সোমবার

২৯শে এপ্রিল, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ

১৬ই বৈশাখ, ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক বস্তা ফেন্সিডিল জব্দের মামলায় ৪ জনের প্রাণদণ্ড

Paris
Update : রবিবার, ১৩ নভেম্বর, ২০২২

গোপালগঞ্জে ১১ বছর আগে বস্তাভর্তি ফেন্সিডিল উদ্ধারের ঘটনায় চারজনের ফাঁসির রায় দিয়েছে আদালত। জেলার অতিরিক্ত দায়রা জজ মো. আব্বাস উদ্দীন রোববার (১৩ নভে¤ৃ)এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের চার আসামি হলেন- গোপালগঞ্জ শহরের বেদগ্রামের মৃত ওসমান শেখের ছেলে রবিউল ওরফে বাটুল (৪৬), তার সহযোগী বেদগ্রামের সালাম শেখের ছেলে সুজন শেখ (৪১), একই গ্রামের মৃত হারুন মৃধার ছেলে মো. রফিক মৃধা (৩৯) ও গোপালগঞ্জ সদর উপজেলার রঘুনাথপুর চরপাড়া গ্রামের মৃত কাদের সিকদারের ছেলে জাকির সিকদার (৪৫)। আদালতের বেঞ্চ সহকারি মাহবুবুর রহমান জানান, রায়ের সময় বাটুল ও সুজন শেখ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রফিক মৃধা ও জাকির সিকদার পলাতক রয়েছেন। এ মামলার অভিযোগপত্রভুক্ত আরেক আসামি বেদগ্রামের বটতলা এলাকার সরোয়ারজানের ছেলে শেখ জিরুল্লাহকে (৪০) খালাস দেওয়া হয়েছে। দণ্ডিত আসামিদের মধ্যে রবিউল ওরফে বাটুল স্থানীয়দের কাছে পরিচিত ‘মাদক সম্রাট’ হিসেবে। মাদকের কারবারের অভিযোগে তার বিরুদ্ধে আরও মামলা রয়েছে জানিয়ে মাহবুবুর রহমান বলেন, রবিউলের বিরুদ্ধে সাতটি মাদক মামলা রয়েছে বলে অভিযোগপত্রের পিসিআরে উল্লেখ রয়েছে। জেলা পুলিশের তালিকায় মাদক ব্যবসায়ী হিসেবেও তার নাম শীর্ষে রয়েছে। প্রায় ৮ মাস আগে একটি মাদক মামলায় তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড প্রদান করেছিলেন গোপালগঞ্জের অতিরিক্ত জজ আদালত। মামলার নথির বরাতে মাহবুব জানান, ২০১১ সালের ১০ জুলাই ৩০ বোতল ফেন্সিডিলসহ সোনা বেগম ও শেখ জিরুল্লাহকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী দ্বিতীয় দফায় অভিযানে বের হয় ডিবি পুলিশ। সে সময় রবিউল বেদগ্রাম থেকে নৌকায় গোলাবাড়িয়া বিলে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পরে ডিবি পুলিশ গোলাবাড়িয়া বিলে পৌঁছালে রবিউল ও তার সহযোগিরা বস্তাবন্দি ফেন্সিডিল পানিতে ফেলে পালিয়ে যান। পুলিশ সেখান থেকে ৪৯৭ বোতল ফেন্সিডিল ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র উদ্ধার করে। এ ঘটনায় রবিউল, সোনা বেগম, শেখ জিরুল্লাহ, সুজন শেখ, মো. রফিক মৃধা, জাকির সিকদারকে আসামি করে ডিবি পুলিশের এসআই মো. শাহাদত হোসেন গোপালগঞ্জ থানায় সেদিন একটি মাদক মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের কিছু দিন পর সোনা বেগম মৃত্যুবরণ করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের এসআই মো. মোয়াজ্জেম হোসেন ২০১১ সালের ৬ আগস্ট সোনা বেগমকে বাদ দিয়ে পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। স্বাক্ষ্য-প্রমাণ গ্রহণ শেষে রোববার (১৩ নভেম্বর)এই মামলায় চার আসামিকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন বিচারক। রাষ্ট্রপক্ষে এপিপি মো. শহিদুজ্জামান খান এবং আসামি পক্ষে এমএ আলম সেলিম, মো. রবিউল আলম, মো. এনামুল হক মামলাটি পরিচালনা করেন।


আরোও অন্যান্য খবর
Paris