বুধবার

৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

২৫শে বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
প্রথম ধাপে ১৪১ উপজেলায় ভোট গ্রহণ আজ প্রকল্প কতটুকু জনকল্যাণে লাগবে তা বিবেচনার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর চৌবাড়িয়া পশুহাটে অতিরিক্ত টোল আদায়ের অভিযোগ তানোরের গরুর গাড়ি আর মাটির বাড়ি স্থান পেয়েছে ডাক বিভাগের বিশেষ খামে রাজশাহীতে পাথরের ট্রাক থেকে ৫ কোটি টাকার হেরোইন উদ্ধার কাল গোদাগাড়ী উপজেলায় নির্বাচনে লড়াই হবে ত্রিমূখী? রাজশাহী নগরীতে প্রশস্তকৃত সড়কে আলোকায়নের উদ্বোধন করলেন মেয়র দেশে বর্তমানে বেকারের সংখ্যা প্রায় ২৬ লাখ গ্রামে দ্রুত নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর মোহনপুরে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী এনামূল হকের কর্মী সমাবেশ

খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার রেকর্ড পরিমাণ মজুত বাড়িয়েছে

Paris
Update : সোমবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৩

এফএনএস
খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে সরকার রেকর্ড পরিমাণ মজুত বাড়িয়েছে। সরকারি প্রত্যেকটি গুদামই প্রায় পূর্ণ। গত বছরের তুলনায় এখন ৩ লাখ টনেরও বেশি মজুত রয়েছে। যা খাদ্য মজুতে নতুন রেকর্ড তৈরি হয়েছে। ইতঃপূর্বে দেশে বিগত ২০১৮ সালের অক্টোবরে রেকর্ড পরিমাণ ছিল ১৬ লাখ ৭৩ হাজার ৬৩৮ মেট্রিক টন খাদ্য। আর বর্তমানে খাদ্য মজুতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৯ লাখ ২৫ হাজার ৪২৭ মেট্রিক টন। তার মধ্যে গুদামে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ২০১ মেট্রিক টন চাল আর পরিমাণ ৩ লাখ ৬৯ হাজার ২২৬ মেট্রিক টন গম মজুত রয়েছে। খাদ্য মজুতের এই পরিমাণ বাংলাদেশের ইতিহাসে নতুন রেকর্ড। খাদ্য মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট সূত্রে এসব তথ্য জানা যায়।
সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, দেশে বর্তমানে মোট ২২ লাখ মেট্রিক টন খাদ্য মজুতের ধারণ ক্ষমতা রয়েছে। নির্মাণ করা হচ্ছে আরো কিছু গুদাম। ওসব গুদামের নির্মাণকাজ শেষ হলে আরও এক লাখ মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা বাড়বে। বর্তমানে সরকারের রেকর্ড পরিমাণ মজুতের পর দেশের চালের বাজার স্থিতিশীল রয়েছে। সরকারের হাতে খাদ্য মজুত কমে গেলেই অসাধু ব্যবসায়ীরা বাজারকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করে। কিন্তু বর্তমানে সরকারের মজুত বেড়ে যাওয়ায় ওই অসাধু চক্র কোনো কারসাজি করার সুযোগ পাচ্ছে না।
সূত্র জানায়, বিগত ৬ মাসে কৃচ্ছ্র সাধনের মাধ্যমে খাদ্য মন্ত্রণালয় ৩৮২ কোটি টাকা সাশ্রয় করেছে। বছরে ওই সাশ্রয় হবে ৭২৬ কোটি টাকা। মূলত ৪টি কর্মসূচি পরিবর্তন ও ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে খাদ্য মন্ত্রণালয় ওই টাকা সাশ্রয় করেছে। চলতি অর্থবছরে (২০২২-২৩) মোট সাশ্রয়ের পরিমাণ দাঁড়াবে ৭২৬ কোটি ৮২ লাখ ১৫ হাজার ১৫ টাকা। বর্তমানে সারাবিশ্বে আর্থসামাজিক অস্থিতিশীলতার বিরূপ প্রভাব এদেশেও পড়ে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারি ব্যয়ে কৃচ্ছ্র সাধনের লক্ষ্যে গত বছরের জুন থেকে খাদ্য মন্ত্রণালয় বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মকাণ্ডে ব্যয়যোগ্য অর্থ সাশ্রয়ের জন্য নানা উদ্যোগ গ্রহণ করে। তারই অংশ হিসেবে খাদ্য মন্ত্রণালয় খাদ্য অধিদপ্তরের মাধ্যমে প্রচলিত বিভিন্ন নীতি ও পদ্ধতির সময়োপযোগী আংশিক পরিবর্তন করে এবং ডিজিটাল পদ্ধতি ব্যবহারের মাধ্যমে সামাজিক নিরাপত্তা কার্যক্রমে গত বছরের ১০ জুন থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত মোট ৩৮২ কোটি ২৪ লাখ ৭১ হাজার ৬৩৩ টাকা সরকারি ব্যয় সাশ্রয় করেছে। আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত প্রায় ৭২৬ কোটি সরকারি ব্যয় সাশ্রয়ের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
সূত্র আরো জানায়, ইতোমধ্যে বেসরকারি ময়দা মিলে বরাদ্দ করা সরকারি গম ও পেষাইকৃত গমের ফলিত আটার অনুপাত পুনর্র্নিধারণ করা হয়েছে। আগে ঢাকা মহানগরে ৭৫:২৫ (গম:আটা) এবং ঢাকা মহানগর ছাড়া সারাদেশে ৭৭:২৩ (গম:আটা) নির্ধারিত ছিল। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে গত অক্টোবর থেকে সারাদেশে গম এবং পেষাইকৃত গমের ফলিত আটার অনুপাত ৭৯:২১ পুনর্র্নিধারিত হয়। ফলে ৮ কোটি টাকা সরকারি ব্যয় সাশ্রয় হয়েছে। আর সরকারি আধুনিক ময়দামিলে গম পেষাইয়ের ফলে উৎপাদিত ভুসির বিক্রয়মূল্য গত বছরের জানুয়ারি-জুন প্রান্তিকের চেয়ে জুলাই-ডিসেম্বর প্রান্তিকে কেজি প্রতি ৩ টাকা বৃদ্ধি করে দরপত্রের মাধ্যমে ভুসির ঠিকাদারদের কাছে বিক্রি করা হয়। তাতে ৮৬ লাখ টাকা রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়েছে এবং তাতে বছরে প্রায় ২ কোটি টাকা রাজস্ব আয় বাড়বে। তাছাড়া ওএমএসের আটার দাম ১৮ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৪ টাকা করা হয়েছে। গত নভেম্বর ও ডিসেম্বরে মোট ১৬ কোটি ২৫ লাখ টাকা রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পেয়ে নিজস্ব আয় বৃদ্ধি পাচ্ছে। আর ওই খাতে প্রাপ্ত রাজস্ব অর্থ আগামী অর্থবছরের একই কর্মসূচিতে ব্যয় করা হবে।
এদিকে এ প্রসঙ্গে খাদ্য সচিব মো. ইসমাইল হোসেন জানান, ম্যানুয়াল ডাটাবেজের পরিবর্তে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির উপকারভোগীদের ডিজিটাল ডাটাবেজ প্রণয়ন করে আগের উপকারভোগী তালিকা থেকে অন্তর্ভুক্তদের, অন্যান্য সরকারি কর্মসূচি থেকে সুবিধাপ্রাপ্ত এবং নীতিমালা অনুযায়ী অযোগ্য উপকারভোগীকে বাদ দেয়া হয়েছে। তাতে সরকারের বিতরণ খাতে স্বচ্ছতা নিশ্চিতসহ গত বছরের সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর পর্যন্ত তিন মাসে মোট ৩৫৭ লাখ টাকা রাজস্ব ব্যয় সাশ্রয় করা হয়েছে। সাশ্রয় করা অর্থে পরবর্তী সময়ে নতুন উপকারভোগী অন্তর্ভুক্তির নিমিত্ত বাছাই কার্যক্রম চলছে। আশা করা যায় আগামী জুলাই থেকে আরো নতুন উপকারভোগী এ কার্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত হবেন। অন্যদিকে খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার জানান, দেশে খাদ্য পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে মুজত বাড়ানো হয়েছে। এখন চলছে আমন সংগ্রহ অভিযান। তাতে ৫ লাখ মেট্রিক টন সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। সরকার দেশের ১৬ কোটি মানুষের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। বর্তমান রেকর্ড পরিমাণ মজুত খাদ্য নিরাপত্তায় সরকারকে সুদৃঢ় অবস্থানে নিয়ে এসেছে।

 


আরোও অন্যান্য খবর
Paris