শনিবার

১৮ই মে, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

৪ঠা জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সর্বশেষ সংবাদ
রাজশাহী জেলা পরিষদের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নির্মাণ কাজের শুভ সূচনা মোহনপুরে ভোক্তা অধিকারের অভিযান ৩ প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা ইলেকট্রনিক ইমুনাইজেশন রেজিস্ট্রেশন কার্যক্রমের অভিজ্ঞতা বিনিময়ে চসিক পরিদর্শনে রাসিক প্রতিনিধি দল গোদাগাড়ীতে বিদ্যুতের ডিজিটাল প্রিপেইড মিটার প্রত্যাহারের দাবিতে মানববন্ধন রাজশাহীতে আ’লীগ কর্মী নয়নালের মৃত্যুর রহস্য উদঘাটনের দাবি ‘সাংবাদিকদের বাংলাদেশ ব্যাংকে প্রবেশে বাধা নেই’ রক্তস্বল্পতা দূর করবে কচু যুক্তরাষ্ট্র-ইসরায়েল সম্পর্ক কি একদম তলানিতে কান উৎসবে নজর কাড়লেন অন্তঃসত্ত্বা প্রিয়তি শরিয়াহ ভিত্তিক ব্যাংকের আমানত কমেছে, ঋণ বাড়ছে, আস্থার সংকট

ভিন্নধর্মী আয়োজনে রাবিতে চলছে শীত আগমনী উৎসব

Paris
Update : সোমবার, ১২ ডিসেম্বর, ২০২২

রাবি প্রতিনিধি
শীতকে বরণ করে নিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চলছে ‘শীত আগমনী উৎসব-১৪২৯’। ভিন্ন ধর্মী আয়োজনে এ উৎসবকে পালন করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় চারুকলা প্রাঙ্গণে এ উৎসবের উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. এম হুমায়ুন কবির। উদ্বোধন শেষে শীতলপাটি উন্মোচনসহ নকশীকাঁথা সেলাই করেন তিনি। পরে সূর্যমূখি বাগান, পদ্ম পুকুরসহ বাহারি পিঠা নিয়ে বসা স্টলগুলো পরিদর্শন করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। চারুকলা অনুষদ ঘুরে দেখা যায়, বাঙ্গালিয়ানার ঐতিহ্যবাহী শীতলপাঠি, কাগজ কেটে কারুকার্যের মাধ্যমে নির্মিত সূর্যমুখী ফুলের বাগান, কাগজ দিয়ে অতিথি পাখি তৈরি করে সজ্জিত করেছেন বটগাছ এবং চারুকলা অনুষদ মাঠের এককোণে পুকুর খনন করে পদ্ম পুকুর তৈরী করেছেন শিক্ষার্থীরা। সেখানে বিভিন্ন কৃত্তিম ফুল রাখা হয়েছে। এ উৎসবের মাধ্যমে শীতকালীন আবহটিকে উপস্থাপন করছেন শিক্ষার্থীরা। শিল্পীদের রংয়ের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে পুরো চারুকলা অনুষদের মূল চেহারা।

বাঙালি ঐতিহ্যকে ধারণ করতে এ উৎসবে বসানো হয়েছে ৭টি স্টল। এতে পাওয়া যাচ্ছে বাহারি রকমের তৈরি সব পিঠা। চারুকলা শিক্ষার্থীদের দ্বারা তৈরি নকশীকাঁথা, কাঠের গহনা, হ্যান্ড পেইন্টের বিজয় দিবসে উত্তরীয়, হ্যান্ড পেইন্ট শাড়ি, হ্যান্ড পেইন্ট চাদর, মাঠির আসবাব পত্র, ফুলদানি, বেতের ঝুড়ি, পাটের ব্যাগ, কাঠের তৈরি গহনা, হ্যান্ড পেইন্টের স্কার্ফ ও ওড়না, বিভিন্ন রকম চুরি, কানের দুলসহ বিভিন্ন আসবাব পত্র। স্বল্প মূল্যে এসব বিক্রি করছেন বলে জানিয়েছেন স্টল নিয়ে বসা শিক্ষার্থীরা।

নিজস্ব কাজের ব্র্যান্ড আরিন্দা নামে এক স্টল নিয়ে বসেছেন গ্রাফিক ডিজাইন এন্ড ক্রাফ্টস এন্ড হিস্টোরি অফ আর্টস বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আরুবা তাসনিম অর্থী। তিনি বলেন, বাঙালি সংস্কৃতি ধীরে ধীরে হারিয়ে যাচ্ছে। সেটা যেন হারিয়ে না যায় সেই জন্য আমাদের নিজস্ব কাজে ও ডেকোরেশনে তা ফুটিয়ে তুলার চেষ্টা করছি। আমাদের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে দেশীয় শিল্পকে সর্বস্তরের মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়া। সিল্ক বাংলাদেশে ঐতিহ্যবাহী পণ্য। সিল্ক ও মসলিনের তৈরি বিভিন্ন শাড়ি, স্কার্ফ, মাফলার নিয়ে আমরা স্টল বসিয়েছি।
বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদে শীত আগমনী উৎসব দেখতে এসে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী রনি আহমেদ বলেন, বাংলা সংস্কৃতির বিষয়ে শুধু কাগজে কলমে পড়ি। আজকে বাংলার সংস্কৃতিকে নিজে চোখে কিছুটা দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। গাছে গাছে অতিথি পাখির মেলা, পদ্ম পুকুর ও সূর্যমুখি চত্বর সবগুলোতেই বাঙ্গালীর সংস্কৃতি ধারা। খুবই ভালো লাগছে এ উৎসবে আসতে পেরে।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris