রবিবার

২৮শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৫ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গোমস্তাপুরে শিক্ষিকার আয়োজনে নবান্ন উৎসব পালিত

Paris
Update : শনিবার, ২ ডিসেম্বর, ২০২৩

গোমস্তাপুর প্রতিনিধি

শিক্ষিকা মমতাজ বেগমের সহযোগিতায় নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে শুক্রবার দিনব্যাপি নবান্ন উৎসব পালিত হয়েছে। প্রতিবছরের ন্যয় রহনপুর পৌর এলাকার পুণর্ভবা নদীর তীরে ঘেঁষা বাবুরঘোন মহল্লায় ওই শিক্ষিকার নিজ বাড়িতে চলে এই উৎসব। পুরনো গ্রামবাংলার ঐতিহ্যকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরতে উত্তর রহনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা মমতাজ বেগমের এ আয়োজন করা হয়। সকাল থেকে শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী উৎসাহী হয়ে এ পিঠা উৎসবে অংশ নিয়েছে। পুরো এলাকাটিতে নবান্ন উৎসবের আমেজ ভরপুর। লাল-হলুদ শাড়ি, কাঁচা ফুলের মালা পরেছে শিক্ষার্থী, এলাকার নারী ও আমন্ত্রিত নারী অতিথিরা। নারী-পুরুষরা মেতে উঠেছেন সারাদিন পিঠা তৈরি ও নাচে-গান করতে। গ্রাম-বাংলার ঢেঁকি ও যাঁতার শব্দে পরিবেশটাই যেন একটি অন্যরকম মাত্রা যোগ করেছে। গীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে নতুন ধান থেকে ঢেঁকি ছাঁটা, চাল যাঁতায় পিসে তৈরি করা আটা দিয়ে হরেক রকমের পিঠা-পুলি খেতে এসেছে উৎসুক জনসাধারণ। আবার প্যাকেট করে সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিদের বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয় এ পিঠা। পিঠা খেতে আসা উৎসুক অতিথিদের গ্রাম-বাংলার সংগীত গেয়ে আনন্দ দেয় ওই শিক্ষার্থীরা। গ্রামের এ ঐতিহ্যকে উৎসাহ যোগাতে ছুটে এসেছিল রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষক, কবি ও স্থানীয় সাংবাদিকরা। ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র শিয়াম বাবু বলেন, উৎসবের কথা সকালে শুনেই বাবাকে নিয়ে দেখতে এসেছি। আমি কখনো এসব দেখিনি। এবার এগুলো দেখে ভালো লাগল। গীত, তিলের পিঠা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান খুবই ভালো লেগেছে। তাঁর অন্যরকম আনন্দ অনুভূতি লেগেছে। রহনপুর জনতা উচ্চবিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিক হাবিব সাত্তার বলেন, এই উৎসবে অংশ নিতে পেরে বেশ ভালো লাগছে। গ্রাম বাংলার ঐতিহ্য তুলে ধরেছেন মমতাজ বেগম। তাঁর এই আয়োজনে উৎসাহ দিতে সকলের এগিয়ে আসা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক ও কবি তরিকুল ইসলাম বলেন, মমতাজ বেগমের ডাকে তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে এসেছেন। পুরনো ঐতিহ্য নতুনদের সামনে তুলে ধরছেন ওই শিক্ষিকা। নানা শ্রেণীর নারীদের নিয়ে এই আয়োজনটি ছিল সুন্দর। শিক্ষিকা মমতাজ বেগম বলেন, তাঁর নানা-নানীরা বহুযুগ ধরে বিভিন্ন ধরনের পিঠা-পুলি বানিয়ে গ্রামের কৃষাণ-কৃষাণীদের দাওয়াত করে খাওয়াতেন। সেই থেকেই প্রতিবছর গ্রামের ছাত্র-ছাত্রী ও মহল্লার নারীদের নিয়ে এ উৎসবটি পালন করে আসছেন তিনি। তাঁর এই নবান্ন উৎসব দেখতে যান চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য ও আসন্ন দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে মনোনীত প্রার্থী মু.জিয়াউর রহমান, রহমান পৌরসভার মেয়র মতিউর রহমান খান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজের শিক্ষক ইমদাদুল হক মামুন, লেখক ও কবি শামসুল হক টুকু, অজিত কুমার দাসসহ অন্যরা। বিকেলে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও বিভিন্ন খেলাধূলা প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris