিতরে এলোপাতাড়িভাবে মারধর করেন। পরে আহত শিক্ষার্থী ফোনে তার বাবাকে বিষয়টি জানান। পরে বাবা সন্তানকে হাসপাতালে নিতে চাইলে অভিযুক্ত ওই শিক্ষক ও তার অনুগত ছাত্ররা মিলে আবারো তাদের পিটিয়ে প্রধান শিক্ষকের কক্ষে আটকে রাখে। তবে ওই সময় স্কুলে উপস্থিত ছিলেন না প্রধান শিক্ষক সুলতানা শাহীন। এ বিষয়ে অসুস্থ শিক্ষার্থীর বাবা একই উপজেলার মহব্বতপুর-খানপুর ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক সাদেকুল ইসলাম বলেন, আমার ছেলে স্ট্রোক করেছে। সে অনেক অসুস্থ। এটা আমি স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তারপরও মাদক সেবনের অভিযোগ তুলে আমার ছেলেকে শিক্ষক ও ছাত্ররা মিলে মারধর করে আটকে রাখে। আমি এর প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাকেও মারধর করে আটকে রাখে। পরীক্ষার্থী গালিব জানান, আমি দীর্ঘদিন অসুস্থ থাকায় কারেন বিদ্যালয়ে আসতে পারিনি। নুরুল স্যারের কাছে পদার্থ বিজ্ঞান পাইভেট না পড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে তিনি কৌশলে আমার ও বাবার ওপর হামলা চালিয়েছেন। বুধবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে স্কুল চলাকালীন সময় স্কুলের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। পরে মোহনপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে ওই শিক্ষার্থী ও তার অবরুদ্ধ বাবাকে উদ্ধার করে তাদের দুজনকেই চিকিৎসার জন্য মোহনপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ভর্তি করা হয়। ওই শিক্ষার্থীর নাম বখতিয়ার গালিব ইয়াসির। সে ওই বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। মোহনপুর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মুকতাদির আহমেদ বলেন, বিষয়টি নিয়ে তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো তথ্য দেওয়া যাবে না। তবে দ্রুত তদন্তের রিপোর্ট সংশ্লিষ্ট দপ্তরে প্রেরণ করা হবে। মোহনপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোহা. সেলিম বাদশাহ বলেন, এ বিষয়ে ঘটনার দিন শিক্ষার্থীর বাবা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। বিষয়টি নিয়ে পুলিশ তদন্ত করছেন। মোহনপুর সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুলতানা শাহীনার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ না করায় বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris